বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির কোনো প্রয়োজন নেই।
রাষ্ট্রপতির কাজ কি? চিকিৎসার জন্য দল বেধে বিদেশ যাওয়া? সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যাওয়া। সস্তা রসিকতা করা? আসলে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রপতির পদ বাতিল ঘোষণা করা উচিৎ। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি জাস্ট পুতুল। যে পুতুল প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠবস করবে। দেশের বিপদে আপদে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা থাকে না। দেশে একজন রাষ্ট্রপতি না থাকলে অনেক টাকা বেচে যাবে।
বাংলাদেশ হচ্ছে সব সম্ভবের দেশ।
আমাদের দেশে সব সম্ভব।দিনে দুপুরে মানুষ কুপিয়ে মারা, রাস্তা থেকে উঠে এসে রাজনীতি করা, সীমাহীন দূর্নীতি করা। তারপর তাকে মাথায় উঠিয়ে নাচানাচি করা। জনগন মুখে মুখে দূর্নীতিবাজকে অনেক কথা বলে কিন্তু বাস্তবে সালাম দেয়। কথা বলার সময় হাত কচলায়। যেখানে একটা দল আওয়ামিলীগ নাই হয়ে গেলো, সেখানে সামান্য রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়া তো কোনো ঘটনাই না। সহজ সরল সত্য কথা হলো —রাষ্ট্রপতি থাকলেও কিছু না, না থাকলেও কিছু না। চুপ্পু সাহেব কে যে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে তার কোনো খোজ খবর নেই। আওয়ামী লীগের লোকজন সব পালিয়েছে। এখন চুপ্পু সাহেব ভয়ে ভয়ে আছেন। আহারে বেচারা! ক্যান তুই লোভ করতে গেলি! জীবনে লোভ ত্যাগ করতে পারলে, অনেক আপদ বিপদ থেকে বেচে থাকা যায়।
আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি হলো পুতুল।
নিজে থেকে কোনো কিছু করার ক্ষমতা নাই। বঙ্গ ভবন দখল করে থাকেন। উন্নত জীবন যাপন করেন দেশের টাকায়। আসলে আমাদের সংবিধান চেঞ্জ করা দরকার। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে একটা আধুনিক সংবিধান করা দরকার। যুগ বদলেছে, কিন্তু সংবিধান বদলায়নি। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন, ততদিন নতুন নতুন চাকরি সৃষ্টি করার কথা ভাবেন নাই। আশার কথা উপদেষ্টারা নতুন চাকরি সৃষ্টি করার কথা ভেবেছেন। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দূর্নীতি না হোক। জিনিসপত্রের দাম হুহু করে না বাড়ুক। দেশের মানুষ খেয়েপড়ে হাসিমুখে বেচে থাকুক।
আমাদের দেশে রাষ্ট্রপতি না থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
বরং উপকার। দেশের অনেক টাকা বেচে যাবে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি নিরপেক্ষ হয় না। চুপ্পু সাহেব এখন দেশের রাষ্ট্রপতি। উনি ছিলেন দুদকের প্রধান। দুদকে থাকার সময় উনি আওয়ামীলীগের দূর্নীতিবাজদের ধরেন নাই। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর দেশের জন্য তার কোনো ভূমিকা নেই। যেমন ভূমিকা নেই দেশের ছাত্রলীগের। গত পনের বছর ছাত্রলীগ কি করেছে দেশের জন্য? আজকে আওয়ামীলীগের এই পরিস্থির জন্য ৩৫% দায়ী ছাত্রলীগ। শেখ সাহেব ওদের থামান নাই। শেখ হাসিনা ওদের থামান নাই। বড় ভুল হয়েছে। ১৯৭২ সালে ওদের থামিয়ে দিলে, আজকে এই কঠিন পরিস্থিতি হতো না।
আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ হচ্ছে সব সম্ভবের দেশ।
এদেশে একজন রাজাকার পর্যন্ত স্বাধীনতা পদক পেয়েছে। রাজাকারের গাড়িতে উড়েছে দেশের লাল সবুজ পতাকা। রাজাকার মানসিকতার মানুষের অভাব নেই। সাগর রুনি হত্যার আসামী গ্রেফতার হয়নি। যেখানে ছিনতাই হয় সেখানে পুলিশের চেক পোস্ট থাকে না। অন্যায়, অনিয়ম আর অত্যাচারের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এজন্য যাদের সুযোগ আছে তারা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এই মরার দেশে কেউ থাকতে চায় না। যদি সুযোগ থাকতো তাহলে এই দেশে কেউ থাকতো না। আমার নিজেরই এই দেশে থাকতে ইচ্ছে করে না।
ধরে নিলাম, বর্তমান রাষ্ট্রপতি কে সরিয়ে দেওয়া হলো, তাতে লাভ কি হলো?
এক পুতুল যাবে আরেক পুতুল আসবে। আমাদের দরকার এমন একটা দল, যে দল সত্যিকার ভাবে দেশকে ভালোবেসে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দূর্নীতি করবে না এবং প্রতিটা পদক্ষেপে নিরপেক্ষ থাকবে। চাটুকারিতা আর দালালি সম্পূর্ণ বাদ। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দরকার আধুনিক একটা দল। যাদের চিন্তা ভাবনা আধুনিক। যারা কথায় কথায় জিয়া জিয়া করবে না। কথায় কথায় শেখ মুজিব শেখ মুজিব করবে না। যারা কথায় কথায় ধর্ম ধর্ম করবে না। একদিন আমি মরে যাবো। আফসোস শুধু একটাই মরে যাওয়ার আগে সুখী সুন্দর বাংলাদেশ দেখে মরতে পারবো না।