১। ফুটপাতে দোকান বসে। অনেকে ফুটপাত দিয়ে বাইক চালায়। আরাম করে ফুটপাত দিয়ে হাটা যায় না। আজ পর্যন্ত কোনো সরকার ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পারে নাই।
২। রংসাইট দিয়ে রিকশা, গাড়ি বা বাইক চালানো। অনেক নির্বোধ ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে রাখে। গাড়ির ভিতরে বসে মোবাইল টিপে। এদিকে যে তার কারণে জ্যাম লেগে গেছে, এটা নিয়ে সে চিন্তিত নয়।
৩। যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে লোক উঠানো নামানো। ভাড়া নিয়ে চিল্লাচিল্লি। স্থায়ী সমাধান আজ পর্যন্ত হলো না।
৪। ফল কিনতে গেলে পচা ফল দিয়ে দেয়। দাম বেশি রাখে, ওজনে কম দেয়। মাছ মাংস কিনতে গেলে একই কাজ করে।
৫। লোকজন অপ্রয়োজনেও হরহামেশা মিথ্যা বলে। একশ জনের মধ্যে ৯৫ জন মানুষ মিথ্যা বলে।
৬। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। বাসে ভিক্ষুক। পার্কে ভিক্ষুক। বোরকা পড়ে মহিলারা কান্না করে ভিক্ষা করে। খাবার কিনে দাও, ওষুধ কিনে দাও। চারিদিকে অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলো হাত পেতে থাকে। টাকা দেন ভাত খাবো। বাচ্চাটা না খেয়ে আছে। মায়ের অপরেশন, টাকা দেন। আগে রিকশা চালাতাম। একসিডেন্ট করছি। এখন রিকশা চালাতে পারি না। টাকা দেন।
৭। বাসে ৫ টাকার জন্য তুমুল ঝগড়া। গালাগালি। লোকাল বাস গুলোতে চলাচল খুবই যন্ত্রণাদায়ক। বসার জন্য সিট পাওয়া যায় না। গাদাগাদি ভিড়। তীব্র ঘামের গন্ধ। পকেটমার তো আছেই।
৮। রাস্তা দিয়ে কোনো মেয়ে হেটে গেলে ছেলে বুড়ো সবাই অতি কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে থাকে। কেউ কেউ বাজে মন্তব্য করে।
৯। কোনো কিছু কেনাকাটা করতে গেলে লোকজন ঠকিয়ে দিতে চায়। ঠকাতে পারলেই যেন জিতে চায়।
১০। মাইক লাগিয়ে মসজিদ নির্মানের জন্য টাকা চায়। গত ৫৩ বছর ধরে এই কাজ চলছে। বাসে উঠে মসজিদ মাদ্রাসার জন্য টাকা চায়। আর কত মসজিদ মাদ্রাসা লাগবে চোর, অসভ্য আর ইতরের দেশে?
১১। হিজড়ারা বাসে উঠে, সিগনালে গাড়ি থামলে টাকা চায়। এমন কি অনেক হিজড়া এবং ভিক্ষুক সিগনালে গাড়ি থামা মাত্র গাড়ির দরজায় মুখ লাগিয়ে ভিতরে চেয়ে থাকে। নক করে। করতেই থাকে। টাকা চায়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত যায় না। শপিং মল থেকে বের হতেই ভিক্ষুক ছুটে আসে।
১২। লোকজন টাকা ধার চায়। এমনকি যাকে চিনি না, জানি না সেও ম্যাসেজ দিয়ে টাকা লোন চায়। সেই ধারের টাকা কোনোদিন ফেরত দিবে না।
১৩.। দালালি আর চাটুকারিতা আমি একদম সহ্য করতে পারি না। সব জায়গায় চলছে দালালি আর চাটুকারিতা।
১৪। রাস্তার মধ্যে গালিগালাজ করা। স্কুলের ছাত্ররা চিপা গলিতে ঢুকে সিগারেট টানে। স্কুলের ছেলেদের মুখের ভাষা অতি বাজে। বাবা মা জন্ম দিয়ে ছেড়ে দেয়। তার ছেলে রাস্তায় কি করে বেড়াচ্ছে সেই খোঁজ রাখে না।
১৫। অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা রাস্তায় সকলের সামনে জুতার আঠা দিয়ে নেশা করছে। অসংখ্য মানুষ রাতে ফুটপাতে ঘুমায়। সরকার ওদের কথা ভাবে না।
১৬। খাবারের জন্য কারাকারি করা। হামলে পরা। হোক মিলাদের খাবার বা কোনো অনুষ্ঠানের খাবার। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা পর্যন্ত খাবারের জন্য অনেক নির্লজ্জ হয়ে যায়।
১৭। মেয়েরা বিকট সাজ দেয়। প্রচুর মেকাপ করে। দেখতে খুবই বাজে লাগে। অথচ মেয়েদের অতি মেকাপ করার কোনো দরকার নেই। জাস্ট চোখে কাজল আর কপালে একটা টিপ দিলেই দেখতে একদম দেবী স্বরসতীর মতো লাগে।
১৮। শুক্রবার রাস্তা বন্ধ করে জুম্মা নামাজ পড়ে। অথচ সারা সপ্তাহ কোনো খোজ খবর নেই। লেখা থাকে বেসিনে ওজু করবেন না। অথচ নির্বোধ ধার্মিক গুলো বেসিনের উপর পা তুলে ওজু করে।
১৯। প্রতিদিন ময়লার গাড়ি এসে বাসা বাড়ির ময়লা নিয়ে যায়। তবু কিছু লোকজন গলিতে ময়লা ফেলে।
২০। রেস্টুরেন্ট আর ফাস্ট ফুডের দোকান গুলোতে খাবারের দাম বেশি রাখে। যার যেমন ইচ্ছে। কোনো তদারকি নেই।
২১। মিরপুর ১০, ফার্মগেট, কমলাপুর রেলস্টেশন, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ১, গুলিস্তান ইত্যাদি এলাকা পকেটমার দিয়ে ভরা। পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই।
২২। মসজিদ মাদ্রাসা গুলোতে মাইক লাগিয়ে সারারাত ওয়াজ হয়, জিকির হয়। পুরো মহল্লার মানুষের ঘুমের সমস্যা কতা হয়। তোরা সারারাত জিকির কর, ওয়াজ কর। আমাদের ঘুমের সমস্যা কেন করবি?
২৩। ঢাকা শহরে মসজিদের অভাব নেই। আযানের সময় সব গুলো মসজিদ একসাথে আযান দেয়। আযানের মধুর সুর তখন বড় বাজে লাগে। বিরক্ত লাগে।