
অনলাইন থেকে কেন জুতা কিনতে হবে?
ঘর থেকে বাইরে বের হলেই মার্কেটের অভাব নাই। ঢাকা শহরে মসজিদ আর বড় বড় শপিং মলের অভাব নেই। তাহলে কেন অনলাইন থেকে কিনতে হবে? অনলাইন থেকে আর যা-ই কিনুন কিন্তু জুতা কেনা ঠিক হবে না। আসলে অনলাইন থেকে কেনাকাটা সঠিক কাজ নয়। আমার জীবনে আমি অনলাইন থেকে কিছু কিনি নাই। জানেন, কোনোদিন কিনবোও না।
জুতা কেনার নিয়ম হলো, জুতার দোকানে যাবেন।
দেখে শুনে পছন্দ করবেন। হাতে নিয়ে দেখবেন। পায়ে পরে দেখবেন। দুই কাইক হাটবেন। তারপর পছন্দ হলে কিনে নেবেন। অনলাইন থেকে জুতা কিনলে পারফেক্ট সাইজ হবে না। পছন্দ করবেন এক কালার দিবে আরেক কালার। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। তবে অনলাইনে হাতে গোনা কয়েক ভালো ব্যবসায়ী আছেন।
অনলাইন থেকে জুতা কিনলে পায়ে পরে দেখতে পারবেন না।
আন্দাজের উপর কিনতে হবে। জুতা বাসায় দিয়ে যাবে, তারপর দেখবেন হয় ছোট হয়েছে অথবা বড় হয়েছে। এমন কি আপনি কালো জুতা পছন্দ করবেন, আপনাকে দিয়ে যাবে মেরুর রঙের জুতা। আমার পরামর্শ হচ্ছে অনলাইন থেকে কিচ্ছু কিনবেন না। শহরে তো শপিং মলের অভাব নাই। অনলাইনে যদি তিন হাজার টাকা দামের জুতো দেড় হাজার বলে, তবুও অনলাইন থেকে কেনার দরকার নেই।
অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে বোকারা।
একজন বুদ্ধিমান মানুষ অনলাইন থেকে কিচ্ছু কিনবে না। অনলাইন থেকে কেনা মানেই ঠকে যাওয়া। অনলাইনে যারা ব্যবসা কতেন, তাদের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। ফেসবুকের পেজ ছাড়া আর কিছু নেই। তারা আপনাকে ব্লক করে দিলে আপনি তাদের আর খুজে পাবেন না। আজ পর্যন্ত আমি কোনো মানুষকে অনলাইন থেকে কিছু কেনার পর সন্তুষ্ট হতে দেখি নাই।
সুরভির কথা বলি, সে অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে ভীষণ পছন্দ করে।
বারবার ঠকে, তবু কিনে। লাল রঙের শাড়ি অর্ডার করে, তাকে দিয়ে যায় মেরুর রঙের শাড়ি। সুরভি সব কিছু অনলাইন থেকে কিনে। জামা জুতো, বিস্কুট, ঘি, মধু, ভিনেগার, সরিষার তেল, পোলাও চাল, বাদাম, পিঠা, চালের গুড়া, হিজাব, ফুলদানি, প্লাস্টিকের ফুল ইত্যাদি সব কিছু সে অনলাইন থেকে কিনিবে। আমার প্রচন্ড রাগ লাগে। অথচ আমি নিয়মিত বাজারে যাই। কেনাকাটা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



