
হ্যা ইউনূস সরকার চার বছর টিকে থাকতে পারবে।
এটা কোনো ব্যাপারই না। তবে ইউনূস সাহেব চার বছর থাকবেন না। উনি দুই তিন বছর থাকিবেন। বাংলাদেশের জনগণের সমস্যা আছে। এরা বড় অস্থির। বড় নাদান। বড় অবুঝ। এবং অবশ্যই নির্বোধ। শেখ হাসিনা চলে যাবার পর দেশ তো থেমে নেই। উপদেষ্টারা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে তারা এখন পর্যন্ত ভালো কিছু করে দেখাতে পারেন নাই। ফালতু সব কামকাজ নিয়ে ব্যস্ত। যেমন বছরে ছুটি কয়দিন হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নাম বদলাতে হবে, কাকে কাকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দেশের ক্ষতি করেছে— মেজর জিয়া, এরশাদ। শেষ ক্ষতি করছে ইউনূস সাহেব। কিছুদিনের মধ্যেই দেশের মানুষ বুঝবে ইউনূস কি জিনিস। ইউনূস সাহেব বিএনপি আর জামায়াতে হাতে ক্ষমতা তুলে দিবে। দেশটা নষ্টদের দখলে চলে গেলো। আগামীতে আমাদের দেশের অবস্থা পাকিস্তানের চেয়ে খারাপ হবে। শেখ হাসিনা থাকলে অন্তত দেশের গজব অবস্থা হতো না। জামায়াত বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ ভালো।
আসল আমাদের দেশের সমস্যা ক্ষমতায়।
ক্ষমতায় বসলেই লোকজন বদলে যেতে শুরু। প্রতিশোধ নিতে শুরু করে। বদলে যায় নেতারা আর প্রতিশোধের নেশায় ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এজন্য তারা দেশের জন্য কাজ করার সময় পায় না। ২৫০ টা মামলা দিয়েছে শেখ হাসিনার নামে। মামলা গুলো যৌক্তিক নয়। বেশির ভাগ মামলা রাগ ও ঘৃনার ফল। কিছু মামলা তো বেশ হাস্যকর। কোটা আন্দোলনকারী নেতারা শেখ হাসিনাকে বিপদে ফেলার জন্য গুম, খুনের ঘটনা গুলো তৈরি করা হয়েছে। যাইহোক, এই উপদেষ্টাদের আমলে দেশের সাধারণ মানুষ ভালো নেই। প্রতিটা ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ওষুধ কোম্পানি গুলো পর্যন্ত দাম ডবল করে দিয়েছে। ইউনূস সাহেব যদি নিরপেক্ষ লোক হতেন, তাহলে অবশ্যই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, ৩২ নম্বরে আগুন দিয়েছে, শেখ মুজিবের ভাস্কর্যে মুতেছে, আর আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাংচুর করেছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতো। সেনাবাহিনী অবশ্যই কলকাঠি নাড়ছে। তারা তাদের মনের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে পুতুলের মতো করে ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউনূস সরকার দীর্ঘস্থায়ী কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারছে না।
তাদের অভিজ্ঞতা নেই, তারা রাজনীতিবিদ নয়। ইউনূস সাহেবদের সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দিচ্ছে সেনাবাহিনী। কোটা আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর সাপোর্ট পায়নি। সেনাবাহিনী চেয়েছে বলেই হাসিনা ভারতে চলে যেতে হয়েছে। সেনাবাহিনী চেয়েছে বলেই গণভবনে লুটপাট হয়েছে। ৩২ নম্বরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি শেখ মুজিবের ভাস্কর্যে প্রস্বাব করা হয়েছে। যদি সেনাবাহিনী চাইতো, তাহলে গণভবনে লুটপাট হতো না, আগুন দেওয়া হতো না। তারা কেন সাপোর্ট দেয়নি? কারণ সেনাবাহিনী চেয়েছে আওয়ামিলীগ ধ্বংস হোক। বিএনপি গর্ত থেকে বের হোক। কঠিন এক নীল নকশা করা হয়েছে। নীল নকশা সফল করার জন্য ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করা হয়েছে। এই নীল নকশায় জামায়াতের ভূমিকা কম নয়। জামায়াত খুব ধীরে ধীরে দাবার চাল দিচ্ছে। একটা কথা মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ হচ্ছে সব সম্ভবের দেশ।
পুরো বাংলাদেশের সব জেলার পুলিশ বদলি করা হয়েছে।
এমনকি ট্রাফিক পুলিশ পর্যন্ত। এর কারণ কি? অসংখ্য নতুন পুলিশ জয়েন করেছে? এরা কারা? এরা কোথায় ট্রেনিং নিয়েছে? কেউ কিচ্ছু জানে না। গোপনে গোপনে অনেক খেলা হচ্ছে। ইউনূস সাহেব বুদ্ধিমান মানুষ। উনি নিজের বিপদ কাটিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু অন্য উপদেষ্টারা নিজেদের বিপদ থেকে বাচাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ যেমন অনেক কিছু পারে নাই। কোটা আন্দোলনের সারজিস আর হাসনাত উপদেষ্টা নয়। কিন্তু তারা বেশ দাপট দেখাচ্ছে। এটা ভালো লক্ষন নয়। তাদের এত সাহস কে দিচ্ছে? ইউনূস সাহেবের উচিৎ জামাত শিবিরের দিকে লক্ষ রাখা। বিএনপির চেয়ে জামায়াত শিবির হিংস্র বেশি। এদের বিষয়ে খুব সাবধান থাকা দরকার। পুতিন ট্রাম্প আর কিমের চেয়ে জামায়াত ভয়ংকর। দেশের সব ক্রিমিনালরা একসাথে হয়েছে। তাদের মুখে হাসি অথচ অন্তরে বিষ। সামনের দিন গুলোতে ভয়ংকর কিছু ঘটবে। তবে আশার কথা হচ্ছে, আজ যারা অন্যায় করছে তাদের অবশ্যই বিচার হবে।
যারা বাংলাদেশ চায়নি, তারা আজ একজোট হয়েছে।
সামনে আমাদের দুর্ভোগ আছে। গভীর একটা ফাদ পাতা হয়েছিলো। সেই ফাদে শেখ হাসিনা আটকা পড়ে গেছে। সেদিন যদি শেখ হাসিনা ভারত না যেতো, তাহলে তাকে হয়তো হত্যা করা হতো। কারা করলো এরকম পরিকল্পনা? একসময় সব কিছুই দিনের আলোর মতো পরিস্কার হবে। আমি বলছিনা শেখ হাসিনা সেরা লিডার। আমি বলছি না শেখ হাসিনার কিছু ভুল নেই। কিন্তু দেশের জন্য তার অবদান তো কম নয়। হ্যা তার দলের লোক দূর্নীতি করেছে। বিএনপি কি দূর্নীতি করে নাই? আজ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে জামায়াত, বিএনপি আর উপদেষ্টারা মিলে একাকার। জামায়াতে ইতিহাস কি? আফসোস। বিরাট আফসোস। দেশের ৩০% লোক আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করে। ৩০% বিএনপি জামায়াত সাপোর্ট করে। বাকি ৪০% কোনো দল করে না। এই ৪০% লোক দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। এরা তাদের জন্মভূমিকে ভেসে যেতে দিবে না। এরা মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের লোক। আশার কথা হচ্ছে এরাই দেশের ভবিষ্যত। এরা মাঠে নামলে সমস্ত অন্যায় ভেসে যাবে। কাজেই ইউনূস গং আর জামায়াত বিএনপি দেশটাকে পাকিস্তান আফগানিস্তান বানাতে পারবে না। জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



