
জাস্টিন ট্রুডোর বর্তমান বয়স ৫৪ বছর।
সারা বিশ্বে তিনি বেশ জনপ্রিয়। ২৫ বছর ধরে তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত। হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানুষ নন তিনি। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের সাথে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা করার পর জাস্টিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন। ২০১৫ সালে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হোন। তার দলের নাম লিবারেল পার্টি। এর আগে তিনি এক কলেজের শিক্ষক ছিলেন। 'দ্য গ্রেট ওয়ার' নামে টিভিতে একটা সিরিজ করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। সহজ সরল ভালো মানুষ তিনি। চলার পথে কারো সাথে দেখা হলে, কেউ যদি তার সাথে সেলফি তুলতে চায়, তিনি আগ্রহ নিয়ে সেলফি তুলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তিনি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। চড়েছেন সাধারণ যানবাহনে।
বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, তখন তার জন্ম হয়।
তখন তার বাবা ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নির্বাচন হবে। অনেকে মনে করেন, আগামী নির্বাচনে লিবারেল পার্টি হেরে যাবে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কানাডার ২২ শতাংশ মানুষ জাস্টিন ট্রুডোর উপর ভরসা রাখেন। টানা ৯ বছর জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দুষ্ট আমেরিকানরা বলছেন, ট্রাম্পের ভয়ে জাস্টিন পদত্যাগ করছেন। ইহা অবশ্যই ভুল কথা। একবার এক বক্সিং খেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে জাস্টিন ট্রুডো আচমকা খেলতে নেমে যান এবং প্রতিপক্ষ কে মেরে তক্তা বানিয়ে দেন। উনার রাজনৈতিক স্টাইল অন্যদের চেয়ে আলাদা। উনি মধ্যবিত্তদের কথা ভাবতেন। তাদের জীবনমান উন্নত করার জন্য তিনি রাজনীতি করেছেন। করোনার মধ্যে তিনি তার জনগনকে বেগ পেতে দেননি।
কেউ কেউ বলছেন, জাস্টিন ট্রুডোকে প্রচন্ড চাপ দেওয়া হয়েছে,
তাই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। বিদেশি গণমাধ্যম গুলো গত এক বছর ধরে বলে গেছে, জাস্টিন অযোগ্য। তার পদত্যাগ দরকার। সে যাকগে, লিবারেল পার্টি থেকে আগামীতে নির্বাচন করতে পারেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। উনি ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোর বাম হাত। করোনার আগের দুই বছর জাস্টিন ট্রুডোর খুব একটা ভালো যায়নি। সেসময় বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিলো তার বিরুদ্ধে। করোনায় কানাডাতে গজব অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো। বলা হয়, সেসময় জাস্টিন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন নাই। দেশের জনগণ তখন তার বিপক্ষে চলে গিয়েছিল। আসলে বাংলাদেশে থেকে যথাযথ ভাবে কানাডার খবর পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা তো পাশের ফ্লাটের খবর সঠিক জানি না। পত্রপত্রিকা পড়ে যতটুকু পারি জানতে চেস্টা করি।
জাস্টিন সাহেব পদত্যাগ করার আগে ২০২৪ এ পদত্যাগ করেন তার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড।
দুটা পদত্যাগ কি একই সুত্রে গাথা? শেখ হাসিনার সাথে জাস্টিন ট্রুডোর সুন্দর সম্পর্ক ছিলো। দুজনের সাথে প্রায়ই টেলিফোনে আলাপ হতো। শেষবার কথা বলার সময় জাস্টিন স্পষ্ট বলেছেন, জামাত শিবির থেকে আপনাকে সাবধান থাকতে হবে। সন্ত্রাস এবং জংগী থামাতে হবেই। নইলে আপনার বিপদ হবে। এখন দেখা যাচ্ছে, জাস্টিন ট্রুডোর কথাই সত্য। ১৯৭১ সালে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, জাস্টিন ট্রুডোর বাবা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাপোর্ট করেছেন। জাস্টিন ট্রুডো বাংলাদেশের বন্ধু। কানাডা বাংলাদেশের বন্ধু। জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। আমাদের দেশে প্রতিটা নেতার নামে দূর্নীতির অভিযোগ আছে। জাস্টিন সাহেবের নামে কোনো দূর্নীতির অভিযোগ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



