somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

নামাজ পড়ানোর জন্য টাকা না দিলে ইমাম খুঁজে পাওয়া যাবে?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



টাকা না দিলে নামাজের জন্য ইমাম খুজে পাওয়া যাবে না।
টাকা না দিলে মসজিদে আযান দেওয়ার জন্য লোক খুজে পাওয়া যাবে না। টাকা না দিলে ওয়াজ করার জন্য বক্তা পাওয়া যাবে না। এমনকি টাকা না দিলে হুজুরদের কাছ থেকে কোনো সার্ভিস পাওয়া যাবে না। টাকার বিনিময়ে হুজুরেরা মসজিদে নামাজ পড়ায়, আযান দেয়, কোরআন শিক্ষা দেয়। আসলে আযান দেওয়া, নামাজ পড়ানো হুজুরদের চাকরি। ধর্ম তাদের বেচে থাকার জন্য এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ধর্ম না থাকলে এত গুলো লোক কি করতো? ধর্মীয় ব্যবসা বেশ রমরমা। মাজার, মসজিদে প্রচুর টাকা ইনকাম হয়। দান বাক্স খুলে হুজুরেরা মুগ্ধ হয়ে যায়। অনেক মসজিদ দান বাক্স থেকে কত টাকা হয়, সেটা দেয়ালে বোর্ডে লিখে রাখে। সকলে সেটা দেখে। কিন্তু সেই টাকা কোন কোন খাতে খরচ হয়, সেই হিসাব জনতা জানে না।

টাকা ছাড়া এই দুনিয়াতে চলা সম্ভব নয়।
ভিক্ষুক, রিকশা চালক, ছাত্র, চোর, ব্যবসায়ী, হুজুর- সবারই টাকা প্রয়োজন। হুজুরের চাকরি মসজিদে আযান দেওয়া। নামাজের সময় হলেই হুজুর আযান দেয়। এজন্য সে মাস শেষে টাকা পায়। এই টাকা দিয়ে হুজুর বউ বাচ্চা নিয়ে দুটো ডাল ভাত খেয়ে বেচে থাকে। যে ব্যক্তি মসজিদে আযান দেয়, তার আরো কিছু কাজ করতে হয়, যেমন মসজিদ ঝাড়ু দিতে হয়, মুছতে হয়। মসজিদের ইনকামের চেয়ে মাঝারে ইনকাম বেশি। লোকজন মানত করে। সিলেট মাঝারে এক ছাগল দিনের মধ্যে ৭০ বার বিক্রি হয়। গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাঝারে লোকজন পাগলের মতো টাকা দেয়। সেই টাকা সিটিকরপোরেশন এসে নিয়ে যায়।

ধর্মের কারণে কোটি কোটি লোক খেয়েপড়ে বেচে আছে।
এমনকি সৌদির লোকেরাও। হজ্ব এবং ওমরা থেকে সৌদির সীমাহীন আয় হয়। হজ্ব আর ওমরা না থাকলে সৌদির খবর ছিলো। সৌদির শেখরা লন্ডন আমেরিকা গিয়ে টাকা উড়ায়। আমাদের দেশে হজ্ব হলে, আমাদের অনেক উপকার হতো। আমাদের দেশে বছরে একবার ইজতেমা হয়। তাতে কোনো টাকা আসে না। বরং মারামারি হয়। প্রস্বাব পায়খানা করে পুরো তুরাগ নদীর পাড় বাজে গন্ধ করে দেয়। তবে আমাদের দেশের অনেক হুজুর বেশ ভালো আছে। তারা ওয়াজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছে। মসজিদ কমিটিরও ইনকাম খারাপ না। মসজিদ কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য লোকজন মুখিয়ে থাকে। দান বাক্স সিস্টেম আমাদের দেশে বন্ধ হওয়া দরকার।

আমাদের দেশে সরকারের এমন নিয়ম করা উচিৎ:
ওয়াজ করলে কোনো টাকা পাবে না। মসজিদের ইমাম এবং মুয়াজ্জিন কোনো টাকা পাবে না। আয় এই বার দেখি তোদের ইমানের জোর কতটুকু। নবীজি তো ধর্ম প্রচার করে টাকা নিতেন না। তোরা কেন নিবি? মাদ্রাসা থেকে যারা বের হয়, তারা ভালো চাকরি পায় না। তাদের শেষ ভরসা মসজিদে আযান দেওয়া, নামাজ পড়ানো। কেউ কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরআন শিক্ষা দেয়। এসব কাজে অল্প টাকা সেলারি। এই সেলারি দিয়ে তারা কোনো রকমে খেয়েপড়ে বেচে আছে। অর্থাৎ মানবেতর জীবনযাপন করছে। আজকের যুগে আধুনিক শিক্ষা না থাকলে ভালো চাকরি পাওয়া যায় না। দরিদ্র দেশ, আছে ধর্মভিতি তাই পিতামাতা তাদের ছেলেকে মাদ্রাসায় দেয়। জাকাত, ফেতরা আর দানের টাকা দিয়ে মাদ্রাসার ছেলেরা কোনো রকমে দিন যাপন করছে।

একজন কোরানে হাফেজ মানবেতর জীবনযাপন করে।
অথচ পুরো কোরআন তার মুখস্ত। অথচ ভালো মানের চাকরি পায় না। পৃথিবীর সেরা কিতাব মূখস্ত করেও দরিদ্র থাকতে হচ্ছে। দারিদ্র্যতা ঘুচাতে সে মাদ্রাসায় আরবি পড়ায়, নয়তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরআন শিখায় বাচ্চাদের। কেউ মারা গেলে কোরআন খতম দেয়। সামান্য টাকা পায়। দেশের হুজুরেরা মাদ্রাসায় পড়ার কারনে ভালো চাকরি পায় না। দেশ থেকে মাদ্রাসা তুলে দেওয়া দরকার। মাদ্রাসা শিক্ষা এ-যুগে অচল। প্রয়োজনীয়। ধর্ম বেচে আর কতদিন? এজন্যই কি দুনিয়াতে ধর্ম এসেছে? ধর্মের উদ্দেশ্য কি এটাই, ধর্ম ব্যবহার করে কোনো রকমে দুটো ডাল ভাত খেয়ে বেচে থাকো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১৩
২১টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×