
দিঘী নাচতে পারে না। তারপরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত নাচছে।
দিঘীর নাচ মানে এলোমেলো ভালো হাত পা ছোড়াছুড়ি। যা কুৎসিত ও বিরক্তিকর। কিন্তু দর্শক দেখে আনন্দ পায় এবং তালি দেয়। বাংলাদেশের সমস্যা গুলো ঠিক এই রকম। দরকারী ও গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য অদক্ষ লোকেরা দখল করে রেখেছে। আমাদের দিঘী মোটেও নাচ পারে না। তবু সে নাচতে নাচতে ঘেমে যায়। আমাদের দেশেরও ঠিক একই অবস্থা। সময় চলে যাচ্ছে কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না। দিঘী হয়তো নাচতে ভালোবাসে। আমি চাই দীঘি আগে ভালো করে নাচ শিখুক। তারপর নাচুক। অযথা হিন্দি গানের সাথে হাত-পা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুক। সমস্যা হলো- দীঘি হয়তো নিজেও জানে না, তার নাচ হয় না। ঠিক এভাবে আমাদের দেশ যারা পরিচালনা করেন, তারা তাদের ভুল গুলো বুঝতে পারছে না।
জাতির যে পরিমান সম্পদ আছে,
সেই সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সুন্দর ভাবে খেয়েপড়ে বেচে থাকতে পারে। অযোগ্য অদক্ষ লোকদের কারণে জাতির আজ এই অবস্থা। করোনার পর থেকে ভিক্ষুক বেড়েই চলছে। বাসা থেকে বের হয়ে দশ মিনিট হাটলে অন্তত তিন জন ভিক্ষুক হাত পাতে। কিছু কিছু ভিক্ষুক পরিবার নিয়ে ভিক্ষা করে। করুন গল্প ফাদে। চোখের সামনে মালোশিয়া, ভিয়েতনাম, বদলে গেলো। অথচ আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর। জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। যে আশা ও স্বপ্ন নিয়ে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষকরা যুদ্ধ করেছিলেন, তাদের স্বপ্ন পূরন হয়নি। এজন্য দায়ী সরকার গুলো। সব সরকার দেশের শুধু ক্ষতিই করেছে। এরশাদ করেছে, জিয়া করেছে, বেগম জিয়া করেছে, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে শেখ হাসিনাও করেছে। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও দেশের ক্ষতিই করবে।
আমাদের আসল সমস্যা লেখাপড়ায়।
লেখাপড়ার মান একদম নিচে নেমে গেছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো লেখাপড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। নতুন প্রজন্ম তৈরি হয় বোতা মানসিকতা নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর সরকারের উচিৎ ছিলো ১২ ক্লাশ পর্যন্ত লেখাপড়া পুরোপুরি ফ্রি করে দেওয়া। সরকারি স্কুলে পড়তে গেলে টাকা পয়সা লাগে। এমনকি সরকারি স্কুলে দেখেছি শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো বাদ দিয়ে কাঁথা সেলাই করছেন। আমাদের ভালো শিক্ষকের অভাব। শিক্ষকদের জ্ঞান বিতনের চেয়ে টাকার দিকে মনোযোগ বেশি। এরা কোচিং ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না। শিক্ষার পরে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কৃষিখাত। অথচ সরকার গুলো কৃষিতে অনীহা। আমাদের দেশে খাটি মানুষের বড় অভাব! আমাদের দরকার মাওলা ভাসানী, শেরে বাংলা, শেখ মুজিব, তাজ উদ্দীনের মতো মানুষ। যারা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
দেশ যারা পরিচালনা করে-
তারা সৎ নয়। লোকজন রাজনীতি দেশের জন্য করে না। করে ক্ষমতা এবং টাকার জন্য। সীমাহীন টাকা দূর্নীতি করে। করতেই থাকে। সব দলে অসৎ লোকজন আছে। সরকার বদলায়, দুই একজন দূর্নীতিবাজ ধরা পড়ে। কয়েকদিন পর ছাড়া পেয়ে যায়। সত্য কথা হলো- দেশ ভরা সৎ মানুষ দিয়ে। এজন্য এখনকার সময়টা হচ্ছে- অবিশ্বাসের যুগ। এই যুগে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। এদিকে দেশের ভেতর আছে শত্রু। জামাত শিবির। জামাত শিবির দেশের ক্ষতি করার জন্য মরিয়া। তারা থানায় আগুন দিলো। পুলিশের অস্ত্র লুট করলো। পুলিশ হত্যা করলো। ছাত্রদের হত্যা করলো। সরকারি গাড়ি বাসে আগুন দিলো। নতুন প্রজন্মকে লেলিয়ে দিলো দেশের ক্ষতি করতার জন্য। ওদের দিয়ে দল তৈরি করালো এনসিপি। সব চক্রান্ত। জামাতের চক্রান্ত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের জামাত অপদস্ত করছে। সরকার আবার তাতে তাল মিলাচ্ছে।
ভাই, আমরা একটা ভালো বাংলাদেশ চাই।
মারামারি কাটাকাটি চাই না। তিনবেলা পরিবার নিয়ে পেট ভরে ভাত খেতে চাই। সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে চাই। দূর্নীতি, চাঁদাবাজি চাই না। দিনে দুপুরে কেউ কাউকে কুপিয়ে মারুক সেটা চাই না। গাড়ি বাসে আগুন চাই না। খুন হত্যা চাই না। জামাত শিবির চাই না। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে। নারীদের সম্মান করতে হবে। যারা শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙ্গেছে তাদের শাস্তি দিতে হবে। যারা বলে কলিজা ছিড়ে ফেলবো, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই দেশে- রাজাকার, জামাত শিবির কোনো উচ্চবাক্য করতে পারবে না। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। দেশে যেন বেকার না থাকে। রাস্তায় ভিক্ষুক থাকবে না। কোনো মানুষ যেন রাস্তায়/ফুটপাতে না ঘুমায়। অন্যায় হবে না। কেউ ক্ষমতার গরম দেখাবে না। চাটুকার, দালাল থাকবে না। বাংলাদেশ হবে হাসি খুশি ভালো মানুষের দেশ। দেশের মানুষ গুলো হবে- মানবিক এবং হৃদয়বান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


