জালাল সাহেব অপেক্ষা করছে ট্রেনের জন্য। কিন্তু ট্রেন কেন যে আজকে আসতে দেরী করছে বুঝতে পারছে না, অন্যদিন তো এত দেরী করে না কখনো। ট্রেনের অপেক্ষায় তাকিয়ে থেকে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে জালালের, ভাবে এইবারই শেষ। জালাল যে ট্রেনে চুরি করে এটা শুধু জালাল আর জালালের বউ রহিমা ছাড়া কেউ জানে না । খুবই সহজ কাজ এই ট্রেনে চুরি করা, যাত্রীরা যখন ঘুমে ব্যস্ত ঠিক তখনি তাদের লাগেজ, ব্রীফকেস চেন্জ করে নিয়ে যাওয়া। গতবারে বেশ লাভ হয়েছিল জালালের। ২০ হাজার নগদ টাকা আর কিছু সোনার অলংকার ও পেয়েছিল। সেখান থেকে ট্রেনে চুরি করা অভ্যাস শুরু।
এটা সেটা ভাবতে ভাবতে ট্রেন আসতেই জালালের ঘোর কাটে আর মনে মনে ভাবে এবারই শেষ কেননা মেয়েটা বড় হয়েছে, নাম সুমী। সুমী যদি জানতে পারে যে তার বাপ চোর তাহলে সে খুবই কষ্ট পাবে । সুমী ক্লাস টেনে পড়ে, বেশ ভাল ছাত্রী, সবারই অনেক প্রশংসা। এই মেয়ে যদি জানতে পারে তাহলে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষও খেতে পারে। মনের অজান্তে এসব ভাবতে ভাবতে ট্রেনে ওঠে জালাল আর ভাবে এবারই শেষ। জালালের বউ রহিমা যেদিন জানতে পারে সেদিন সেও অনেক রাগ করেছিল কিন্তু পরে অভাবের তাড়নায় আর বাধা দিতে পারে নাই।
জালাল সুট/টাই পরে পুরাপুরি ভদ্রলোক, কে বলবে যে সে ট্রেনে চুরি করে, কারো বোঝারও সাধ্য নেই। সবাই ঘুমাচ্ছে ট্রেনে আঘোর ঘোরে। জালাল ঘোরাঘুরি করছে কোন লাগেজ বা ব্রীফকেস নিয়ে সামনের কোন স্টেশনে নেমে যাবে। ঘুরতে ঘুরতে একটা বগি থেকে ২ টা ব্রীফকেস নিয়ে অন্য বগিতে বসে আছে। কত সহজ কাজ কেউ বুঝতেই পারল না জালাল যে চুরি করে পালাচ্ছে, মনে মনে ভাবে এই কাজ এত সহজেই ছাড়া যাবে না। সামনের স্টপেজে নেমে পড়ে জালাল তখনো সকাল হতে বেশ দেরী। জালাল ব্রীফকেস দুটো নিয়ে হাটছে আর ভাবছে একটা ব্রীফকেস এত বেশী ভারী লাগছে কেন, নিশ্চই কোন দামী কিছু আছে ঐ ব্রীফকেসে। ভাবতে ভাবতে বাসায় ফেরে জালাল। বাশায় গিয়ে ব্রীফকেস দুইটি লুকিয়ে ফেলে। রহিমা কে বলে ওকে ডিস্টার্ব না করতে । জালাল নিশ্চন্তে ঘুম দেয়, ঘুমের ঘোরে ভাবতে থাকে ঐ ব্রীফকেসের কথা কেন ঐটা এত ভারী। আর স্বপ্ন দেখে অনেক টাকা / সোনা দানায় ভর্তি ঐটা । স্বপ্নেই খুশি হয়ে ভাবে আর তাকে চুরি করতে হবে না।
পরদিন সন্ধ্যায় রহিমা আর জালাল রাতের অন্ধকারে ব্রীফকেস দুইটা আনে সে সময় মেয়ে সূমী ঘুমাচ্ছে । রহিমা আর জালাল আগে ভারী সুটকেস টা খুলতে থাকে। ভেতরে অনেক কাপড় চোপড়। একটা একটা করে সরাতে থাকে। সেসময় কারেন্ট চলে যায়। রহিমা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়ে আসে আর সেই মোমবাতির আলোয় একটা একটা করে কাপড় সরাতে সরাতে ভাবে এই বুঝি দামী কোন জিনিস পাবে । হাটাৎ দেখে অনেক দামী জিনিস , লাশ , একটা বাচ্চার লাশ , হে দামী জিনিসই বটে ..রহিমা চিৎকার দিয়ে ওঠে আর জালাল ভয়ে অবাক হয়ে লাশ টার দিকে চেয়ে থাকে আর সুমী এসে লাশ দেখে ভয়ে কাপতে থাকে।
বি,দ্র: রহস্য পত্রিকা কোন এক গল্পের ছায়া আবলম্বনে ।
আলোচিত ব্লগ
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)
ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন
আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।