কি আর বলুম
এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বৃহস্পতিবার সকালে তারা মহানগর হাকিম মো. সাইফুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক ইরফান আহমেদ সানি ও সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন।
আসামিদের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত শুনানি করে তিনজনকে ১০ জুন পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। ওইদিন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।”
আদালতে আসামিপক্ষে আরো ছিলেন কাজী নজিবুল্লা হিরু। আর বাদী বিএনএস গ্র“প অব কোম্পানির চেয়ারম্যান এমএনএইচ বুলুর পক্ষে শুনানি করেন তাপস কুমার দত্ত।
গত সোমবার মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বুলু। আর্জিতে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৯ জুন আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল স্ট্যাম্পে চালানের কপি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফান্ডসে জমা দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বুলুর ৬৪ হাজার শেয়ার ডেসটিনি ২০০০-এর নামে হস্তান্তর করে নেয়।
বুলুর দাবি, তিনি বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের ৬৪ হাজার শেয়ারের মালিক। শর্তসাপেক্ষে ওই শেয়ারগুলো হস্তান্তরের জন্য বাদীর সঙ্গে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চুক্তি হলেও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড শর্ত অনুযায়ী তাকে ব্যাংক ঋণ থেকে মুক্ত না করায় ওই চুক্তি বাতিল করা হয়।
ওইদিন শুনানি শেষে তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন ধরে স¤প্রতি ডেসটিনি গ্র“পের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ব্যাংকিং চালানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি সংবাদপত্রে এ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাদের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার কথা বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এছাড়া কয়েকদিন আগে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও তার স্ত্রীসহ গ্রুপের শীর্ষ পাঁচ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সূত্রঃ বিডি নিউজ ২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



