somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পক্ষেও না বিপক্ষেও না – নিউট্রাল

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীর সব আন্দোলনের সময়ই জনগণ সাধারণত তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদল পক্ষে, এক দল বিপক্ষে, আরেক দল নিউট্রাল। শেষ দলকে নিউট্রাল বলা হলেও, এতে আসলে নানা ধরণের মানুষ থাকে। যেমন, এদের কেউ কেউ আন্দোলনের পক্ষ বা বিপক্ষ যে কোন একটিকে সমর্থন করে, কিন্তু ঝামেলার আশংকায় তা প্রকাশ করে না। কিছু আছে শান্তশিষ্ঠ। দিন দুনিয়ার ঝাঝালো অবস্থা এরা শিশুদের চোখে দেখে। এরা ঝামেলা অপছন্দ করে বলে আন্দোলনও অপছন্দ করে। কিছু আছে ভালো। এরা কোন একটা পক্ষে যেতে চায়, কিন্তু পারিবারিক বা অন্য কোন সমস্যার কারণে নিজকে গুটিয়ে রাখতে বাধ্য হয়। আরেক দল আছে, বোধ বুদ্ধিতে খাটো। ঝামেলা করতে এদের আপত্তি নেই, কিন্তু কোন দিকে যাওয়া উচিত তারা ঠিক ঠাওর করে উঠতে পারে না। আরেক দল আছে সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ। তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। নিজেদের গা বাচিয়ে যতটুকু সম্ভব আন্দোলন থেকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে। এই নানান কিসিমের মানুষে ভরা লোকদের এই দলটিকে আমরা এই আলোচনায় নিউট্রাল না বলে ‘আম-পাব্লিক’ বলতে পারি।

আম-পাব্লিকরা আন্দোলনের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকে না। কিন্তু আন্দোলনের সুফল ভোগ করে। আন্দোলনের ফল মিষ্টি হলে এরা বলে, আন্দোলনটা মজা ছিলো। আহ কী মিষ্টি! আন্দোলনের ফল টক হলে এরা বলে, আন্দোলনটা টক ছিলো। ওয়াক কী টক! আন্দোলনের আগে বা আন্দোলন চলাকালীন সময় এরা মুখে কুলুপ এঁটে রাখে। আন্দোলনের ফসল ঘরে আসার পর, ফসল টিপেটুপে নজর করে দেখে তারপর তারা আন্দোলনের পক্ষে বা বিপক্ষে তাদের মূল্যবান মন্তব্যটি প্রকাশ করে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, আন্দোলনটি সফল বা ব্যর্থ যে কোন একটি ফলাফলে চলে আসার পর এই আম-পাব্লিকরাই সবচে বেশী সক্রিয় হয়। এমনকি কখনও কখনও এরা আন্দোলনের ক্রিয়াশীল অংশ(আন্দোলনের পক্ষে বা বিপক্ষের লোক)-দের চেয়েও বেশী সক্রিয় থাকে। এরা আন্দোলনের আগের অবস্থার সাথে পরের অবস্থার তুলনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নানা মূল্যবান মন্তব্য প্রদান করতে থাকে!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিপ্লবের নিঃশব্দ মূল্য: অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বাংলাদেশি ছাত্র আন্দোলন

লিখেছেন মুনতাসির, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

এ লেখাটি বেশ বড়ো। এখানে ছোট করে দেয়া হল। পুরো লেখাটি যদি কেও পড়তে চান, তবে নীচের লিঙ্ক থেকে পড়তে পারবেন।


সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন পর্যালোচনা চলছে। জাতিসংঘের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিরহ

লিখেছেন গোধুলী বেলা, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪

একটি কবিতা লিখা হবে বাদে কিছুক্ষণ
মেঘমালারা বারি পাত করিছে ক্ষণে ক্ষণ।
গগনভেদি কামান গোলা পরিছে মুহুর্মুহু
দুরুদুরু ভয়েতে কাপিছে বুক বাদ যায়নি কেহ।

জানালার পাশে  প্রেমিকার ছলছল চোখ
বৃষ্টিরো সাথে সে কেঁদে  ভাসাইছে বুক।
হাজারো... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিছু কিছু মানুষ বলার শুরু করেছে, "আমরা আগেই ভালো ছিলাম"।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:০২



একাধিক কারণে মানুষ ইহা বলার শুরু করেছেন: (১) সাধারণ মানুষ কোমলমতিদের ক্রমেই চিনতে পারছেন, ইহা ভীতি ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করছে; কোমলমতিরা সরকারের গুরুত্বপুর্ণ অনেক পদে আছে ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি - একাল সেকাল

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮



টানা বৃষ্টির মধ্যে মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি । অন্যদিকে ফার্মের মুরগির এক পিছ ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা।শুধু মরিচ নয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কমলা যদি পরাজিত হয়, "দ্রব্যমুল্য"ই হবে ১ নম্বর কারণ

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭



দ্রব্যমুল্য হচ্ছে অর্থনৈতিক সুচকগুলোর ১ টি বড় প্যারামিটার; ইহা দেশের অর্থনীতি ও চলমান ফাইন্যান্সের সাথে সামন্জস্য রেখে চলে; টাস্কফোর্স, মাস্কফোর্স ইহার মুল সমাধান নয়; ইহার মুল সমাধন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×