আমাদের চলার পথে কতোযে ঘটনা ঘটে তা বলে শেষ করা যাবেনা। এই তো গত কাল অফিস থেকে ফেরার সময় একটা ঘটনা ঘটলো। আমি বাসে উঠলাম, যদিও সিটিং বাস তার পরও ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়ার পর আর সিটিং থাকেনা। বাসে উঠার পর এই শীতে ও গরম লাগে, তো ফার্মগেট , ছাড়ার পর হঠাৎ একজন মহিলা চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করলো, সবাই এই মহিলার দিকে তাকালাম , উনার কোলে একটা ছোট্ট শিশু, শিশুটি কেমন যেন করচেছ, তাকিয়ে আছে কিন্তু কোন কথা বলতে পারছেনা। হয়তো গরমে এমন হয়েছে, আস্তে আস্তে শিশুটির মাথা হাত পা কেমন নিঃস্তেজ হয়ে এলো। আর বাস বলে কথা , কতো জন যে কতো কথা বলছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। একজন বলছে এখানেই নেমে যান , আর একজন বলছে এখনো নামছেনা কেন ? এখান থেকে রিক্মা দিয়ে শিশু হসপিটালে চলে যান, কিন্তু তখন বাসটা যেখানে, সেখান থেকে রিক্মা দিয়ে যাওয়া খুব কঠিন , আর একটু পথ গেলেই খুব সহযেই উনারা হসপিটালে পৌঁছাতে পারেন। কিন্ত জনগন বলে কথা, একেক জন পারলে লোকটাকে টেনে হিঁছরে নামিয়ে দেয়। তখন তো লোকটার মাথা ঠিক নেই সবার উচিত লোকটাকে একটু শান্ত করে সঠিক জায়গায় নামিয়ে দেওয়া।
আমি অবশ্য দুইবার বলেছিলাম যে আর একটু সামনে গেলে উনারা সহজে যেতে পারবে সময়ও কম লাগবে কিন্তু কে শোনে কার কথা। শেষে ওই জায়গায় লোকটাকে ওই অসুস্হ শিশুটি সহ নামিয়ে দিলো সেই বুদ্ধিমান লোক গুলো , তবে তারা কিন্তু দেখছেনা লোকটা কি শিশুটাকে নিয়ে কোন রিক্মায় উঠতে পেরেছে কি না , তারা তাকে নামিয়ে দিয়ে খুব বড় একটা উপকার করলো যেন ওই লোকটার । আমি জনালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি , লোকটা শিশুটিকে নিয়ে পাগলের মতো ছুটচেছ । কিন্তু কোন যানবাহন পাচেছনা , উপকার করতে গিয়ে তাড়াতাড়ি নামানোর ফলে এখন তো শিশুটি মৃতু্র মুখে চলে যাচেছ। আমি অনেক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম , সাথের মহিলাটা তো পাগল প্রায়। আমরা তো উপকার করতে গিয়ে মনে হয় অপকারই করে ফেলেছি। এখতো আমরা আর জানিনা শিশুটি কি অবস্হায় আছে। তাই আমাদের উচিত সকল বিপদে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করা, তাহলে আমাদের এবং বিপদগ্রস্ত সকল মানুষের উপকার হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪১