বড় আশা করে হলে উঠেছিলাম
১ মাসের মাথায় সিট বয়কট হয়েছিল আমার।
অপরাধ ছিল একটা একটা চাকু ব্যাগে ছিল।
সেইটা হল সুপার কিভাবে যেন জানতে পেরে আমার ব্যাগ সার্চ করে সেই চাকুটা পেল। মিটিং এ নিয়ে আমার এই অপরাধ সবাই কে বলা হলো। আমি তখন সবে মাত্র প্রথম ইয়ার। বড় ভাইয়েরা সবাই চমকে গেল। হল সুপারে কাছে অনেক কাকুতি মিনতি করেও সিট টিকাতে পারলাম না।
৩ দিন পর হল ছাড়তে হলো,,,
আমার খুব ইচ্ছে ছিল আমি হলে উঠবোই যেভাবেই হোক। স্যার দের পেছনে অনেক ঘুড়লাম তবে কোন কাজ হলো, তাদের ভাব সাব দেখে এমন মনে হতো, যেন আমি একটা সন্ত্রাসী আমাকে হলে উঠালে ছেলে পেলে নষ্ট করে ফেলবো আমি।
তার পর এক বড় ভাই বুদ্ধি দিল, রাজনীতি ছাড়া হলে পুনরায় প্রবেশ প্রায় অসম্ভব। যেই কথা সেই কাজ নেতাদের পিছনে ছুটতে লাগলাম। তখন কার বগুড়া যুবদলের সভাপতি ছিল সিপার আল বখতিয়ার ভাই, বি এন পির ভাল দাপট ছিল তখনো ২০১২/২০১৩ সময়ে।
তার সাথে কয়েক জন ছোট ভাই নিয়ে দেখা করলাম এবং বিস্তারিত বলিলাম সিপার ভাইয়ের কাছে। তিনি আমাকে আচ্ছা দেখবে বলে আশ্বাস দিল। তারপর টানা এক মাস তার মিছিল মিটিং এ নিজের টাকা খরচ করে বিপুল পরিমাণ জনবল নিয়ে হাজির হতে লাগলাম।ভাই আমার প্রতি অনেকটাই অন্তরিক হয়ে উঠল।
তার পর তিনি হোস্টেল সুপার এর নাম্বার টা চাইলেন। আমি তার নাম্বার টা দিলাম সাথে সাথে ভাই কল দিলে হল সুপার কে বলে দিল। হল সুপার আমাকে ফোন দিল সন্ধায়। আমি দেখা করলাম তাহার সাথে তিনি বলিল, বাবা তুমি মশা মারতে কেন কামান ধাগা করতেছো। আমাকে বলিলেই ব্যাবস্থা করে দিতাম। অথচ আমি তার কাছে বেশ কয়েক বারই গিয়েছিলাম, কিন্তু কোন গুরুত্ব পাই নি। স্যার নিজে সাথে করে আমাকে নিয়ে গেল হলে একটা রুম দিল অস্থায়ীভাবে। আমার দিন গুলি ভালই কাটতে লাগলো, তখন পুরোটাই ছাত্র দলের অধিনে ছিল আমাদের হল। ভালই চলতে ছিল দিন গুলি। ঝামেলা বাধলো তখনি যখন শেখ হাসিনা ২য় বারের মত আবার ক্ষমতা পেল। বিনপির নেতাদের ধরা হচ্ছে। সিপার ভাই ও তার নিজ পার্টি অফিস থেকে গ্রেফতার হলো, আঃ লীগের পার্টি অফিসে ককটেল হামলার দায়ে। আমার তেমন ঝামেলা হয় নি যেহুতু আমি বগুড়ার স্থানীয় না পড়ালেখা সুত্রে গিয়েছি।
তার পর পরের অভিজ্ঞতা আপনারা চাইলে চালিয়ে যাবো,,,,,
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৩