somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'আমাদের বলে কিছু নেই'

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আসলেই আমাদের বলে কিছু নেই!"

চোখ বুজলেই ছোট্ট বেলার যে ছবিটা চোখে ভাসে-
বড় বাড়ির বিশাল উঠান,
আকাশের পাশে ফসলের মাঠ, কাঁঠালের বন,
বাঁশের বাগান, সবগুলো পাখি; পুরোটা চাঁদ!
বলতো সবাই সব তোমাদের; তোমার খেলার-
পুরো অধিকার!
অনেক বছর হয়ে গেছে পার; হঠাৎ দেখি-
মিল নেই সেই অবুঝ কথার; কোনকিছুই ছিলো না,
বা কোনকিছুই নয় আমাদের!

পাশের বাড়ীর ওরা, দিয়েছিল এক আহত পাখি!
নামটি ছিল খুব মিষ্টি বসন্তবৌরি।
বলল সবাই এখন থেকে ওটা তোমাদের;
দেখে রেখো, যত্ন করো, খাবার দিও, স্নেহ দিও,
সবই দিলাম; ঘুমের ঘোরে তবুও শেষে মরেই গেলো!

স্কুলের বেলায় সবুজ এক মাঠ, বাড়ীর বুকের-
পাশেই ছিলো,
মাঠটা থেকে আকাশটাকে আলাদা করাই শক্ত ব্যাপার!
আমার অবুঝ মনটা তখন ঘাসফড়িঙের মতো;
উড়তো আর লাফাত খুব মজার খেলায়; ইচ্ছে যতো!
বলতো বাবা- ‘এই মাঠটা তোমার খেলার!’
‘আমাদেরই ভাবতে পারো!’
বুঝতে গিয়েই বড় হলাম; সেটাও কিন্তু নয় আমাদের!

কৈশোরেতে কলেজ গেলাম;
নতুন খাপের পুরনো জীবন, চেনা লোকের অচেনা মন,
রঙিন চশমায় ঘোলাটে সব; জুটেও গেলো বন্ধু কজন!
পৃথিবীটা নতুন ছিলো; স্যারদের চোখ এড়িয়ে,
পিছন সারির ডানের বেঞ্চে, গালগল্পের হাতছানিতে,
সবাই মিলে ঠিক বসতাম!
বলতো ওরা, অই বেঞ্চটা শুধু আমাদের!
রাস্তা দিয়ে যাবার সময় চোখ পড়লো দালানটাতে,
বুঝতে পারলাম, বেঞ্চটা আর নেই আমাদের!
ভানুমতীর খেলায় নাকি হারিয়ে গ্যাছে সব!

যৌবনেরই প্রথম প্রহর;
তোমার সাথে হঠাৎ দেখা, তরূণ চোখের দুষ্টামিতে-
মায়াবী চোখের আস্কারা!
দুজন মিলে রেস্তোরাতে; কফির কাপে খুনসুটি,
কোণার টেবিলে চীনা খাবার; অপেক্ষা বারবার!
বলতে তুমি- ‘কোণার টেবিল ঠিক আমাদের!’
‘ফাঁকা না পেলে আজ বসবো না আর!’
অনেকদিন পর কি এক কাজে, ঢুকেই গেলাম সোজা,
রেস্তোরাটা বদলে গেলেও কোণার টেবিল ঠিকই আছে!
কিন্তু সেই জায়গাটা আর নেই আমাদের!
হয়তো নতুন যুগল বসে দিচ্ছে মনের বায়না।
নেই আমাদের আগের মতো খুব চেনা!

অফিস যাবার একটু আগে, চোখটা রাখি আয়নাতে,
চুলের বহর হালকা অনেক, মুখের ভাঁজে বয়স নাচে,
দেয়াল ঘড়ির তিনটি কাঁটা দেয় ঘোষণা-
সময় সে কখনোই- নয় আমাদের! নয় তোমাদের!
আমাদেরই বয়স নিয়ে পালিয়ে যায় সে অজান্তে!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×