দেখা দিও একশ বছরে একবার!
হ্যালীর ধূমকেতুটার চেয়েও দুর্লভ হতে পারো তুমি,
তবু দেখা দিও একবার মধ্যরাতের রাস্তায়!
যখন ঘুমাবে কফির মগ আচ্ছন্ন জোছনায়,
বেহুশ বিলের জলে অকারণে আকাশের ছায়া,
ছায়াপথ ছেড়ে নেমে এলে চুপচাপ নৌকার নিকটে,
দেখা দিও তুমি একবার সেই আলোর আঁধারে।
বসে আছি নিঃসংগ শেরপার মতো বহুকাল,
এ জনারণ্যের ভীড়ে ফেরারি আসামি হয়ে আমি,
লুকিয়ে অন্ধ কোণায়!
খুন করে নিজস্ব মন, দুটো হাত তাজা রক্তে লাল!
ঝরে পড়া গোলাপের পাপড়িকে ছুয়ে সেই উষ্ন ধারা,
ভিজায় এ শহরের উপকূল সকাল ও বিকাল।
মহাযুদ্ধের কালে মরে যাওয়া ফার্নের কংকাল,
রেখেছি যত্ন করে বিপ্লবে পুড়ে যাওয়া ছোট্ট টেবিলে,
আজো জল দেই তাতে,
জানি আসবেই তুমি কোন এক বিস্মৃত রাতে!
পুরানো ঘন্টার স্মৃতি ধূসরিত শব্দের মতো আশাতে।
দেখা দিও তুমি অন্তত একবার একশো বছরে।
পৃথিবীর সব কথা জমিয়ে এখনো রাখি,
পুন্ড্রের আনাচে কানাচে পাওয়া,
কালো পাথরের ম্লান হওয়া ডাবরের ভিতর!
এ শহরের মোড়ে মোড়ে যে ভালোবাসারা উড়ে,
তাদের না বলা কথা সাজিয়ে রাখি তালিকা করে,
মহাফেজখানায়!
যদি বহুদিন পর দেখা দাও ঘোর বরষার রাতে,
গল্প করবো হাজার বছর এক বসাতেই-
সবগুলো রাত তোমারই সাথে!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭