somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুলিশের সঙ্গে রাত দুপুরে যে মেয়েটা সমানে তর্ক করেছে সেই আসলে প্রকৃতপক্ষে দেবী। তাঁর ভেতরেই দেবী ভর করেছিলেন। মুভি রিভিউ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মুভি রিভিউঃ- দেবী

মিসির আলি। আমরা যা কিছুই চিন্তা করি তার সবটাই দৃশ্যগত করা সম্ভব নয়। উপন্যাসকে সিনেমাতে রূপদান করা এমনিতেই কঠিন, আর সেই উপন্যাস যদি অনেকবেশি বস্তুজগতের বাইরে মানসজগতের হয় তাহলে যে সেটা দৃশ্যগত করা কেমন কঠিন হবে বলাই বাহুল্য। আমি মিসির আলিকে নিয়ে একটি দীর্ঘ গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছি এক বছরও হয়নি। আর সেজন্যই ‘দেবী’ সিনেমাটি দেখার সময় আমার বারবার সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ের সাথে অবচেতনে তুলনা চলে আসছিল। যারা ‘দেবী’ উপন্যাস পড়েছেন, মিসির আলিকে পড়েছেন বোধকরি তাঁদের সবারই এমন তুলনা চলে এসেছে। আমি আমারটা আলাদাভাবে উল্লেখ করলাম এই কারণে যে, শুধু পাঠক হিসেবে পড়া আর গবেষণা প্রবন্ধ লেখার জন্য পড়ার মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। সময়, শ্রম এবং মনোযোগের গভীরতা এই পার্থক্য তৈরি করে। যাইহোক, প্রথমদিকে কিছুক্ষণ এভাবে দেখার পর আমি নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্মোহভাবে দেখতে সক্ষম হই (আমার সেটা মনে হয়েছে)। মিসির আলিকে নিয়ে গবেষণা করেছি বলেই এই ছবিটি নিয়ে লেখার একটা দায়বদ্ধতা বা তাড়না আমার ভেতর তৈরি হয়েছে।

‘দেবী’ উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র হয়েছে শুনে আমার প্রথমেই যে প্রশ্নটা মনে এসেছিলো সেটা হল, মিসির আলির ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে কিভাবে? এই চরিত্রে রূপদান করতে পারে এমন অভিনেতা আমাদের কে আছে? আমি অনেক ভেবেও কোন অভিনেতাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বরং মিসির আলি সমগ্র ১ এর প্রচ্ছদের ছবি দেখে আমার বারবার মনে হত শুধু আসাদুজ্জামান নূর-কে এমন গেটাপে মানাতে পারে। পর্দায় দেখলাম চঞ্চল চৌধুরীকে। উপন্যাসে মিসির আলি ছিলেন অত্যন্ত রোগা এবং আঙ্গুলগুলো অস্বাভাবিক লম্বা, তাঁর দৃষ্টি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ। এখন জরুরী নয় যে, সিনেমাতেও এমন রোগা এবং অস্বাভাবিক লম্বা আঙ্গুলের অধিকারী মিসির আলিকে দেখাতে হবে। চঞ্চল যে গেটাপটি নিয়েছেন সেটি আমার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তাঁর চুল খুবই পছন্দ হয়েছে এবং পোশাকের ধরণও ভালো লেগেছে। চশমাটা আরেকটু মোটা ফ্রেমের হতে পারতো। মানে হল, মেকাপ-গেটাপে মিসির আলিকে এভাবে মেনে নেয়া যায়। তাহলে পরের প্রসঙ্গ মিসির আলি চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়। এখন পর্যন্ত যতটুকু শুনেছি, পড়েছি প্রায় কেউই চঞ্চলের অভিনয় এখানে পুরোপুরি পছন্দ করতে পারছেন না। কেউ বলছেন ভালো লাগেনি, কেউ বলছেন আরও ভালো হতে পারতো, আবার কেউ ভালোও নয় খারাপও নয় এমন মনোভাবে আছেন। আমি এই ক্ষেত্রে চঞ্চল চৌধুরীর থেকেও অনেক বেশি দায় দেখতে পেয়েছি পরিচালকের। মিসির আলি প্রচুর বই পড়েন, আনমনে থাকেন, খেয়ালী মানুষ। কিন্তু তাঁর দৃষ্টি খুব তীক্ষ্ণ। অথচ আমরা পর্দায় একবারও চঞ্চল চৌধুরীর তীক্ষ্ণ গভীর দৃষ্টি দেখিনি। শুধু তাই নয়, পুরো সিনেমায় তাঁর মোট উপস্থিতির সময়ও উপন্যাসের তুলনায় যথেষ্ট কম। দর্শক আসলে কি দেখতে চেয়েছেন ছবিটিতে? আর নির্মাতা কি দেখাতে চেয়েছেন? দর্শক কি দেবী উপন্যাসের রানু চরিত্রটিকেই শুধুমাত্র প্রধান মনে করে সিনেমাটি দেখতে চেয়েছেন, নাকি মিসির আলিকেও সমান গুরুত্বপূর্ণভেবে দেখতে গিয়েছেন। যেহেতু মিসির আলি হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট একটি সুস্পষ্ট সাহিত্যিক চরিত্র এবং তাঁকে ঘিরেই উপন্যাসগুলো সেহেতু তিনিই যে প্রধান চরিত্র তাতে কোন প্রশ্ন থাকতে পারে না। মূলত তাঁকে ঘিরেই, তাঁর কেইস প্রেক্ষাপটে অন্যান্য চরিত্রগুলোর আগমন। কিন্তু কথা হল, মিসির আলিকে নিয়ে এটিই ছিল প্রথম উপন্যাস এবং আমরা যদি মিসির আলি সিরিজ বাদ দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে শুধু এই উপন্যাসটি ধরি, অর্থাৎ মিসির আলিকে আরও বিশেষায়িত কিছু না ভেবে শুধুমাত্র এই উপন্যাসের প্লটে বিবেচনা করি তখন কেমন দাঁড়ায়। উপন্যাসটি শুরু হয়েছিল রানুর স্বামী আনিস সাহেবের রানুকে নিয়ে ভাবনা দিয়ে। গল্প শুরুর স্থান, কাল, পাত্র সব রানু ও তার বাসা কেন্দ্রিক। রানুর চিকিৎসার প্রয়োজনে মিসির আলির আগমন ঘটে। আর তখন থেকেই নিজের ব্যক্তিত্ব এবং কাজের ধরণ দিয়ে মিসির আলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। পর্যায়ক্রমে রহস্য সমাধানে এই চরিত্রের ব্যাপ্তি পুরো উপন্যাসে ছড়িয়ে যায়। একদম শেষে এসে রানুর জ্বর আর নিলুর আটক অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি আবার গৌণ হয়ে যান, তাঁর কোন ভূমিকা তখন একেবারেই দেখা যায় না। অর্থাৎ রানুকে নিয়ে শুরু হয়ে তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়েই গল্পটি শেষ হয়। যদিও শেষে কয়েক লাইনে ক্লাসে নিলুর মুখের মধ্যে রানুর ছায়া দেখে অবাক হওয়ার মাধ্যমে মিসির আলিকে ফিরিয়ে আনা হয়। যাইহোক, যে জন্য এই কথাগুলো বলা, উপন্যাসে যেমনই হোক দর্শক যে তীব্রভাবে মিসির আলিকে দেখতে চাইবেন পরিচালকের সেটি মাথায় রাখা দরকার ছিল। এমনকি উপন্যাসটিতে মিসির আলির যতটুকু ব্যাপ্তি সেটুকুও সিনেমায় তুলে আনা হয়নি। পর্দায় এই চরিত্রের উপস্থিতি এত কম সময় ছিল এবং তাঁর কাজগুলো অর্থাৎ মিসির আলির রহস্য সমাধানের ধরণ এতটাই দ্রুতগতিতে চলে গেছে যে, যিনি মিসির আলিকে চেনেন না এবং চঞ্চল চৌধুরীকেও চেনেন না তাঁর কাছে এটা ২য় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মনে হতে পারে। এমনকি ৩য় মনে হলেও অবাক হবার কিছু নেই। অথচ উল্টোটা হতে পারতো যেহেতু সিনেমার শুরুটা হয়েছিল মিসির আলিকে দিয়ে। পুরো সিনেমাটাই বলতে গেলে শুধু রানুর কাহিনী আর অল্প একটু নিলুর কাহিনী হয়ে গেছে। সিনেমাতে অপ্রয়োজনীয়ভাবেই রানুর উপস্থিতি দীর্ঘতর করা হয়েছে। যতবার রানুর নিজের নাম শোনা, হাসি শোনা, নূপুরের শব্দ শোনা, দুই মেয়ের ছায়া দেখানো এবং নিজের অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে থাকা দেখানো হয়েছে এতবার এগুলো দেখানোর কোন প্রয়োজনই ছিল না। রিপিটেশনে সময়টা গিলেছে। অথচ এগুলো এতবার না দেখিয়ে যদি মিসির আলির কাজগুলো, রহস্য সমাধানে তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও শ্রম যত্ন নিয়ে দেখানো হত তাহলেই আর পর্দার মিসির আলিকে নিয়ে এমন খেদ হতো না বলে আমার বিশ্বাস। মিসির আলি তাঁর অসুস্থ শরীর নিয়ে রানুদের গ্রামে গিয়ে মন্দিরের ভাঙা ছাদের উপরে বসে সারারাত বৃষ্টিতে ভিজে প্রচণ্ড নিউমোনিয়া বাঁধিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনো তিনি রানুর রহস্যটি নিয়ে ভাবতে থাকেন। সিনেমায় এগুলো আসেনি। তিনি নিজের খরচেই সবকিছু করেন। কাজের প্রতি কতটা ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা থাকলে একজন মানুষ এভাবে করে যায় তার খুব সামান্যই পর্দার মিসির আলিতে ফুটে উঠেছে। তাঁকে আমরা স্থিরভাবে বসে ভাবতে পর্যন্ত কোথাও দেখিনা। বিপরীতে জয়া আহসান তো নিঃসন্দেহে ভালো অভিনয় করেন। রানুর চরিত্রটিতে তিনি যথার্থই ছিলেন। যদিও দুই এক জায়গায় আমার কাছে অতি অভিনয় মনে হয়েছে। তবে মোট কথা নিজের অভিনয় গুণের সাথে কাহিনীর অতি কেন্দ্রিকতা এবং পর্দায় উপস্থিতির কারণে তিনি একেবারেই সবাইকে, সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছেন এই সিনেমায়। এটা কৈশোরে কোন মেয়ের যৌন হেনস্থা থেকে তৈরি হওয়া ভয়, কল্পনা, মানসিক অসুস্থতা কিংবা জগতের অশরীরী অথবা ভৌতিক অব্যাখ্য কোন ঘটনা থেকেও রানুর কাহিনী বেশি হয়ে উঠেছে। মিসির আলি তো কোন অতিপ্রাকৃত ঘটনার বৈজ্ঞানিক অথবা যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর কাছে আসেও এমন ধরণের কেইস। তিনি সব সমাধান করতে পারেন তা নয়, যেগুলো পারেন না সেগুলো অমীমাংসিত খাতায় রেখে দেন। আমরা এই সিনেমা দেখে কোনদিকে যাবো তা একেবারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন পরিচালক। উপন্যাসে তো মিসির আলি অনুসন্ধান চালিয়ে রানুর সব সমস্যার সূত্রপাত কোথায়, কিভাবে হয়েছিল তা তুলে ধরেছিলেন এবং একেকটি রহস্যের ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন। রহস্যভেদের উত্তেজনা নিয়ে গল্পটি পড়ে যেতে হয়। একেবারে শেষে চমকের মত দেখা যায় আসলেই রানুর মধ্যে দেবীর মত অলৌকিক কিছু ছিল যা পরে নিলুর মধ্যে চলে যায়। কিন্তু সিনেমায় এমন রহস্যটাই জাগেনি। শুরুতে, মাঝখানে সবসময় মনে হয়েছে রানুর মধ্যে অলৌকিক কিছু আছে এবং এটা একটা আধিভৌতিক ছবি। মজার ব্যাপার হল, সিনেমাটি দেখার সময় আমার সঙ্গী যিনি ছিল তিনি হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়লেও মিসির আলি কখনো পড়েননি। দেবী উপন্যাসের কাহিনী, বিষয়বস্তু বা মিসির আলি সম্পর্কে কিছুই তাঁর জানা ছিল না। আমার অনুরোধে ছবিটি দেখতে এসেছিলেন। শুরুর কিছুক্ষণ পর বললাম,’বোরিং লাগছে?’ বললেন, ‘না, ভালো লাগছে’। বিরতির সময় বললেন, ‘আমি কিছু বুঝলাম না’। আমি বললাম, ‘পুরোটা দেখেন, তারপর হয়তো বুঝবেন’। বিড়বিড় করে বললেন, ‘অর্ধেক হয়ে গেলো, এখনো কিছু বুঝলাম না’। ছবি শেষ করে আবার তিনি বললেন, ‘আমি বুঝলাম না কিছু’। আমি ঘটনা বললাম, ‘দেখলেন তো জয়া অসুস্থ, অস্বাভাবিক, মিসির আলি রহস্য বের করার চেষ্টা করলেন, নিলুর সাথে ওই লোকটি খারাপ ছিল এবং শেষে দেখা গেলো জয়ার ভেতর থেকে দেবী নিলুর মধ্যে গিয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে দিলো’। উনি শুধু মাথা নাড়তে লাগলেন এবং আমি বললাম, ‘তাহলে তো বুঝছেন’ এবং মনে মনে হাসলাম। মজার ব্যাপার হল, নিলুর কাছে শয়তান লোক ইরেশের লেখা চিঠিটাকে আমার সঙ্গী ভেবেছিলো রানুর লেখা চিঠি। রহস্যময়ভাবে এই চিঠি এবং গিফট রানু তাকে পাঠিয়েছে! তাঁর মত আরও অনেকের এমন ভাবা বিচিত্র কিছু না।

নিলুর চরিত্রে শবনম ফারিয়া বেশ ভালো করেছে। বিশেষ করে একটা দৃশ্যের জন্য তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করতেই হবে। নিজেকে লুকিয়ে রাখা ব্যক্তিত্বের ডাউন স্ট্রিমে থাকা একটা চরিত্র, যার চোখ সবসময় আনত থাকে, শেষে হাত বাঁধা অবস্থায় যখন দেবী তাঁর ভেতরে প্রবেশ করে আর সাথে সাথে যেভাবে সে তাকায় আমি মনে মনে বলে উঠেছি, বিউটিফুল! নমনীয় এবং দুর্বল চোখ থেকে হঠাৎ করেই তাঁর এই উত্তরণ এবং দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা আমার খুব ভালো লেগেছে।
পুরো ছবিতে একমাত্র যেখানে আমি চোখে-মনে পূর্ণভাবে তৃপ্তি পেয়েছি বা বিমোহিত হয়েছি সেটা হল মিসির আলির ঘর। উপন্যাসে অন্ধকার ঘর লেখা থাকলেও, ছবিটিতে তাঁর ঘর আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করে বিভিন্ন জায়গায় গাছগুলো সাজানো ছিল, চারিদিকে বইয়ের ভিড় আর চিলেকোঠায় আলোর খেলা সব মিলিয়ে তাঁর ঘরটিকে আমার এই ছবিতে আর্ট ডিরেকশনের সবচেয়ে ভালো কাজ মনে হয়েছে। এবং যতবারই তাঁর ঘরে ক্যামেরা এসেছে ততবারই আমি মনে মনে বলেছি বিউটিফুল! এবং চেয়েছি ক্যামেরাটা আরও কিছুক্ষণ এখানে থাকুক। রানু ও আনিসের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্যগুলো সুন্দর ছিল। নিঃসঙ্গ প্যাঁচার সাথে রানুর বসে থাকার সিম্বলিক দৃশ্যটাও ভালো লেগেছে। রানুর ছোটবেলায় কিশোরীদের একসাথে দৌড়ে নদীতে যাওয়ার দৃশ্যটা সুন্দর ছিল। স্বল্প সময়ের উপস্থিতিতে ইরেশও বেশ ভালো অভিনয় করেছে।

সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম এবং প্যারাসাইকোলজিক্যাল ইন্সিডেন্ট এক জিনিস নয়। আমাদের অজ্ঞতায় আমরা অনেক মানসিক সমস্যাকেই ভৌতিক বলে মনে করি। আবার সত্যিই ব্যাখ্যার অতীত কিছু ঘটনা ঘটে চলে পৃথিবীতে। আমেরিকার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংক্রান্ত একটি বিভাগ আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর মিসির আলি সিরিজগুলো এই ব্যাখ্যাযোগ্য এবং অব্যাখ্য দুটি ব্যাপারকে মিলিয়ে লেখা। উপন্যাস পড়লে বিনোদনের সাথে মানুষের মন নিয়ে অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানা হয়, জ্ঞান লাভ হয়, কিন্তু ছবিটি দেখে কোন কিছুই জানা হয় না। বিনোদন হয়তো কিছুটা পাওয়া যায়, তাও তো পূর্ণ বিনোদন নয়। রানুর ছোটবেলায় মন্দিরে গিয়ে জালাল উদ্দিনের দ্বারা যৌন হেনস্তা হওয়ার বিষয়টা নিয়েও তেমন কিছু ভাবার বা বোঝার অবকাশ পাওয়া যায় না। বাস্তবে সত্যি এমন কোন দেবী এসে আমাদের মেয়েদের কাউকে বাঁচিয়ে দেয় না।

তবে যাই হোক, এটা তো অযথা নাচ-গান ওয়ালা, যুক্তিহীন মারামারির কমার্শিয়াল ছবি নয়। এধরনের সিনেমা দেখা দরকার নির্মাতা ও কলাকুশলীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য। ঘাটতি বুঝে নিয়ে সামনে আরও ভালো কাজ করার জন্য। যদি না-ই দেখেন তাহলে তো আর সামান্য উৎসাহটুকুও থাকে না। আর মিসির আলির ঘরটা দেখলে সত্যি অনেক আনন্দ পাবেন। মন ভালো করে দেয়ার মত ঘর।পরিচালক অনম বিশ্বাসের টেকনিক্যাল দিক খুব ভালো। অন্তত এই আস্থা জন্মেছে যে তিনি অবশ্যই চাইলে ভালো ছবি নির্মাণ করতে পারবেন।

অনেক লিখলাম ছবিটি নিয়ে। আমার কথার সাথে কারো একমত হওয়ার কোন দরকার নেই। আমি মিসির আলিকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছি বলেই আমার এই রিভিউ লিখতে ইচ্ছে হয়েছে। পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×