ঝালকাঠি থেকে সাখাওয়াত হোসেন শাওন : বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারা দেশের ৪,৫০১ টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র গঠন করেছেন । সেখানে প্রায় ৯ হাজার ছেলে-মেয়ে কাজ শুরু করছে। কিন্তু এখন সবার কাছে একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে আসলে এটা কি করে সম্ভব যে, আমরা সঠিক ভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পারবো কি না এই নিয়ে প্রশ্ন সবার মধ্যে । ঝালকাঠি জেলায় ৩২ টি ইউনিয়ন এবং ৩২ টিরই টেনিং শেষ হয়েছে কিন্তু এ পর্যন্ত কাজ শুরু করেছে ৩/৪ টি, এছাড়া বাকী আর কোনটাই এখনো শুরু হয়নি। এ ধরনের সব যায়গাই চলছে নানা অস্তিরতা এবং সবার মধ্যে একটি ভিতি কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় উদ্যোক্তারা । তারা বলেন আসলে আমাদের কি টেনিং দিয়ে সমাপ্তী টানা হবে না কি সঠিক ভাবে কাজও করতে হবে ? আবার অনেকে বলে আমাদের কি বর্তমান সরকারের আমলেই এই কাজে থাকবে নাকি অন্য কোন সরকার আমলে আমরা কাজ করতে পারবো এ ধরনের হাজারো প্রশ্ন এখন সবার মাঝে । সত্যি কথা বলতে কি আমাদেরকে স্থায়ী করন না করলে এ ধরনের কাজে মন মানশিকতা থাকেনা। তবে তাদের কাজকে শক্তিশালী করতে হলে দরকার ১। সকল উদ্যোক্তাকে সরকারী ভাবে স্থায়ী করন, ২। রিতীমতো মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা, ৩। সকলকে সরকারের গেজেট অনুযায়ী ২ শ্রেনীর কর্মকর্তা কর্মচারীর ন্যায় নাই হোক ৩/৪ শ্রেনীর কর্মচারীর ন্যায় পদমর্যাদা দেয়া, ৪। বর্তমান সকারের ২০২১ সাল পর্যন্ত যে ভিশন আছে সেটা সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা সহ তাদের এই কাজকে সঠিক ভাবে পালন করার জন্য সকলের সহায়তা করা, ৫। বর্তমান সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে সকলকে স্থায়ী ভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরী করা এবং ৬। নুন্যতম মাসিক একটা ভাতা প্রদান করা। এই ভাবে যদি হয় তা হলেই সফল হবে বর্তমান সরকারের ২০২১ বিশন । মাঠ পর্যায়ে দেখা যায় গত ১১ ই নভেম্বরের আগে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ভাষন সম্পচার করার জন্য যে ব্যস্থতা ছিল সবার মাঝে কিন্তু ভাষন শেষ হওয়ার পর এখন সে ধরনের ব্যস্থতা আর নেই কারও মাঝেই। উদ্যোক্তারাও কোন খোজ খবর নিচ্ছে না এবং অনেককেই খুজেও পাওয়া যায় না। অনেক সেন্টারে খোজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্যোক্তারা সেন্টার পরিচালনার জন্য একবারের জন্যও পা রাখেনা ইউআইএসসি সেন্টারে এবং যাওয়ার জন্য তাদেরকে বাধ্যও করেনা ইউপি চেয়ারম্যানরা। আবার অনেক চেয়ারম্যানরা ইউআইএসসি সেন্টার পরিচালনার জন্য যে, জিনিস পত্র দেয়ার কথা ছিল তা এখনো আর দিতে চায়না। এই ধরনের নানা ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে সকল সাধারন জনগণের মাঝে। কেন না সামনে উইপি নির্বাচন সে কারনেই চেয়ারম্যানরা সঠিক ভাবে কাজও করছেনা। আমরা যারা মাঠে কাজ করছি তারা জানি যে, কে কি ভাবে সেন্টার পরিচালনা করছে। অনেকের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন কি কাজ করবো আমাদের কোন আয়ের পথ নাই কি ভাবে সেন্টার পরিচালনাই বা করি। আসলে আমার যারাই টেনিংয়ের দায়িত্বে ছিলাম তারা নিজেরাই বা কতোটুকু জানে যে, কি ভাবে তাদের আয় হবে, কি করলে তাদের আয়ের পথ খুজে পাবে এই বিষয়ে তাদের সঠিক ধারনা দেয়া হয়নি এবং আমরাও এ বিষয়ে অনেকেই জানি না। যেমন উদাহরন হিসেবে বলা যেতে পারে : আমাদের ঝালকাঠিতে যারা প্রশিক্ষন পরিচালনা করছেন তারাও জানেনা আমাদের ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের একটা ব্লগ আছে। ঝালকাঠির বাসন্ডা ইউপি ছাড়া আর কোন ইউপি থেকে কোন উদ্যোক্তাকেই এই ব্লগের সদস্য করা হয় নাই। তারা জানেই না তাদের এখান অনেক অর্ভিজ্ঞতার কথা লেখা হয়, অকেন সুবিধা অসুবিধার কথা লেখা হয়, কি ভাবে সেন্টারের আয় বাড়ানো যায়, সেন্টার পরিচালনার জন্য কি করনিয় এই বিষয়ে এখনো বুঝতে পারছেনা তারা। অনেকের মনে করেন এই কার্যক্রম হয়তো কোন মতে ১ বছর পরিচালনা হতে পারে এর পর আর কোন খবর থাকবেনা এই প্রশ্ন সবার মধ্যে সঞ্চিালিত হচ্ছে। এলাকার জনগণের মধ্যে একটি কথা শোনা যায় আর সেটি হলো বাংলাদেশে কত কি আইলো আর গেলে এখন আবার তথ্য সেবা কেন্দ্র । ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের এতো গুলো টাকা নষ্ট করে এই কার্যক্রম সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হবে না বলে অনেকেরই নিশ্চিত ধারনা। A2I, এনআইএলজি, ইউএনডিপির সকল কর্মকর্তা সহ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে জোড় অনুরোদ থাকবে আপনারা বিষয়টি নিয়ে ভেবে চিন্তে সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তা হলেই সফল হবে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গিকার ভিষন ২০২১।
শাওন
ঝালকাঠি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



