সামু নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, এটা নিঃসংকোচে ভালবাসার অন্য একটা নাম। আজকে যখন লিখতে বসেছি, দেখলাম এখানে সক্রিয়, আধাক্রিয় কিংবা ন ক্রিয়তার ৮ বছর, ৯টা মাস চলে গিয়েছে। ভাবলাম একটু অনুকথনই বা হোক না।
এইসময়ে তাবৎ দুনিয়ার আমরা লড়ছি করোনা বা COVID-19 কে নিয়ে। সকল কোলাহল পরিহারকরণি শ্রেয়। তাই হয়ত, আমার মতন নীড় ত্যাগী পাখিও আজকে এখানে আসল। সামুকে বিটিআরসি খুলে দিয়েছে, সেটা আগেই দেখেছিলাম। কিন্তু কলমটা ধরার আর ফুরসত হয়নি।
একটা সময় ছিল, যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যার্থী থেকে বিশ্বভ্রম্মান্ডের বিদ্যার্থী হতেই বেশি পছন্দ করতাম। যদিও আমি লিখতে পারি না, দু একটা দাগ কাটার একটা প্রয়াস হয়তবা চালাই, কিন্তু পড়তে ভীষণ বাসি ভাল। আমি তখন 'ব্লগ ডে' বা "সামু" দিবস পালন করতাম। সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি ছিল, তো একটা দিন তো দেয়াই যায়। তাই আগুনশিয়ালে ভয় করে খিড়কিতে বসে যেতাম পড়তে। এখন অবশ্য আমি আর খিড়কিতে বসি না, পছন্দও না, আমার লিনু খুবই ভালা পাই। যাই হোক, সকাল থেকে রাত অবধি পড়তাম, যা ভাল লাগত সবই পড়তাম, প্রিয়তে নিতাম। এই আর কি। এই করতে করতে এক সময় ইচ্ছে হল নিজেও কেন দাগাদাগি করি না? দাগ কাটতে কাটতেই তো একদিন বর্ণের সাথে আলাপ হবে। সেখান থেকে ভাব, ভালবাসাটুকুও হবে। এভাবে কোনদিন বাক্য থেকে অনুচ্ছেদের সাথে অনুনয়টাও হয়ে যাবে। যদিও এখনও বর্ণ থেকে শব্দ বা শব্দের কাছাকাছি আছি কিনা সেটা জানি না, চেষ্টা করি কিনা সেটাও না বলতে পারলেও, মনে ও মননে একটা প্রয়াশ ঠিকই আছে, যার ফলস্বরূপ এই যে, লিখছি। তবে একটা আক্ষেপ বা অভিযোগ, আমার মনে, যে লিখার বা যেসব লিখা আমায় সামু ডে পালনে বাধ্য করত, তেমনটা হয়ত আমার চোখে পড়ে না। হয়ত, আমি আর তেমন পাঠক নেই, হতেও পারে।
অনেক ঝড় গেছে, দেখতে দেখতে প্রায় ৯টি বছর পেরিয়ে গেল, ভাবতেই অবাক লাগে।
সবাই বাসায় থাকুন, ভাল থাকুন।
সাজ্জাদ হোসেন
পেশাগত হিসাববিদ ও নিবন্ধিত আয়কর পেশাজীবি
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৭