বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের কোনো আশঙ্কা নেই বলে অভিমত দিয়েছেন বিবিসি বাংলাদেশ আয়োজিত সংলাপে অংশগ্রহণকারী আলোচকেরা।
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট এই সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক আকবর হোসেন বলেন, দেশ এখন উত্তাল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘সরকার যখন ব্যর্থ হয়, কেবল তখনই সামরিক হস্তক্ষেপের প্রশ্ন আসে। সরকার যদি বর্তমান পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে পারে, সে ক্ষেত্রে সামরিক হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘এক-এগারো সৃষ্টি হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরোধকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে যে অবস্থা তাতে একদিকে জনগণ, অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধী। সুতরাং শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের জাগরণকে কেন্দ্র করে সামরিক হস্তক্ষেপের কোনো কারণ নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি উদ্বিগ্ন। সরকার যদি তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে নির্বাচন না দেয়, তাতে দেশের রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ হতে পারে।’
তবে সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘সামরিক বাহিনী কখনোই শাহবাগের আন্দোলনকে নিজেদের প্রতিপক্ষ বানাবে না।’ -
(প্রথম আলো)
কিন্তু সেনা বাহিনী মাঠে নামলে আমি সব থেকে বেশি খুশি হব,
কারন সেনা বাহিনী ছারা পরিস্থিতির উন্নতি হবেনা।