Click This Link
রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় আজ সোমবার সকালে এক উপপরিদর্শককে (এসআই) পিটিয়ে তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছেন ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি রাজশাহী উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন। রাস্তায় পড়ে থাকা জাহাঙ্গীরকে ঝর্ণা বেগম নামে এক নারী পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি এই হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিবিরের কর্মীরা রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় একটি মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ রাস্তায় বাধার সৃষ্টি করে। বাধা উপেক্ষা করে শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল ছোড়েন। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবারের গুলি ছোড়ে।
পুলিশ সদস্যরা সংখ্যায় ১০ জনের মতো ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা পিছু হটতে থাকেন। এ সময় শিবিরের কর্মীরা এসআই জাহাঙ্গীরকে ধরে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁর কাছ থেকে পিস্তল ও ওয়াকিটকি কেড়ে নেন। এ ছাড়া তাঁদের হামলায় শফিকুল ইসলাম, লতিফুর হায়দার ও জাকির হোসেন নামে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
জাহাঙ্গীর ও শফিকুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। লতিফুর ও জাকিরকে রাজশাহী পুলিশ রাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সা কর্মকর্তা রুখসানা পারভীন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এসআই জাহাঙ্গীর মাথা ও চোখের ওপরের দিকে আঘাত পেয়েছেন। তাঁর মাথার আঘাত গুরুতর।
তবে সার্বিক ঘটনার বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল রোববার রাজশাহীর বাটারমোড় এলাকায় সংঘর্ষের সময় জামায়াত-শিবিরের বোমা হামলায় পুলিশের এসআই মকবুল হোসেনের (২১) ডান হাতের কবজি উড়ে যায়। প্রথমে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিত্সার জন্য তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সংঘর্ষে পুলিশের আরও ছয় সদস্যসহ অন্তত ৩২ জন আহত হন।