পাসপোর্ট বর্তমান বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ট্রাভেল ডকুমেন্ট। বর্তমান পৃথিবীতে যে কোন স্বাধীন দেশের যে কোনো নাগরিক ইচ্ছে করলেই একটি পাসপোর্ট এর মালিক হতে পারেন।
প্রাচীন আমলে পৃথিবীতে অসংখ্য রাজ্য ছিল । ছিলেন অসংখ্য রাজা। এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যেতে তাদের পাসপোর্ট লাগত বলে শোনা যায়নি।
পৃথিবীতে পাসপোর্ট এর ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। তাই প্রাচীন আমলের রাজা বাদশাদের পাসপোর্ট না থাকার সম্ভাবনাই ব্যাপক।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস সেই আমলের রাজা হয়েও আধুনিক আমলের একটি পাসপোর্ট এর মালিক হয়েছিলেন।
১৯৭৪ সালে প্রাচীন এই রাজার মমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় মেরামতের জন্য ফ্রান্সে নেয়া হয়েছিল । সেই সময় প্রচলিত বিধি অনুযায়ী মৃতদেহ পরিবহনের জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় । তিন হাজার বছরের পূর্বের রাজাকেএকটি মিশরীয় পাসপোর্ট প্রদান করা হয় যাতে তাঁর মরদেহ পরিবহন সহজতর হয় এবং সেখান থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পুনরায় মিশরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
তাই প্রাচীন আমলের হাজার হাজার রাজাদের সাথে তুলনা করলে মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস কে অনেকটাই ভাগ্যবান বলা যেতে পারে। কেননা, তিনি সেই আমলের রাজা হয়েও এই আমলের একটি পাসপোর্ট এর মালিক হয়েছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এই পাসপোর্টটি তিনি পেয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুর অনেক অনেক বছর পরে। নিচের ছবিতে সেই পাসপোর্টের ছবি দেওয়া হল।
মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস এর ঐতিহাসিক সেই পাসপোর্ট ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫