somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

খোলো তোমার ভালবাসার জানালা

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তোমার জন্মদিনে গিয়েছি সীমা ছাড়িয়ে
অবাক মৌনতায় নিয়েছো আদর কেড়ে।
তোমার জানালায় পাঠিয়েছি প্রেম বারবার
সারাদিন সারারাত ; ভালবাসার সুখপ্রপাত।
একসময় আটকে দিলে তোমার ভিতরে
মোর ভালবাসার যাদুর কাঠি …
তারপর নিরবতা ….আহা কি প্রশান্তি!
আবারো খুলো প্রেমের করিডোর
সুপরিকল্পনা ছাড়া প্রতিহত করা যায়না
ফুলের কন্টক ; পরম সাধনার ধন মোর কাছে
ওগো প্রিয়তমা তোমার মন;
ভ্রমরের রেণুমাখা দেহ
ফুলের গর্ভাশয়ে সানাইয়ের সুর বাজাতে হলে
এবার খোল ভাঁজ, চেখে দেখি যমুনার উষ্ণ জল
তারপর দু'জনে হই ক্লান্ত দেহ- শরতের শিশির ভেজা ঘাস।
পরোয়া করোনা সখি ,
যা বলে বলুক লোকে, ওগো মায়াবতী।
আমি তোমার সেই একজন। যাকে মনের গহীনে
লুকিয়ে রেখেছো সুদীর্ঘ সময় ; র্যৌবনের অনুরাগে;
কত সোহাগ করেছো কপট রাগের ছলনায়!
ধূলো দিয়েছো পরশ্রীকাতর জিজ্ঞাসায়।
ভালবাসা দিয়েছো ঢেলে
নিরব অভিসারে..।
বৃক্ষের শেকড়ের মত দিনে দিনে
শুধু গভীর থেকে গভীরতর স্থানে
মিশে গেছি হৃদয়ের আকরে তোমার ।
এবার শুধু সঙ্গম হোক…
নতুনের আয়োজনে
আমাদের দু’জনার বাগান
এলা ভরে উঠুক ফুলে আর ফলে
চল হই উদাসী প্রেমের বাতায়নে ।

খোলো তোমার ভালবাসার জানালা।


সনেট কবি বলেছেন:
কবি সেলিমের ‘খোল তোমার ভালবাসার
জানালা’
কবিতায় সনেট মন্তব্য-
মূল কবিতার সঙ্গে এড করে দিলাম
সনেট কবির সনেট খানা
(আশা করি আপত্তি করবেন না করলে জানাবেন)

ভালবাসার জানালা ওপাশে দাঁড়িয়ে
ভরপুর প্রেম সিক্ত কবির অপেক্ষা
প্রিয়ার বিলম্বে ক্লান্ত মনে অনুযোগ
জানালা খোলায় বাড়ে তাগাদা অনেক।
অতীত স্মৃতির কণা ছন্দ হয়ে ঝরে
যেন ফুলেরা ঝরছে অনবরত সে
কবিমন দূর্বাঘাসে শিশিরের ভেজা
ভোরের আবছা আলো আধাঁরের মাঝে।

অবশেষে খুলে যায় প্রিয়ার জানালা
ফুরফুরে হাওয়ার সাথে কবি দৃষ্টি
পড়ে প্রিয়ার মুখের চন্দ্রিমা উদ্যানে।
শায়মার আঁকা ছবি প্রিয়ার মুখের
অনুরূপ ভাবে কবি। অনুপমা তবে,
কবি মনে বহে প্রীতি সুখ স্রোত ধারা।


শাহরিয়ার কবীর কবিতা রূপ দিয়েছেন এভাবে :

তোমার জন্মদিনে গিয়েছি আমি আনন্দের সীমা ছাড়িয়ে
কিন্তু তোমার অবাক মৌনতায় নিয়েছো আদর কেড়ে।
তোমার জানালায় পাঠিয়েছি আমার প্রেম বারবার
সারাদিন সারারাত ; ভালবাসার সুখপ্রপাত।
একসময় আটকে দিলে তোমার ভিতরে
ভালবাসার যাদুর কাঠি …
তারপর নিরবতা ….আহা কি প্রশান্তি!
আবারো খুলো প্রেমের করিডোর
সুপরিকল্পনা ছাড়া প্রতিহত করা যায়না
ফুলের কন্টক ; পরম সাধনার ধন মোর কাছে
ওগো প্রিয়তমা তোমার মন;
ভ্রমরের রেনোমাখা দেহ
গর্ভাশয়ে সানাইয়ের সুর বাজাতে হলে
এবার খোল ভাঁজ, চোখে দেখি যমুনার উষ্ণ জল
তারপর দুজনে হই ক্লান্ত দেহ- শরতের শিশির ভেজা ঘাস।
ওগো মায়াবতী, ওগো রূপবতী
ওগো আমার প্রাণের সখি
তুমি আর পরোয়া করিনা
যে যা বলে বলুক লোকে...
আমি তোমার সেই একজনা। যাকে মনের গহীনে
লুকিয়ে রেখেছো সুদীর্ঘ সময় ; র্যৌবনের অনুরাগে;
সোহাগ করেছো কপট রাগের ছলনায়
ধূলো দিয়েছি পরশ্রীকাতর জিজ্ঞাসায়।
ভালবাসা দিয়েছো ঢেলে
নিরব অভিসারে..।
বৃক্ষের শেকড়ের মত দিনে দিনে
শুধু গভীর থেকে গভীরতায়
ঢুকেছি হৃদয়ের গৃহে তোমার ।
এবার শুধু সঙ্গম হোক…
নতুনের আয়োজনে
আমাদের দু’জনার বাগান
এবার ভরে উঠুক ফুলে আর ফলে
চল হই উদাসী প্রেমের বাতায়নে । ..





ছবি: শায়মার দক্ষহাতে আঁকা

এলা লালমনিরহাটে আঞ্চলিক ভাষা। এর অর্থ বোধ হয় এ বেলা।অথবা এখন ।

অশেষ কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় সনেট কবি ও শাহরিয়ার কবির ।

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩০
৪৯টি মন্তব্য ৫৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×