somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

বৃষ্টিভেজা কবিতাত্রয়

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটু কাছে আসো

বৃষ্টির ঝাপটা আজ নিলাম গায়ে মেখে
এতো দিনের ভ্যাবসা গরম যেন এক নিমিষে—
দূর হয়ে গেছে।

বৃষ্টির পানি ভীষণ ঠান্ডা লেগেছে তাই ভালো
আল্লাহ তায়ালার রহমত যেন —
পৃথিবীর বুকে বৃষ্টি হয়ে নেমে এলো।

বৃক্ষগুলো ভিজে জবুথবু,
পাখির বাসা ঝড়ো হাওয়ায়
এদিক ওদিক দোলিতেছে শুধু।

চলার পথে জমলো জল
থামলো পথিক—পথ চলাচল
এমন ক্ষণে মনটা আমার চাইছে তোমায় কাছে,
এমন ক্ষণে দূরে থাকার কী কোন মানে আছে?
সোনার মেয়ে একটু কাছে আসো
মধুরতরো ক্ষণে শুধু আমায় ভালোবাসো..


ঋণশোধ

ভোরের আকাশ—বৃষ্টি ভেজা
বৃষ্টিস্নাত ক্ষণ—আকাশটা যেন কেঁদেই চলছে
বিষন্ন তার মন।

মুষলধারে পড়ে বৃষ্টি—ঐ দূরের আকাশ থেকে,
কাছের আকাশ কোথায় তুমি গড়েছো আবাস?
দু’নয়নে তোমায় দেখছি না যে!

মনটা তাই মরুভূমি যদিও শ্রাবণজলে দেহ ভিজে গেছে
পাষাণবুকে পাথর বেঁধে আঁকো আল্পনা
জীবনটা যে অনেক ছোট তবে কি বুঝতে পারেছো না?
কতদিন ধরে ডাকছি তোমায় আর ডাকবো কতদিন!
আর কতদিন ডাকলে তবে কানায় কানায় পূর্ণ হবে
ব্যবধান কাব্য দূরে ঠেলে ভালোবেসে হাসবে অমলিন।

মৃত্যুশাসিত জীবনে তুমি শোধিবে কবে?— ভালোবাসার ঋণ
এতো কবিতায় প্রেম ত্রিভূবনে আর কাহারো নেই
প্রতিটি চরণ স্বর্ণমুদ্রা হলে—সেই ঋণ শোধিতে হবে শুধু তোমাকেই ।



দু’জনে মিলে ভাব করি চলো

আকাশে অনেক মেঘ মুষলধারে বৃষ্টিতো পড়ছেই!
ব্যস্ত নগরে ব্যস্ত জীবন— চলছে তো চলছেই।
এখানে ব্যস্ততার শেষ হয় মৃত্যু এলে পরে,
এরই ফাঁকে প্রগাঢ় প্রেম ঠিকই বসত গড়ে।
দু’জনে বসে এবার না হয় কাজের ফাঁকে
হয়ে যাক ঈষৎ উষ্ণ— এক কাপ চা ।
অতীত দিনের মধুর স্মৃতি তাতে লাগিবে মন্দনা।
বৃষ্টির জল দেহে যেন কামনার আগুন জ্বেলে গেলো
মনটাতো আগে থেকেই— ভীষণ এলোমেলো ।
ভাব করার তাই এখনই সময়;
দু’জনে মিলে ভাব করি চলো ।


সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×