একটু কাছে আসো
বৃষ্টির ঝাপটা আজ নিলাম গায়ে মেখে
এতো দিনের ভ্যাবসা গরম যেন এক নিমিষে—
দূর হয়ে গেছে।
বৃষ্টির পানি ভীষণ ঠান্ডা লেগেছে তাই ভালো
আল্লাহ তায়ালার রহমত যেন —
পৃথিবীর বুকে বৃষ্টি হয়ে নেমে এলো।
বৃক্ষগুলো ভিজে জবুথবু,
পাখির বাসা ঝড়ো হাওয়ায়
এদিক ওদিক দোলিতেছে শুধু।
চলার পথে জমলো জল
থামলো পথিক—পথ চলাচল
এমন ক্ষণে মনটা আমার চাইছে তোমায় কাছে,
এমন ক্ষণে দূরে থাকার কী কোন মানে আছে?
সোনার মেয়ে একটু কাছে আসো
মধুরতরো ক্ষণে শুধু আমায় ভালোবাসো..
ঋণশোধ
ভোরের আকাশ—বৃষ্টি ভেজা
বৃষ্টিস্নাত ক্ষণ—আকাশটা যেন কেঁদেই চলছে
বিষন্ন তার মন।
মুষলধারে পড়ে বৃষ্টি—ঐ দূরের আকাশ থেকে,
কাছের আকাশ কোথায় তুমি গড়েছো আবাস?
দু’নয়নে তোমায় দেখছি না যে!
মনটা তাই মরুভূমি যদিও শ্রাবণজলে দেহ ভিজে গেছে
পাষাণবুকে পাথর বেঁধে আঁকো আল্পনা
জীবনটা যে অনেক ছোট তবে কি বুঝতে পারেছো না?
কতদিন ধরে ডাকছি তোমায় আর ডাকবো কতদিন!
আর কতদিন ডাকলে তবে কানায় কানায় পূর্ণ হবে
ব্যবধান কাব্য দূরে ঠেলে ভালোবেসে হাসবে অমলিন।
মৃত্যুশাসিত জীবনে তুমি শোধিবে কবে?— ভালোবাসার ঋণ
এতো কবিতায় প্রেম ত্রিভূবনে আর কাহারো নেই
প্রতিটি চরণ স্বর্ণমুদ্রা হলে—সেই ঋণ শোধিতে হবে শুধু তোমাকেই ।
দু’জনে মিলে ভাব করি চলো
আকাশে অনেক মেঘ মুষলধারে বৃষ্টিতো পড়ছেই!
ব্যস্ত নগরে ব্যস্ত জীবন— চলছে তো চলছেই।
এখানে ব্যস্ততার শেষ হয় মৃত্যু এলে পরে,
এরই ফাঁকে প্রগাঢ় প্রেম ঠিকই বসত গড়ে।
দু’জনে বসে এবার না হয় কাজের ফাঁকে
হয়ে যাক ঈষৎ উষ্ণ— এক কাপ চা ।
অতীত দিনের মধুর স্মৃতি তাতে লাগিবে মন্দনা।
বৃষ্টির জল দেহে যেন কামনার আগুন জ্বেলে গেলো
মনটাতো আগে থেকেই— ভীষণ এলোমেলো ।
ভাব করার তাই এখনই সময়;
দু’জনে মিলে ভাব করি চলো ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫