somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

কবিতা উপলব্ধি ও কোভিভ নাইনটিন দূর হবে কবে?

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোভিড নাইনটিন ভীষণ ছোঁয়াচে, তার সাথে ছুয়াছুয়ি খেলা বিপর্যয় ডেকে আনবে এটাই স্বাভাবিক। রুবানা হক ছূয়াছূয়ি নয় জড়াজড়ি খেলার আয়োজন করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক নিয়ে, বি বাড়িয়ায় মৃত হুজুরের জানাজায় শোডাউনে , তুচ্ছ বিষয়ে মারামারি ধস্তাধস্তি করে
সীমিত আকারে ব্যবসাপাতি চালু করে। আবার পঙ্গপালের মত দলে দলে ঈদের ছুটিতে মানুষের ঢল হলে আবারও আরেক দফা আক্রান্তের পথ প্রশস্ত হবে। বাংলাদেশের মানুষ একমাত্র ঘরে আটকে রেখে সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব এই দেশে স্বাস্থ্য বিধি মতে চলার ক্যাপাসিটি ও সচেতনতা শতকরা দশ ভাগ অফিসের ও নেই। হাট বাজার জনসমাগম স্বাস্থ্য বিধি মতে করার সক্ষমতা আমাদের কারোরই নেই। বিজিনেস সেক্টর আর ও নাজুক। সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে ইটালী অভিবাসীদের লকডাউনে বন্দী না করে মুক্ত বিহঙ্গের মতো তাদের কোভিড নাইনটিনের সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ করে দিয়ে। মানুষের অসচেতনতা অসতর্কতা এই অসুখ
সাদরে আপ্যায়ন করে ঘরে আনা হয়েছে। কাজেই পরিস্থিতি ভয়াবহ। সত্য উপলব্ধি করতে হবে। ভুল করা যাবে না। পুরোপুরি নবীর সুন্নত মতে লকডাউনে থাকতে হবে। কঠোর হতে হবে। শুরু থেকেই সেনাবাহিনী নামিয়ে শক্ত হাতে লকডাউন সুনিশ্চিত না করার খেসারত দিতে হচ্ছে। এমন আলেম ওলামা নেই যারা প্রকৃত দ্বীন ইসলামের কথা বলছেন। তারাও অর্থের উপাসনায় মেতে আছেন। মুফতি ইব্রাহিমের ওয়াজে করোনা ভাইরাস এদেশে আক্রমণ করার যুক্তি এতো ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে এদেশে করোনা আসে কিভাবে এর পিছনে ও অর্থের উপাসনা ই প্রকট ধর্ম ব্যবসা লালসালুর দৌরাত্ম্যে স্রষ্টার অনুমোদন নেই । দেশের মানুষ ধার্মিক হতে পারে কিন্তু রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপ আর ভেজাল ঢুকে গেছে এই দেশে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত লকডাউনে অনেক বেশি কঠোরতা অবলম্বনের সুফল ভোগ করছে। আর আমরা ছুঁয়াছুয়ি খেলছি। এই দেশে ধর্মীয় নেতা যাদের মনে করা হয় তারা মানুষের ঘরে ঘরে আমলের দাওয়াত নিয়ে গেছে এমন দৃষ্টান্ত নেই বললেই চলে। বরঞ্চ ইংরেজি শিক্ষিতরা যখন তাবলীগের নামে মানুষ দের ঘরে ঘরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছে কাঠমোল্লাদের আচরণ ছিল গ্রামের সেই সব চেয়ারম্যানের মত যারা শিক্ষা বিস্তার তাদের ক্ষমতার মসনদের জন্য হুমকি মনে করে বাঁধা প্রদান করেছে নস্যাৎ করেছে। কারণ এই দাওয়াতে তাবলীগ লালসালুর জন্য হুমকি। ধর্ম ব্যবসার জন্য হুমকি। তাবলীগের বিনে পয়সায় দ্বীনের মেহনত সহ্য করবে কেন? মওদুদীরাও তাদের বিরুদ্ধে। যারা বলেন সাঈদী হুজুর মুক্তি পেলে করোনা দৌড়ে পালাবে তারা ডাহা মিথ্যে বলছেন। এদের দোয়ায় কচুটাও হবে না। চরমোনাইয়ের পীর দিয়ে ও হবে না। এরা ক্ষমতার জন্য লালায়িত। ধর্মপ্রচারক নয় ধর্ম ব্যবসায়ী । তারা জানে প্রতি পক্ষকে যে কোন প্রকারে ঘায়েল করে নিজের দল ভারী করা। এখন ভরসা গণহারে আল্লাহর কাছে তওবা করে আত্মশুদ্ধির পথে গিয়ে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করা এই মহামারী থেকে মুক্তি চাওয়া। সর্বস্তরের মানুষ আন্তরিকভাবে যার অবস্থানে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জ্ঞান বিজ্ঞানের সুষ্ঠু প্রয়োগ চিকিৎসা ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা। ঘরে থাকা। গোটা দেশ মহান একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়
নিয়োজিত হওয়া। যারা ভাবছেন আল্লাহ তায়ালা চাইলে ই তো পারেন করছেন না কেন। আরও কত পাগলের প্রলাপ। তারা কি কখনো ভেবেছেন। আল্লাহর তায়ালার চাওয়া কি ? এতটুকু বলা যায় তিনি ক্বুন ফায়াকুনের মালিক। তিনি চাইলে এখনই কোভিড নাইনটিন ফিনিশ হয়ে যাবে। এখন সময় ঐক্যগড়ার এখন সময় আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মগ্ন হয়ে সমবেত প্রচেষ্টায় কোভিড নাইনটিনকে রুখে দাঁড়াবার। আল্লাহ আমাদের এই ভয়াবহ আপদ হেফাজত করুক গোটা পৃথিবীকে নিরাপদ আবাস করুন এই প্রার্থনা থাকলো।

এবার কবিতা হয়ে যাক

উপলব্ধি !!!!
________
মানুষের অবয়ব আর দেহাকৃতি নিয়ে
আসলে বিকৃত উল্লসিত অনৈতিক সব কাজে
চেহারা আর শরীরে তাদের আছে বিলাসিতা
তাদের নেই কোন মন যেন বৃথাই মানব ভ্রূণ
তাদের শুধু আছে গজ ফিতা
অনর্থ পরিমাপের, তাদের দিন কেটে যায় ভোগবিলাসিতায়,
প্রভু নয় প্রকারান্তরে অর্থই আসল প্রভু তাদের উপাসনায়, ত্রাণ বিতরণের নামে তারা
করিতে পারে অর্থ লুট দূ র্যোগের দিনে
ত্রাণ দানে তারা তাই এমন উৎসুক
অবয়বে তাদের ব্যথার কপট জলছাপ
জগৎ জুড়ে ব্যবসা তাদের আছে
বলাতো যায় না কোন সময়ে
কোনটা যে কাজে লাগে ।
ধর্ম ব্যবসায়ী নাস্তিকতার ফেরিওয়ালা
অসৎ রাজনীতি ভিন্ন ভিন্ন মেরুতে হতে পারে
তাদের বসবাস
নিয়তির নির্মম পরিহাসে
তারা একই স্বভাবজাত শুধু ভিন্ন তাদের লেবাস
মানুষের জীবনের নেই কোন দাম তাদের কাছে
ওটা তো অসৎ ব্যবসা
অসহায় মানুষের অধিকার চেটে পুটে।
সর্বস্ব লুট করে তারা তলাটাও চাটে
মানুষ তাদের ভাবে বড় দাতা
তারাই যেন প্রিয় মুখ জনসমাজে
তাদের প্রার্থনার নেই কোন দাম স্রস্টার দরবারে, জ্ঞানও তাদের ভীষণ সীমিত
মহান আল্লাহর অভিশাপে, আমরা শুধু থাকি বেঁচে করুনাময় আল্লাহর আশীর্বাদে।




১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×