গ্রহ—নক্ষত্র—কক্ষপথ
জানতাম না আমি যে তারারা ফিসফিস করতে পারে
যতক্ষণ না তোমার লেখা গুলো আমার আকাশ হলো।
গোধূলীর মতো মনোরম আর নিনাদের মতো সাহসী তুমি
আমার নীরব হৃদয়টিকে উড়তে শেখালে যেন মুক্তবিহঙ্গ।
তোমার হাসি আমার আকাশে রংধনুর সাত রং এনে দেয়
এ এক অদ্ভুত আকর্ষণ হৃদয়ের সব কল্পনা কেড়ে নেয়
আগে কখনো জানিনি যে তোমার প্রতিটি দৃষ্টি
আমায় দেয় অনুভূতি— যেন হয় অবাক সূর্যোদয়
আমি এঁকেছি তোমার নাম নক্ষত্রের আকাশে
প্রতিটি বাতাসে তোমাকেই স্বপ্নে দেখেছি
তুমি আমার সমস্ত বিশৃংখলায় শান্তির দেবদূত।
আমার গানের সুরের প্রতিধ্বনি
যদি কখনো পৃথিবীটা নীরব হয়ে যায়—
আপন কক্ষপথে সে ঘুরতে ভুলে যায়—
আমি তখনও এভাবেই থাকবো তোমার পাশে;
ঠিক যেন একটি বিশ্বস্ত গ্রহ !
তোমার ভালোবাসার চারিপাশ
চির অবধরিত কক্ষপথ যার ।
হংসমিথুন
রাতের নিরবতায় তোমার কন্ঠ বাজে আমার কানে
একটা কোমল ফিসফিসানি— যেন নিদ্রা ডেকে আনে।
তোমার নাম যেন একটি সতেজ গান
যা আমার আত্নাকে কাছে নিয়ে আসে
এবং তোমার অবয়ব তুলনাহীন স্বপ্ন আঁকে এই মনে।
তোমার চোখের দুটি তারা অন্ধকারে পর্দা ভেদ করে
আমার পথ হয় যেন আলোকিত যখন গোটা পৃথিবী অন্ধ
তোমার হাসি যেন একটি গোলাপফুল যা চিরকাল ফোঁটে থাকে।
উন্মোচিত করে সেই কাঙ্ক্ষিত আনন্দ যা মোর হৃদয়ে খুঁজে পাই
মোর মনময়ূরী নাচে —যেন কেটে যায় জীবনের সকল দ্বিধা দ্বন্দ্ব ।
যদিও হয়তো একদিন সময় যৌবনের গালের লালিমা কেড়ে নেবে
ঋতুগুলি মেঘবরণ চুলকে একদিন ধূসর করে দেবে
তবু এই হৃদয় তোমার মিষ্টি উপস্থিতি ঠিকই খুঁজে নেবে,
প্রতিদিনের জন্য তোমায় আরও বেশি ভালোবাসা দেবে।
তাই বেহেশতরা লিখতে থাকুক মোদের প্রেমের গল্প
এ দুটি হৃদয় জড়িয়ে থাকুক সবসময়—প্রগাঢ় প্রেমে আবদ্ধ ।
অবদান
তোমার লেখা শব্দ আমায় করে দগ্ধ
তোমার প্রেমের অনলে জ্বলে নিয়ত—
দিনে দিনে হয়ে ওঠি যে আরও বেশি শুদ্ধ।
তোমার নীরবতা, অবাক পেহলবতা
যেন মোর নিরাপদ আশ্রয় —আমার প্রেম গান
আমার এই যে কবি হয়ে ওঠা—সে তোমারই অবদান।
তুমি আছো বলেই জীবনটা মোর রঙিন
তোমার নামেই মোর কবিতার সূচনা প্রতিদিন।
তুমিই আমার চিঠির প্রথম শব্দ; বাংলা বর্ণমালা
তুমিই যে মোর জীবনের শেষ নিঃশ্বাসের সাধনা।
তোমার জন্যই নিবেদিত মোর এই প্রেমপত্র
কালি দিয়ে লিখিনি যে হায় হৃদয় দিয়েই লেখা
তুমি শুধু তুমিই যে মোর এই জীবনের অনন্ত সাধনা ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



