ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট), সাবেক বিআইটি, ঢাকা এর মেধাবী ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রেজাউল করিম, (আইইবি সদস্য নং – ২৫৯৬৮), বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায়। খেলাধূলা, শিল্প-সাহিত্য কোথায় নেই সে! পরোপকারী, প্রাণবন্ত ছেলেটি একসময় ভাল রেজাল্ট নিয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার(ইলেকট্রিক্যাল) হয়। চাকুরী হয় পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি, সাবেক পিডিবি), সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। পোস্টিং ঢাকাতেই, মহাখালী। চাকুরিটা তার স্বপ্নের বিদ্যুৎ বিভাগে। বন্ধুদের সে সবসময় গর্ব করে বলতো এক সময় বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ন হবে দেশ, যাতে আমার থাকবে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা। বিয়ে, সংসার আর এক দেবপুত্র – ভালই চলছিল জীবনটা। কিন্তু কে জানতো শর্ট সার্কিটের মত জীবন সার্কিটও থেমে যাওয়ার উপক্রম হবে। নিজের অজান্তে আক্রান্ত হয় এক প্রাণঘাতী ভাইরাসের- হেপাটাইটিস সি ভাইরাস (HCV) – যা নব্য ঈগলরুপে প্রতিনিয়ত আঘাত করতে থাকে এ যুগের আরেক প্রমিথিউসের লিভারটাকে। চিকিৎসা- আমাদের মত দরিদ্র দেশের সেটি এক প্রহসন – বিশেষত যাদের আর্থিক সামর্থ্য খুবই সামান্য। নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসা শুরু করে বিএসএমএমইউ –এর লিভার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক (ডাঃ) একেএম খোরশেদ আলমের অধীনে- পেগাসাস (Pagassay, Roche) এর মাধ্যমে দীর্ঘ ব্যয়বহুল সে চিকিৎসায় ১০ (দশ) লক্ষ টাকার অধিক ব্যয় হয়- যা ভাইরাসের মত নিজেদের আর্থিক সামর্থ্যকেও নিঃশেষ করে দেয়। আজ ভাইরাস নেই- আছে তার ক্ষত চিহ্ন ক্রনিক লিভার ডিজিস (CLD), ক্রনিক কিডনি ডিজিস (CKD), বোন মেরু ডিপ্রেসন, প্যানসাইটোপেনিয়া সহ নানাবিধ জটিলতায় আক্রান্ত সে। দরকার আরএকটু সেবা- উন্নততর চিকিৎসা। ইউরোপ, আমারেকা না হোক- পাশের দেশের ভালো কোন সেন্টারে। প্রয়োজন আরও প্রায় ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা। কিন্তু তার বা তার দরিদ্র পরিবারের আর সামর্থ্য নেই চিকিৎসা চালিয়ে যাবার। বাবা স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান মুক্তিযোদ্ধা গত হয়েছেন প্রায় দুই যুগ আগে। জীবন বাজী রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করে ছিলেন- আর রেখে গেলেন নিজের ছেলেটাকে। তিন বৎসরের ফুটফুটে ছেলে মাহাথীর- সদাচঞ্চল। স্ত্রী সামান্য স্কুল শিক্ষিকা। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রেজাউল করিম বর্তমানে আছেন বিএসএমএমইউ- ৫১৬ নং কেবিনে আর তাকিয়ে আছেন হৃদয়বান সমাজটার দিকে। আমরা যারা এই দেশটাকে বদলে দেওয়ার জন্য, জ্ঞান বিজ্ঞানে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সুন্দর স্বপ্নের পেছনে একটু একটু করে লড়ে যাচ্ছি, তারা কী মাত্র ২০ লক্ষ টাকার কাছে হেরে যাবো? ২০ লক্ষ টাকা কতো টাকা? প্রত্যেকে একহাজার টাকা করে দিলে দুই হাজার জন। ৫০০ টাকা করে দিলে চার হাজার জন!!! মাত্র!!! আসুন আমরা রেজাউল-এর পাশে দাঁড়াই।
সরাসরি অর্থ প্রেরনের ঠিকানা- মোঃ রেজাউল করিম, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ০১১৩১২১০০০৩৬৬৩৪, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ। মহাখালী শাখা, ঢাকা, বাংলাদেশ। সেলঃ ০১৭১২ ৫৮৪ ০০৬ (রেজাউল)/০১৯১৮ ৯৮৭ ০৪০ (রাজিব, ছোট ভাই)।
পরামর্শ- ডাঃ রবিউল আইয়াল সোহেল, সহকারী রেজিষ্ট্রার, কার্ডিওলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা। সেলঃ ০১৯৩৭ ০৫৮ ০৭৮, ই-মেইলঃ [email protected] অথবা মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন(মিঠু), প্রোগ্রামার, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ঢাকা। সেলঃ ০১৭১৮ ৩৬৯ ৩০৩, ই-মেইলঃ [email protected]
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



