প্রথম ব্লগ লেখা শুরু করেছিলাম, এই ব্লগ টেস্ট করতে গিয়ে। ইমরান (প্রোগ্রামার) বলল, শাহানা আপু এই ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেন তো। আমি বললাম, আমি তো বাংলায় টাইপ করতে পারিনা। ও বলল, দাড়ান আমি লিখে দিচ্ছি। কি নাম দিব? বললাম, লিখ ব্যাক্তিগত ব্লগ। ও নিজেই ফরম ফিলআপ করে রেজিস্ট্রেশন করে দিল। ব্লগ টেস্ট করার জন্যই নিয়মিত লিখতাম। একসময় লিখতে ভাল লাগতে শুরু হলো। আরিল (কোম্পানীর ওনার) পছন্দ করলোনা। বলল, অফিস টাইমে ব্লগ চলবে না। কি আর করা ৩০ মিনিটের লাঞ্চ ১৫ মিনিটে সেরে বাকি ১৫ মিনিট ব্লগে কাটাতে শুরু করলাম। পরিচিত যাকেই পেতাম অনুরোধ করতাম ব্লগ লিখার জন্য। কেউ কেউ আসলেন। এবং বেশ জনপ্রিয় ব্লগার হয়ে গেলেন।
প্রথম দুটি পোস্টে কাকতালীয় ভাবে বিড়াল চলে আসায় ভাবলাম এটাই হোক আমার ট্রেড মার্ক সব পোস্টেই মডেল হবে বিড়াল। নিজের ব্লগে লেখার সময় অনেক কষ্ট বের করতাম, তাই কমেন্টের উত্তর বা অন্য ব্লগ দেখার সময় সহজে বের করতে পারতাম না।
এবার আসি বর্তমান পরিস্থিতিতে। মনে হচ্ছে আমার লেখা অধিকাংশ ব্লগারের পছন্দ নয়। শুধু তাই নয়, তারা আমার লেখা ব্লগে প্রকাশিত হোক এটাও চাননা। দেখুন ব্লগে আমি কাউকে খুশি করতে আসি না। তবে কেউ কষ্ট পাক এটাও চাইনা। যেহেতু আমার লেখায় অনেকে বিরক্ত হচ্ছেন, সেহেতু আমি মনে করি এখানে আমার আর লেখা উচিত নয়। আমার জন্য ব্লগস্পটই ভাল। নিজের মতো লিখি, যার ভাল লাগে পড়ে যার ভাল লাগেনা পড়েনা।
যদি কেউ কখনও আমার লেখা অল্প হলেও পছন্দ করেছিলেন তো একটাই অনুরোধ, আমাকে আর এখানে লিখতে বলবেন না। কারন আপনাদের অনুরোধ অস্বিকার করতেও আমার খারাপ লাগবে।
তবে শেষ বারের জন্য সবাইকে আরেকটু বিরক্ত করবো। যেহেতু সিলেট যাওয়া নিয়ে ডায়রীর লেখা তুলে দেয়া শুরু করেছিলাম, সেটা শেষ করবো।
পুরানো ডায়রী থেকে তুলে দিচ্ছি। তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম, আর এটুকুই লিখেছিলাম, এই ভ্রমনের...
ঐদিন বিকালেই হযরত শাহজালাল (রহ মাজারে গেলাম। মাজার চত্বরটা ইট বিছানো। একপাশে মসজিদ। এটা পাহাড় বা টিলার উপরে। ওখানেই মাজার। টিলার নিচে একপাশে মহিলাদের নামাজের ঘর। ওখান থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। চত্বরে প্রচুর কবুতর। সাদা আর খয়েরি রং রমেশানো। সিফাত আর আব্বা নামাজ পড়ে আসার পর ওজুর জায়গায়র পাশ দিয়ে হেটে পুকুর পাড়ে এসে দাড়ালাম। আব্বা বললেন, কাছিম আছে। কাছিম না দেখলেও কালো পানিতে অনেক মুড়ি ছিটানো দেখলাম। পুকুর পাড়ে বেশ কিছু লোকের ভিড় দেখলাম, কাছিম দেখার জন্য। আমরা এরপর অন্য গেট দিয়ে বের হলাম। এটাই বোধহয় প্রবেশ পথ। কারন রাস্তার দুপাশে নানা রকম দোকান দেখতে পেলাম। বেশির ভাগ দোকানে কদমা, জিলিপি, ঝিনুকের মালা, আয়াতুল কুরসী লেখা বিক্রি হচ্ছিল। এগুলো রাস্তার ঠিক মাঝখানে লাইন করে দাড়ানো ছিল।
আমরা এরপর হযরত শাহপরান (রহ মাজারে যাবার জন্য স্কুটার ঠিক করলাম। এটা শহর থেকে বেশ দূরে। যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। ওখানে যখন পৌছলাম, তখন সেখানে কারেন্ট ছিল না। দেখলাম মেইন রোড থেকে একটা সরু গলির মতো চলে গিয়েছে। রাস্তাটা বোধহয় মাটির ছিল। রাস্তার দুপাশে আগের মতো দোকান পাট, তবে কারেন্ট না থাকায় মোমবাতি জলছিল। মাজারে পৌছে দেখলাম নিরিবিলি বনের মধ্যে পাহাড়ের উপর মাজার। সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিল, তাই বোধহয় ঠান্ডা লাগছিল। ওখান থেকে হোটেলে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল। পরের দিন ঠিক করলাম জাফলং যাব।
(শেষ)
আলোচিত ব্লগ
কিছু হিন্দু অখন্ড ভারত চায়
মুসলিম অখন্ড ভারত শাসন করেছে তখন তারা ছিলো সংখ্যা লঘু। খ্রিস্টান অখন্ড ভারত শাসন করেছে, তারা তখন সংখ্যা লঘু মুসলিম থেকেও সংখ্যা লঘু ছিলো। তারপর মুসলিমদেরকে সাথে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ্ সাহেবের ডায়রি ।। টাইম ম্যাগাজিনের আগামীর ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশের নাহিদ ইসলাম
নাহিদের ভাষ্য, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম– অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ ... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে গল্প প্রকাশিত হবার পর নিষিদ্ধ হয়
এক কাপ চা, শীতের সন্ধ্যায় বেশি ঝালের ভর্তায় মাখানো চিতই পিঠার অজুহাতে বুকপকেটে কতবার প্রেম নিয়ে তোমার কাছে গিয়েছিলাম সে গল্প কেউ জানে না।
আজকাল অবশ্য আক্ষেপ নেই।
যে গল্প... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা গান্ধী চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশের মিলিটারীকে ক্ষমতা থেকে দুরে রাখতে!
১৯৭১ সালের জেনারেশন'এর কাছে ইন্দিরা (১৯১৭ - ১৯৮৪ ) ছিলেন ১ জন বিশাল ব্যক্তিত্ব; যু্দ্ধ লেগে যাওয়ার পর, উনি বলেছিলেন যে, বাংগালীরা ভালো ও নীরিহ জাতি, তিনি এই জাতিকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - পর্ব ৩
জুলাই ১৮: ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ১৭ই জুলাই কমপ্লিট শাট ডাউন কর্সুচী ঘোষনা করে বৈষম্যিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন