ছবি: গুগল মারফত।
একটি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অনেকটা নির্ভর করে তাঁর পররাষ্ট্রনীতি কিভাবে হচ্ছে তাঁর উপর, অন্যের রাষ্ট্রের সাথে আমার কি ধরণের সম্পর্ক থাকবে তা সঠিকভাবে নির্নয় না করে চললে পুরো জাতিকে তাঁর খেসারত দিতে হয়। ক্ষমতার আশ্বাসে পরারাষ্ট্রনীতি ঠিক করলে তা জাতিকে কত ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে তা মনে হয় বাংলাদেশ খুব শ্রীঘ্রই টের পাবে।
কয়েকমাস আগে যখন আসামে এনআরসি করা হল যেখানে উনিশ লাখ লোক তাদের নাগরিকত্ব হারালো তখন এই ব্লগে অনেকে দৃঢ়তার সাথে বলেছিল এই সব নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করাবে ভারত তখন কিছু চেতনাধারী ফলোও করে প্রচার করল এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, বাংলাদেশে কোন সমস্যা হবে না অথচ তিন মাস না যেতেই অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ঐ সময় যদি জোরালোভাবে প্রতিবাদ করত তাঁরা কোন সময় বাংলাদেশের নাগরিক ছিল না তাহলে আমাদের অবস্থান পরিস্কার হত কিন্তু র্দূভাগ্যের বিষয় আমাদের সরকার ভারত শব্দ শুনলেই যেন নুয়ে পড়ে। শক্ত ভিত না থাকলে মজবুত বাড়ি করা সম্ভব নয় তেমনি সরকার গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত না হয়ে আসলে তাদের মেরুদন্ড খুব সোজা থাকে না, তাদের ক্ষমতা যে একদম নেই তা নয় যত হম্বি-তম্বি এদেশের আমজনতার সাথে।
রোহিঙ্গা সমস্যা ঝুলে আসে সঠিক পরিকল্পনা মাফিক আন্তর্জাতিক লবিং না করার কারণে। গাম্বিয়ার মত দেশ যখন মামলা করল তখন আমাদের সরকারের উচিত ছিল আন্তর্জাতিক আরো কিছু রাষ্ট্রকে এই মামলায় শরীক করা অন্তত বিশ্ব মিডিয়া ভালভাবে প্রচার পেত আমরা একটি সমাধানের পথ পেলেও পেতে পারতাম কিন্তু নিশ্চুপ নীতি গ্রহণ করেছে আমাদের সরকার। প্রয়োজনে পেঁয়াজ যেমন পাকিস্থান থেকে আমদানি করেছি দেশের প্রয়োজনে আমাদের শত্রু দেশের সাহায্য নিতে দ্বিধা করা উচিত নয়।
খুবই জলদি যদি আমাদের পরারাষ্ট্রনীতি নির্ভূল করা সম্ভব না হয় তাহলে আমাদের এই দুর্বল নীতি খুব জলদি আমাদের ভয়বাহ অবস্থায় নিয়ে যাবে। সবশেষ একটি কথা যারা চেতনার বড়ি খেয়ে এখনো আবোল-তাবোল বকছেন তাদের বলছি মনে রাখবেন বাজারে আগুন লাগলে দেবালয় কিন্তু সেই আগুনে পুড়ে যায়।
বিশেষ আকর্ষণ: গুজবে কান দিবেন না, উন্মুক্ত প্রযুক্তির যুগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা সহজ তাই আগে যাচাই করুন তারপর তা প্রচার করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯