এটা ভুলে যাওয়া একটি ইতিহাস। ইসলামের শেষ নবী (সা) তখন শেষ নিদ্রায়। কে হবেন তখন মুসলমানদের নেতা তা নিয়ে বচসা শুরু হলো। আবু বকরকে খলিফা বানানোর জন্যে উমর উঠে পড়ে লাগলেন। সেজন্যে তিনি মানুষের উপর জোর খাটানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। সবাই ভয়ে যখন আবু বকরের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া শুরু করলেন, হযরত আলী (আঃ) বেঁকে বসলেন। তিনি আবু বকরকে নেতা মানলেন না।
এটা শুনে উমর রেগে গিয়ে হযরত আলী'র বাসায় হানা দিলেন। হযরত আলী'র স্ত্রী বিবি ফাতেমা (আ) দরজা বন্ধ করে আগলে দাঁড়ালেন। হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর কন্যা বিবি ফাতেমা কিছুতেই নিজের স্বামীকে আবু বকরের দরবারে নিতে দিবেন না। এক পর্যায়ে, উমরের লাথিতে দরজা ভেঙ্গে পড়লো। দরজার একটি অংশ গিয়ে আঘাত করলো প্রিয় নবী (সা)-এর মেয়ের গায়ে।
সেই সময়ে বিবি ফাতেমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। দরজার আঘাতে সাথে সাথে তাঁর গর্ভপাত হলো। আর, তাঁর রক্তাক্ত দেহের উপর দিয়েই মুসলমানদের কথিত দ্বিতীয় খলিফা উমরের বাহিনী হযরত আলীকে বেঁধে আবু বকরের দরবারে নিয়ে গেলো।
পরবর্তীতে, বিবি ফাতেমা মারা গেলে, তাঁর ওসিয়ত মোতাবেক আবু বকর আর উমরকে জানাযায় আসতে বাধা দেওয়া হয়।
এভাবেই, মুসলমানদের খলিফারা যুগে যুগে নারীদের অপমান করেছে। করেছে অত্যাচার। মুসলমানদের বিখ্যাত ইতিহাসবিদরাই তা লিখে গিয়েছেন। সেজন্যেই, ভালো মুসলমানরা আবু বকর, উমর, উসমান আর মুয়াবিয়াকে অভিসম্পাত করে।