
হিন্দি সিনেমায় এয়ারপোর্টের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে। দেখা গিয়েছে, নাটকীয়তা আনতে, ১০টা হিন্দি ফিল্মের মধ্যে ৮টিতেই নায়ক-নায়িকার মিলন বা প্রণয় ঘটার স্থান হিসেবে এয়ারপোর্টকে বেছে নেওয়া হয়। আর, এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করেই নিজের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে স্মরণীয় করে রাখতে অকল্যান্ড এয়ারপোর্টকে বেছে নেন যশরাজ!
যশরাজ ছাবরা এবং রিয়া শুক্লা, দুই প্রেমিক প্রেমিকার কর্মস্থল দুই ভিন্ন দেশে। যদিও রিয়ার জন্ম নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে, রিয়াকে কাজের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকতে হয়। অন্যদিকে, যশরাজ এখনো অকল্যান্ডে বাস করেন। অগত্যা, এই ভিন্ন দুই দেশ থেকেই যশরাজ এবং রিয়াকে নিজেদের প্রেম জীবন চালাতে হয়!
শেষ পর্যন্ত একদিন, যশরাজ সিদ্ধান্ত নিলেন যে, প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবেন। কিভাবে এই মূহুর্তকে আবেগঘন করে রাখা যায়? ভাবতে থাকলেন যশরাজ! ভাবতে ভাবতে বের করলেন, হিন্দি সিনেমার নায়কের মতো করে নিজেদের অকল্যান্ড এয়ারপোর্টে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবেন।
যেই ভাবা সেই কাজ! যশরাজ লিংকডইনে অনুমতি চেয়ে এয়ারপোর্টের বিভিন্ন অফিসারের কাছে ম্যাসেজ পাঠাতে লাগলেন। এক পর্যায়ে, অকল্যান্ড এয়ারপোর্টের কমিউনিকেশন ম্যানেজারের দৃষ্টিগোচর হয় যশরাজের ম্যাসেজ। তিনি রাজি হয়ে যান নিজের কর্মস্থলে এমন একটি কাণ্ড ঘটাতে!
নির্দিষ্ট দিনে, রিয়া তখনও নিউজিল্যান্ডের পথে আকাশে, সব যোগারযন্ত্র নিজেই করে রাখলেন কমিউনিকেশন ম্যানেজার। ফুল, কেক, দিনটাকে ধরে রাখতে ভিডিও ক্যামেরা - সবই যোগাড় করে দিলেন ম্যানেজার!
রিয়া উড়োজাহাজ থেকে নেমে নিজের ব্যাগেজের জন্যে অপেক্ষা করছেন! এই সময়ে তার ফোনে আত্মীয়দের একটার পর একটা কল আসতে লাগলো। সবাই তার কুশল জানতে চাচ্ছেন। উদ্দেশ্য রিয়াকে অন্য দিকে ব্যস্ত রাখা। এই করতে করতে রিয়া সবেমাত্র এয়ারপোর্ট মেইন হলে এসেছেন, সেই মূহুর্তে পিএ সিস্টেমে বেজে উঠলো যশরাজের কণ্ঠস্বর - "উইল ইউ মেরি মি?
আর, সেই সাথে, অকল্যান্ড এয়ারপোর্টের ইতিহাসে ঢুকে গেলেন যশরাজ এবং রিয়া!
তথ্যসূত্রঃ সি,এন,এন
ছবিসূত্রঃ অকল্যান্ড এয়ারপোর্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



