
রাত পোহালে এটমিক যুদ্ধ শুরু হলে, ব্লগে কেউ ক্যাচালবিদ্যা,ভ্রমণ কাহিনী, কবিতা,রম্য,রাজনৈতিক বিদ্বেষ,অর্থনীতি,দর্শনের প্র্যাকটিস,ধর্ম -এসব নিয়ে লিখলে আপনি ভুলেও তা হয়তো পড়তে চাইবেন না,কমেন্ট তো দূরের কথা। কিন্তু তখন যদি কেউ ব্লগে হোমমেড এটমিক শেল্টার বানানোর 'টেকনিক নিয়ে লিখে, এলিটদের সাথে বিমানে করে অন্যদেশে এটমিক শেলটারে যাবার তরীকা বলে দেয়, তেজস্ক্রিয়তা থেকে মুক্তির সাইন্টেফিক টুল নিয়ে আলোচনা করে, মুসলিম বিশ্ব ইজমা -কিয়াসের মাধ্যমে নতুন দোয়া দিয়ে মুসলিমের সেভ করতে চায়, তাহলে হয়তো আপনার আগ্রহ থাকবে,সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন জ্ঞানের দিকে ঝুকবেন।আপনি হয়তো চাইবেন রিচার্ড ব্রানসন,ইলন মাস্ক, জেফ বেজোসের স্পেসট্যুরে গিয়ে এটমিক যুদ্ধ থেকে মুক্ত হবে , অথবা চাইবেন কিভাবে আমাজনের গভীরে বাস করা আদিম মানুষদের সারভাইভাল টেকনিক জেনে, ওদের সাথে বাস করে বেঁচে থাকতে।
তাহলে বলতে হচ্ছে,ভেতরে প্রসেস করা ইনফরমেশন, জ্ঞান,প্রজ্ঞা কতটুকুই বেঁচে থাকতে কাজে লাগে, তা কঠিন প্রশ্ন। সাতার শিখলেন কাজে লাগবে,সাগর পাড়ি দিয়ে রিফিউজি হতে গেলেন,নৌকা ডুবে গেলে প্যানিক এট্যাকেই মারা পড়লেন।প্যানিক এট্যাক কীভাবে সামলাতে হয় সেই বিদ্যা শিখলেন কিন্তু হঠাৎ কার এক্সিডেন্টে মারা গেলেন।টাকা আয় করা শিখলেন এবং সেই টাকা দিয়ে সায়ানাইড কিনে আত্নহত্যা করলেন, কোথায় কার/কি উপকার হলো। আজ দেখলাম, যাকাত নিতে গিয়ে ১০/১২ নিহত হয়েছে পাকিস্তানে ; যাকাত যারা দিয়েছে বা যারা নিহত হয়েছে তাদের কার জ্ঞান,প্রজ্ঞা কাজে লেগেছে?আপনি অর্থনীতির গুরু,মহাদেশব্যাপী মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে 'আপনার জ্ঞান কি কাজে আসছে?
চিকিৎসাবিজ্ঞানকে বাস্তবতা কিছুটা পছন্দ করে মনে হয়,তাই মূল্যও দেয় জ্ঞান/প্রজ্ঞাকে 'এই যে দেখেন করোনো চাপ্টার গেলো, মানুষ ভ্যাক্সিন বের করে মানুষকে বাঁচিয়েছে,এইচআইভি সফলতার মুখ দেখছে।বিলিয়ন বছর টিকে থাকা পৃথিবীতে মানুষগুলো ৭০/৮০ বছর বেঁচে থেকে কেমন গভীর বিশ্বাস/জ্ঞান/প্রজ্ঞা নিয়ে সুখী হতে গিয়ে কতটুকুই বা মানুষ বাস্তবতা বুঝে উঠতে পেরেছে বা ভবিষ্যৎে পারবে, বলা খুবই কঠিন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




