
কিছু ডাটা দেই : যে মানুষের কোনো কাছের বন্ধু নেই সেই মানুষটি প্রতিদিন ১৫/২০ টা সিগারেট খায়, এটা স্পেশালী ছেলেদের বেলায় ; ১৯৯০ সালের দিকে শতকরা ৩ ভাগ মানুষ বলতো 'আমার কেউ নেই মানে কাছের কোনো বন্ধু। ২০২০ সালে শতকরা তা ১৫ ভাগে এসে ঠেকেছে।করোনা মহামারীর আগমনে এই সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়েছে, সবচেয়ে বেশি ভাটায় ছিলো মেয়েদের বেলায়,গড়ে নতুন বন্ধুত্ব তেমন গড়ে উঠেনি,আগের গুলো টিকেনি বহুবিদ কারনে। যদিও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেের বেলায় মেয়েদের রোল সবসময় জটিল ছিলো, আপনি হয়তো ভাবতেও পারেন মেয়েরা এমন কেন? বন্ধুত্বের ডেফিনিশন ওরা জানে না নাকি।
ডেফিনিশন পরিবর্তন করার দায়িত্ব এখন টেকনোলজির হাতে, সোস্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাচ করলেই বন্ধু পাওয়া যায়, যার ম্যাক্সিমাম দরকারী কোনো সম্পর্কের মাঝে পড়ে না; এটার ইনফ্লুয়েন্সে মানুষ একা থেকে একাতর হচ্ছে,যদিও এটা সমাধান সহসা হবে না ; জুকারবার্গকে রাজনীতিবিদদের সামনে বসে সওয়াল-জওয়াব করতে দিলেও। টেকনোলজির মাধ্যমে বন্ধু না বানানো মানুষগুলো হয়তো তিরস্কার করবে এ জাতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য।
মানুষ সামাজিক জীব বিধায় আদিম কালের মানুষ এ সম্পর্কে যা জানতো, আমি আপনি হয়তো ওদের সাথে ডিবেটে জিতে যাবো, কারণ ভালো জানি বুঝি।বর্তমানে পড়াশোনার খাতিরে,কর্মের খাতিরে,জানাশোনোর খাতিরে,ভিন্ন জায়গায় পাড়ি দিয়ে প্রয়োজনীয় হেল্পের খাতিরে যাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের "বন্ধু' বলা হয়, যা বলতে পারেন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।এ সম্পর্কটা একটু অন্যধরনের হয়, দেয়া-নেয়া নেই,আবদার নেই,চাপ নেই,সাহায্যের হাতও থাকে, খুনাখুনিও থাকে। জীবনের একটা সময় ভালো/খারাপ সময় কাটানো; এটা হচ্ছে গতানুগতিক ভাবনা।
মানুষের ব্যাক্তিত্ববোধের ধরণ অনুযায়ী বন্ধুশ্রেনী গড়ে উঠে যা একটা পরে গিয়ে বুঝতে পারা যায়, ভাবনায় মিল, আচরণে মিল,কর্মকান্ডে মিল। দেশের মানূষের কাছে এখনো নস্টালজিক মোমেন্ট হলো স্কুলের বন্ধুরা, বাদ বাকি সব ভুয়া, স্বার্থান্ধ। ইন্ট্রোভার্ট মানুষদের বন্ধুত্বের সার্কেল খুব ছোট থাকতে পারে, কিন্তু তা কার্যকরী হতে পারে। আপনার জীবনে এমন বন্ধু আছে নাকি কেউ, যা গর্বের সাথে আপনি বলতেও দ্বিধা করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




