আজ থেকে বহুবছর আগে এইদিনে এক রাখাল বালক স্বেচ্ছায় মৃত্যুরদ্বারে কড়া নেড়েছিল। এখনো রাখালের হাতে সেই রক্তাক্ত ছোরা আর কবরে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে মৃত্যুর অপেক্ষা! হায় মৃত্যু! একবার চুমু দিয়ে যা রাখালের কপালে!
সকল মৃত্যু রাখাল বালকটিকে ভাবায়। সববয়সে সবপ্রানীর মৃত্যু বালকটিকে ভাবিয়ে তুলে, তার আবাদি সোনালী ধান কাটার সময় সেই ধানের মৃত্যু রাখালকে ভাবায়। একাকী রাখালিয়া সজাগ মৃত্যু স্বাদ নিতে চায়।
রাখালিয়া কবর খুঁড়ে শুয়ে পড়ে সেই কবরে। ছোরাটা বুকে বসিয়ে দেয়, চোখে স্বপ্ন সজাগ মৃত্যু আলিঙ্গন! হায় মৃত্যু! পরশ বুলিয়ে গেলো না রাখালিয়াকে! রক্তাক্ত ঘাতক ছোরাটা হাতে নিয়ে রাখালিয়া শুয়ে থাকে কবরে মৃত্যুর অপেক্ষায়।
আজ বহুবছর হয় একাকী রাখালিয়া শুয়ে আছে কবরে। সুন্দরী মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছে। আজও মৃত্যুর চুম্বন বঞ্চিত রাখালিয়ার প্রার্থনা, একটিবার মৃত্যু তাকে চুম্বন করুক। হাতে সেই ছোরাটা নিয়ে হৃদয়ের রক্তক্ষরণে ধীরে ধীরে রাখালিয়া কাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর স্বাদ পাবে। অন্ধকার নামার সাথেই রাখালিয়া ডুব দিতে চায় মৃত্যুর সাগরে। ক্লান্তিহীন চোখে তাকিয়ে রাখালিয়া! মৃত্যু একটু হাত বাড়িয়ে দে! তার হাজারবছরের অপেক্ষা চলছে যে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



