পৃথিবীর বুকেই একদেশ আছে। সবুজে ভরা দেশের সৌন্দর্য কম না, প্রেমে পড়ার মত। সেইদেশে জাতীয়ফল কাঁঠাল। স্বভাবতই সেইদেশে একপাল ছাগল ছিল, যাদের পালক ছাগলসর্দার ছিলেন বয়স্ক একব্যক্তি। তিনি কাঁঠালপাতার মতই তেঁতুল পছন্দ করতেন। তিনি সেইরকম বিজ্ঞ এবং তার জ্ঞানের তুলনা হয়না। তার তেঁতুল তত্ত্ব জগৎবিখ্যাত হয়ে যায় একদিন। তারমতে যে ছাগল তেঁতুল পছন্দ করেনা সে নাকি ছাগল থেকে জাস্টিন বিবার ইয়ে মানে খাসি হয়ে গেছে।
ছাগলের পালের ডাকটাও অন্যদেশের ছাগলের ডকের চেয়ে ভিন্ন। এদের ডাকটা ন্যাস্টিক ন্যাস্টিক। ছাগলেরপালেরা আবার অদ্ভুতভাবে ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালাতো। এরা আবার সানি লিওন নামের একবোমের বিশাল ভক্ত একেকজন। একদিন হয়কি কয়েকছাগল ল্যাপটপে সানি লিওনকে দেখতে গেলে সানি লিওন বিস্ফোরিত হয় আর সাথে তাদের ল্যাপটপ বিস্ফোরণে তারা কাচ্চি এবং কাবাবে পরিণত হয়। এভাবেই নিউটনের ইয়া মানে ছাগলের ল্যাপটপ তত্ত্বের আবির্ভাব ঘটে।
ব্লগ দিয়া প্রক্সি দিয়ে তারা ইন্টারনেট চালাতো। এমন প্রক্সি ব্যবহার করত যে ২১ টাকা কারো কাছ থেকে নিয়েই একদিন নেট চালানো যেত। ইন্টারনেটে তারা ন্যাস্টিক খুঁজে মেরে বেড়াত। তাদের অভিযান কতটা সফল তার খবর এখনো আমাদের কাছে পৌঁছেনি। তারা বিড়াল খুব পছন্দ করে। ন্যাস্টিকের বিড়াল যাকে ইংরেজী স্ল্যাং pussy বলা হয় না পেয়ে মতিমামার ঝিলের পাশে ফাঁকা জায়গায় চারণভূমি করার চেষ্টা চালায় কিন্তু রাখালের মার খেয়ে পালায় খোঁয়াড়ে।
তাদের খোঁয়াড়টাও আজব একেবারে। বাঁশ দিয়ে তৈরী এককেল্লায় তারা থাকত। দেশপ্রেমিক তিতুমীর আজ আক্ষেপ করে বলেন আমি দেশ স্বাধীনের কেল্লা করলাম এরা করলো ছাগলের কেল্লা। হায় আমার কপাল! কোনদেশে জন্মেছিলাম?
ছাগলেরপালের নেতা ছিল কিছু কুকুর আর শুয়োর। তারা বিজ্ঞানে এত এগিয়ে ছিল যে শুয়োরকে চাঁদেও দেখা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এই শুয়োর সাড়ে সাত ইঞ্চির লইট্যা ফিস নামের মেশিন পালত। একদিন শুয়োর তার নাতনীর কাছে এইকথা ঘোঁৎঘোঁৎ করতে ধরা পড়ে যায়। যখন জিজ্ঞেস করা হয় প্রমাণ এক অডিও টেপ হাজির করা হয় যা নাকি ফটোশপ করা ছিল। একে অডিও ফটোশপ তত্ত্বও বলা হয়।
আপাতত আমরা কি জানলাম?
একদেশে একগাদা ছাগল ছিল যার পালকের তেঁতুলের প্রতি দুর্বার লোভ ছিল। সেই ছাগলপালক আবার কেউ তেঁতুল অপছন্দ করলে জাস্টিন বিবার অভিহত করত। আধুনিক ছাগলগুলো ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালাইত। তাদের খোঁয়াড় বাঁশ দিয়ে তৈরী একটা কেল্লার মত ছিল। তারা এতই উন্নত ছিল যে তাদের আঙিনার শুয়োর চাঁদে চলে যেত। শুয়োরের আবার লইট্যাফিস নামে মেশিন ছিল। অদ্ভুত দেশ বৈকি!
কি অদ্ভুত দেশ বৈকি!
বাকি তত্ত্বের সন্ধান পেলে অবশ্যই নতুন সন্ধানী প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হব,
"আমরা বীর করি তদবির/লোকে বলে তা নাকি ছাগলের ভীড়" নামক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে। ততদিন পর্যন্ত ঈদ মোবারক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



