মইনের আবেগ উচ্ছাস যত বাড়ে- অর্থের আমদানী তত কমতে থাকে। ও এখন ঋনের ভারে গলা অব্দি ডুবে গেছে। ভেবেছিল লতিফের হয়তো কোন খোঁজ পাবে?
সে তার এখানে যেই জনা ত্রিশেক লোক আছে পারাপারের লোক আর ওপারের রোমানিয়ান ব্যাপারির সাথে দেন দরবার করে আপাতত বাকিতে পাঠানোর বন্দবস্ত করেছে। কিন্তু যে বিশাল দেনার ভার তার কাঁধে – সেটাকে সামাল দিয়ে গিয়ে আরো দেনার জালে জড়িয়ে গেছে।
একদিন মদের ভান্ডারে টান পড়ল। বাজারের খরচ কমল- লারিসার কপাল খানিকটা কুঞ্চিত হল।
ধীরে ধীরে নামী-দামী লেবেলের মদের পরিবর্তে সস্তার মদ আসতে লাগল- সাথে খাবার যেটুকু না হলেই না।
সবাই বলে না, বিধাতা অলক্ষ্যে বসে মুচকি হাসলেন; ঠিক তেমনি আমাদের অদৃষ্ট ও যেন অলক্ষ্যে মুচকি হাসছিল!
মইন হেরে গেল শেষ মেষ, পরাজিত হলাম আমিও। একদিন মদ কেনার টাকা আর অবশিষ্ট রইল না। সারাদিন পার্কে ঘুরে দু’বন্ধু বেশ রাত করে খালি হাতে বাড়ি ফিরলাম!
লারিসা বুদ্ধিমতি মেয়ে; গুরুতর একটা সমস্যা আঁচ করতে পেরেছিল। মইনের বাড়াবাড়ি ধরনের সস্তা মদ গেলা, লারিসার থেকে চোখ সরিয়ে রাখা আর খিটখিটে মেজাজ ওর সুক্ষ অনুভুতিকে নাড়া দিয়েছিল।
আমাকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছে- কিন্তু আমিও সযতনে এড়িয়ে গেছি। কিন্তু আজ চোর যেন ধরা পড়ল হাতে নাতে! এই প্রথমবার সে আমাদের জন্য খাবার সাজিয়ে বসে ছিল।
তবুও সে মইনকে এতটুকু জেরা করেনি।এবার যেন তার মইনের এতদিনের উদ্দাম ভালবাসার প্রতিদান দেবার পালা।
অবশেষে অর্থবিত্ত সব খুইয়ে মইন তখন তার প্রেমিকার আঁচল তলে সেঁধিয়ে ভালবাসাকে শক্ত করে আকড়ে ধরে যেন নতুনভাবে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরনা খুজতে চাইল। ওদিকে আমি যেন হতাশার আরো অন্ধকার ভীষন গভীরে হারিয়ে যেতে থাকলাম ।
সেই কস্টকর দিনগুলো আজো আমায় ভয়ংকর দুঃসপ্নের মত তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। দু —চার —পাঁচটা ডলারও যত তখন আমাদের কাছে মহামুল্যবান মনে হত। কষ্টেসৃষ্টে বেঁচে থাকাও ছিল বড় কস্টের! সামান্য একখানা শুকনো রুটি আর কয়েক কাপ বিস্বাদ চা খেয়েও দিন কাটিয়েছি সঙ্গে দুয়েক টুকরো সেদ্ধ আলুও মেলেনি। দিনের পর দিন ক্ষুধার্ত পেটে শুকনো মুখে ঘুরে বেরিয়েছি নতুন ব্যাবসার ধান্ধায় কিন্তু অহংকারী মন কারো পরিচিত কাছে হাত পাততে দেয়নি সাহায্যের আশায়। দুঃশ্চিন্তায় সারারাত ঘুম হয়নি, কথা বলতে বলতে যখন কথা ফুরিয়ে যেত। আধো—অন্ধকারে তখন উদাস ফ্যাকাসে দৃস্টিতে তাকিয়ে থাকতাম আধাময়লা কাগজে মোড়া দেয়ালের দিকে। মনে পরে একটা সিগারেটের জন্য দুজনে কিই—না হা—পিত্যেশ করতাম।
সিগারেটের কথা মনে হলেই বুকের ভিতরটা শুকিয়ে যেত! রাত যত গভীর হত আকাঙ্খা ততই তীব্রতর হত- নেশার টান সইতে না পেরে কোন কোন রাতে চুপিসারে বেরিয়ে পরতাম রাস্তায়। ফ্যাকাসে নিয়নের আলোতে চোখ রেখে রাস্তার কোনে পড়ে থাকা কোন পথিকের ফেলে দেয়া আধপোড়া সিগারেট কুড়িয়ে খেতাম। ফুটপাথের উপর বসে যখন সেই নোংরা পোড়া সিগারেটে দুটো কষে দম দিলেই যেন শরির মনে দারুন প্রশান্তি পেতাম। ফিরে আসতাম চুপি চুপি চোরের মত মাথা নিচু করে,তখন দু-জনে দু'জনার দিকে চাইতেও যেন লজ্জা পেতাম!
মইনের সন্ধ্যে না নামতেই গলা শুকিয়ে যায়। মদ এতদিনে তার ভেল্কি দেখাতে শুরু করল। বহু চেষ্টা করে- নিজেকে শাসায় খিঁচুনি ওঠে প্রায়- দাত কিড়মিড় করে শুন্যে ঘুষি ছূড়ে মারে। মদ তাকে আলকাশ করেছে!
এ ঘোরটোপ থেকে বের হবার কোন উপায় তার জানা নেই। বিশ -বাইশ বছরের একজন যুবক এর থেকে আর বেশীই বা কি জানবে? খাবারে তার রুচি নেই! সারা বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খোজে; আশা তার বেশি নয়, বোতলের তলানীতে জমে থাকা একটুখানি মদ। কোন কোন দিন সে ঘর থেকে উন্মাদের মত বের হয়ে যায়। আমি ওর পেছনে ছুটে যাই – রাস্তার পাশে জঙ্গল বা ডাস্টবিনে আঁতি-পাতি করে খোজে কারো ফেলে যাওয়া বোতল। যে মইনকে কখনো আমি ব্রান্ড-বিহীন কন মদ খেতে দেখিনি। সে এখন রাত-বিরেতে রাস্তায় ছন্নের মত ঘুরতে থাকা পাঁড় মাতালদের ফেলে দেয়া (যারা মদের বোতল চিপড়ে খায়)বোতলে দু’ফোটা মদ খোঁজে।
নিজেদের এই ভয়ংকর শোচনীয় অবস্থা লারিসার পরিবারকে বুঝতে না দেয়ার দুর্বল প্রচেস্টা সহজেই ভেস্তে গেল- না বলে মইন সহজেই ভেস্তে দিল বলা চলে। লারিসা আগে থেকেই অল্প বিস্তর জানত মইনের সাথে লতিফের(পাকি সেই ব্যাবসায়ী) প্রতারণার কথা। বাকি থাকল ব্যাবসা আর অর্থনৈতিক অবস্থা! কিছু বলতে হোলনা-
সে আমাদের রহস্যজনক চাল-চলন আর চেহারার জৌলুস দেখেই বুঝে ফেলল ।
শেষ রাতটুকু বাদে প্রায় সারক্ষনই আমাদের রুমে লারিসার প্রবেশ ছিল অবাধ। হঠাৎ করে মইনের উচ্ছাস আর আবেগে ভাটা পরায় ওর সন্দেহ হল,তার উপরে কাজকর্ম ফেলে সারাদিন ঘরে বসে পানসে মুখে বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলায় ধারনা বদ্ধমুল হল।
তবে লারিসাতো বটেই সেই সাথে তার বাবা—মা,ছোটভাই সহ পুরো পরিবারের কাছ থেকে সাহায্য সহানুভুতি ও নতুন করে উদ্দীপনা সৃস্টির জন্য যে সাহস ও উৎসাহ তখন পেয়েছিলাম,তা ছিল আমাদের জন্য অভাবনীয়।
আমি সত্যিই ওই রুশ পরিবারটির কাছে বড় বেশী ঋনী হয়েগেছি । আজ হয়তো সেই ঋন শোধরানোর কোন উপায় নেই,তবুও সেই উপকারের কথা স্মরণ করে সেই ঋনভার কিছুটা লাঘব করার চেস্টা করতে দোষ কি।
প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে ক্ষুধার্ত পেটে কান উৎকর্ণ করে বসে থেকেছি রান্না শেষে তারা খেতে ডাকবে এই আশায়। ক্ষুন্নবৃত্তির পরেই এসে ভর করত লজ্জা —দ্বীধা!
তাদের করুনা ও সহানুভুতির ভার সইতে না পেরে মাঝে মধ্যে অতি প্রত্যুষে সবার অগোচরে বেরিয়ে পড়তাম অনির্দিস্ট উদ্দেশ্যে। বাসী মুখে দু—চার ঘন্টা এদিক ওদিক ঘুরে,লারিসার বাবা—মা অফিসের কাজে বেরিয়ে গেলে ফিরে আসতাম। বরাবরই সে সময়টা দরজা খুলত লারিসা। সে সময়টা ছিল বড় অসস্তির। ঘরের মধ্যে পা বাড়াতেই সে প্রশ্ন করত, নাস্তা করেছি কিনা?
সেই পরিস্থিতিতে ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য হাস্য-কৌতুকের নিস্ফল প্রচেস্টা আর মইনের ভুরি—ভোজন শেষে কৃত্তিম ঢেকুরের ক্লান্তিকর চেস্টা ছিল হরিষে-বিষাদের সামিল!
সেই আনাড়ী দুই অভিনেতার ফ্লপ অভিনয়ের পুরস্কার নিয়েই একটু পরে দু’হাতে ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার হাজির হত দেশ থেকে কয়েক হাজার দুরের সেই বিদেশীনি ভগ্নিটি আমার।(এখানে উল্লেখ্য যে সে মইনের ‘ফিয়াঁসে’ পরিচয়ের থেকে আমার বোন হিসেবে নিজেকে ভাবতেই বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করত।)
দিনের পর দিন সে আমাদেরকে বিশেষ করে মইনকে সাহস,পরামর্শ,ভালবাসা,আদর দিয়ে উৎসাহিত করেছে- পেছনের সব ব্যার্থতা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে সবকিছু শুরু করার জন্য।
লারিসার বাবা মায়ের ভালবাসা- আন্তরিকতার কথা বলে শেষ করা দুরূহ! আমরা দু’জনেই প্রথম দিন থেকে তাদেরকে পাপা মামা বলে ডাকতাম। মইনের ভাষাগত সমস্যার জন্য আমার সাথেই তাদের হৃদ্যতা! লারিসার সাথে বোন পাতানোর পরে তারা আমকে নিজেদের সন্তানের মতই স্নেহ করেছেন। মইন আর লারিসাকে প্রেম করার সুযোগ দিয়ে আমি এসে তাদের সাথে গল্প জুড়ে দিতাম। লারিসার বাবা বেশ রসিয়ে গল্প করতে পারেন;
বিয়ের পর তিনি নাকি লারিসার মা’কে কোলে তুলতে গিতে ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়েছিলেন, তবু তুলতে পারেননি! অবশেষে লারিসার মা নাকি নিজেই স্বামীকে কোলে তুলে গাড়ি অভিমুখে ছুটেছেন! এর পরে বেশ কয়েকদিন সে নাকি লজ্জায় বন্ধু আর কলিগদের সামনে চোখ তুলে তাকাতে পারেননি। দু’জনই তাদের ফেলে আসা স্মৃতির কথা বলেছেন- আমি কতক বুঝেছি,কতক বুঝিনি।
দেশ থেকে কয়েক সহস্র কিলোমিটার দূরে , মলদোভিয়ার কিষিনেও এর ক্ষুদ্র এক কোনে চির অচেনা ভিনদেশী মা-বাবা আমাদের জন্য ভালবাসার ডালি সাজিয়ে বসেছিলেন। অর্থের প্রাচুর্য তাদের ছিলনা- কিন্তু হৃদয়ের ঐশ্বর্য ছিল। মাসের পর মাস একটা টাকাও রুম ভাড়া তো দাবী করেইনি উল্টো নিজেদের সামান্য আয় থেকে আমাদের যথাসাধ্য সাহায্যের চেস্টা করেছেন!
‘সু-সময়ের ঘাড়ে প্রতিনিয়ত বিষ নিশ্বাস ফেলে দুঃসময় আর দুঃময়ের পিছু পিছু হেলে দুলে এগিয়ে আসে সুসময় বরাবরই।’
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এই নিয়মের ব্যাতিক্রম না করে আমাদেরও সেই দুঃখের দিনের পরিসমাপ্তি ঘটল এক সময়। তবে আগের মত সচ্ছলতা নয় কিন্তু তিনবেলা গ্রাসাচ্ছদনের ব্যাবস্থা হল সাথে দু চার প্যাকেট ‘বন্ড’ সিগারেট।
এতদিন পাছে অন্য সবাই আমাদের দুরবস্থার কথা জেনে ফেলে এই ভয়ে দাওয়াত পেলেও কারো বাসায় যেতাম না। এবার শীতঘুম ভেঙ্গে গুহা ছেড়ে বেরিয়ে আসার পালা। আবার শুরু হল আড্ডা ,কার্ডখেলা আর সবাই মিলে হৈ— হুল্লোড় করে যথেচ্ছা ঘুরে বেড়ানো,সেই সাথে পার্ক কালচার,বইপড়া,সিনেমা দেখাতো চলল-ই।
...মাস দুয়েক বাদে মস্কোতে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। বড় ভাই টাকা পাঠিয়েছে। আগের দুই’ সেমিষ্টার মিস করেছি। এবার আর নয়। মইনের অবস্থার দিন দিন উন্নতি হচ্ছে ,জোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল লারিসার সাথে বিয়েটা দ্রুত সেরে ফেলার জন্য। মইনের কথা না হয় বাদই দিলাম লারিসা আন্দ্রে ওর বাবা মা সহ পুরো পরিবারের সাথে এ ক’মাসের ঘনিষ্ঠতার সুত্র ধরে যেন আত্মীয়তার গভীর বন্ধনে জড়িয়ে গেছি। ওদের কে ছেড়ে আসতে বড্ড কস্ট হচ্ছিল!
আমার এই হুট ফিরে আসার পরিকল্পনা মইনের ঠিক মনঃপুত হয়নি। সে বার বার আমাকে আটকানোর চেস্টা করে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে লারিসাকে রিক্রুট করেছিল। লারিসা প্রচুর ঝগড়া মান অভিমান আর চোখের জল ঝড়িয়ে আমাকে রুখতে না পেরে অবশেষে তাকে ছুইয়ে ওয়াদা করিয়ে নিয়েছে ‘যেন ওদের বিয়েতে আসি।’
ট্রেন ছাড়ার মুহুর্তে দরজার হাতলটা বাহাত দিয়ে ধরে ওদের দিকে তাকিয়ে বিদায় নিতে গিয়ে তীব্র একটা কস্টের ঢেউ সারা বুকে ছড়িয়ে পড়ল। মইন লারিসা আন্দ্রে আর তার ছোট্ট বেকুব কুকুরটা 'রো' যেন স্তানুর মত দাড়িয়ে। ওদের সবার চোখের কোলেই যেন নোনতা জলের ভীড় জমেছে। আচমকা কেন যেন মনে হলো এই শেষ দেখা আর কখনই দেখা হবে না...
গাড়ি ছাড়তেই বোকা কুকুরটা দৌড় শুরু করল আমার কাছে আসবে বলে। কিন্তু ষ্টেশনের শেষ মাথায় এসে সে বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল-হতাশায় পেছনের দু'হাটু মুড়ে বসে উদ্ভ্রান্তের মত তাকিয়ে রইল ছল ছল চোখে- যেন সে তদন্ডে বুঝে এঈ শেষ গেল আর দেখা হবে না!
ট্রেনের কামরায় নিজের বিছানায় শুয়ে চোখ বুজতেই হুড়মুড় করে স্মৃতিরা এসে হাজির হল দৃশ্যপটে। রোন্দ্রে’কে নিয়ে কতই না মজার ঘটনা ঘটেছে। আন্দ্রের ছেলে মানুষী- আর ওর প্রথম প্রেমের হাস্যকর স্মৃতি। লারিসার সাথে প্রথম পরিচয় থেকে শুরু করে মইনের সাথে প্রেম পর্যন্ত সব আনন্দ বেদনার মিশ্র স্মৃতি জমাট বেধে একফোঁটা চোখের জল হয়ে গড়িয়ে পড়ল নিঃশব্দে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে ট্রেনের মৃদু ঝিক ঝিক শব্দের সাথে লিয়েনার কণ্ঠে; তে লুবেস্তে, তে লুবেস্তে...তে লুবেস্তে’... সেই ভালবাসার আহ্বান যেন আমার সব ইন্দ্রিয়কে বিবশ করে দিল;
Oceans apart day after day
And I slowly go insane
I hear your voice on the line
But it doesn't stop the pain
If I see you next to never
How can we say forever
Wherever you go
Whatever you do
I will be right here waiting for you
Whatever it takes
Or how my heart breaks
I will be right here waiting for you...----------হয়তো সমাপ্ত কিংবা নয়...
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
গল্পের শেষটুকু পড়তে চাইলে প্রথম পর্বে যেতে হবেঃ Click This Link
এবার আসুন পরিচিত হই গল্পের মুল কিছু চরিত্রের সাথেঃ
গল্পের মুল চরিত্র লারিসা এখন যেমন।
আমার গল্পের কোথাও এ নেই- তবুও এর গুরুত্ব অপরিসীম। লারিসা ও মইনের ভালবাসার একমাত্র ফসল। একদম মইনের কার্বন কপি!
মিশু জনম জনম ধরে যার অপেক্ষায়...
প্রিয় ব্লগারঃ 'আলকাশ'- সবচেয়ে সুদীর্ঘ সময় ধরে আমার লেখা সিরিজের অবশেষে সমাপ্তি টানতে পারলাম সেইটেই আমার সবচেয়ে বড় প্রশান্তি! ‘আলকাশ’( যার সম্ভাব্য অর্থ: বদ্ধ মাতাল) শুরু করেছিলাম খালি চোখে। এখন ভারী চশমার বেড়া। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আবেগ কমে আসে। পুরনো উন্মাতাল প্রেম-ভালবাসাকে মনে হয় ছেলেমানুষি পাগলামি! সততা, নীতি-বোধ বেশ প্রগাঢ় হয়। আমি ভাবিনি এই লেখাটা কোনদিন শেষ করতে পারব! লেখাটা ভাল হয়েছে না মন্দ হয়েছে সেইটে এখন আর কোন বিবেচ্য বিষয় নয়।
আলকাশ প্রথম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ দ্বীতিয় পর্বঃ Click This Link
আলকাশ তৃতিয় পর্বঃ Click This Link
আলকাশ চতুর্থ পর্বঃ Click This Link
আলকাশ পঞ্চম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ ষষ্ঠ পর্বঃ Click This Link
আলকাশ সপ্তম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ অষ্টম পর্বঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪