somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে" - কৃষক-কিষাণীর রোজনামচার সংকলন (পিডিএফ)

২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আঠারো বছর বয়সের একটি মেয়ে যখন পরিবারের শাসন বারণ এর বেড়াজালের গন্ডি পেরিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করার পথে পা রাখলো, তখন তার চোখে মুখে শুধু বিস্ময় আর মুগ্ধতা। অজানাকে জানার আনন্দ।

মেয়েটি চঞ্চল, প্রানোচ্ছল,অস্থির: সিনিয়রদের সাথে বেশ ভাব, বান্ধবীদের সাথে বন্ধুত্বের বাইরেও একটু যেন মাতব্বরী ভাব।

ছেলেটি ভীষণ দুষ্টু, প্রাণবন্ত, উচ্ছল, বোহেমিয়ান এবং অসম্ভব মেধাবী। সহপাঠি এবং সিনিয়রদের সাথে তার সহজ স্বাভাবিক সম্পর্ক। যে কোন কঠিন বিষয় অল্প সময়ে বুঝে যেত। দুষ্টুমি, খুনসুটিতে সারা ক্লাশ মাতিয়ে রাখতো। গলা ছেড়ে ভুল সুরে গান গাইতো, চিৎকার করে আবৃত্তি করতো। আঁতেল টাইপের বন্ধুদের নাস্তানাবুদ করতো। সহজ, সাবলীল, প্রানবন্ত এই ছেলেটি আমার সব কাজের সাথী হয়ে থাকছে এতে আমি খুউব খুশি ছিলাম। এত ভাল ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র অস্থিরতার জন্য তার ভাল রেজাল্ট হতো না।


না ... নতুন কোন গল্পের শুরু নয়। এটা কৃষক-কিষাণীর জীবনের সত্য ঘটনা। ভালবাসার গল্প পড়তেই ভালোলাগে, আর সেটা যদি হয় কারও স্মৃতীচারন, তবে তা আরও উপভোগ্য লাগে। অপসারা র দেয়া লিঙ্ক ধরে একদিন কৃষকের ব্লগে যাই এই কাহিনী পড়তে। অদ্ভুৎ এক ভাল লাগায় ভরে যায় মন। খুঁজে বের করি ওদের দুজনকেই (অবস্য এই কৃতিত্বর অর্ধেক আমার আপুনিটার প্রাপ্য)। সারারাত খেটে সকাল বেলা কিষনীর কাছে মেইল করি ওদের ভালবাসার গল্পের সঙ্কলনটা। উদ্দেশ্য ছিল উনাকে চমকে দেয়া, সেটা মনে হয় পেরেওছিলাম ;)

কৃষক - কিষনীর ভালবাসার এই গল্পটা লেখা আছে ওদের যুগল ব্লগে । একই ব্লগে দিনের পর দিন ওরা লিখে গেছে ওদের মনের কথা গুলো, আমার ধারনা একজনের লেখা ব্লগ পরে অন্যজন অবাকও হয়েছে খানিকটা, যদিও তখন তারাই ছিল গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে। কিন্তু আজ তৃতীয় নয়নে এত দিন পরে করা স্মৃতীচারনটা হয়তো কিছুটা অন্য রকম লেগেছে তাদের কাছেও। বাস্তবতা আর আবেগের মালায় জড়ানো এই ভালবাসার গল্পটা এত জীবন্ত, এত গতীময় - যেন পাঠক মিশে যাবে ঘটনা প্রবাহের সেই সময়টাতে, আজ থেকে পনের বছর আগের সেই দিনগুলিতে।


এত রাতে বাইরে বসার সুযোগ পেয়েছি, বেশ অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে। আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদ ছিল। আমরা বসে আছি, এমন সময় ও বলল আমার জায়গায় ও বসবে আর ওর জায়গায় আমি। আমি তো এর কারন বুঝতে পারছি না, কারন না বললে উঠব না। বলল, আগে উঠে জায়গা বদল কর তারপর বলি। হার মানলাম, জায়গা বদল হল। তখন বলল, আমি বসেছি চাঁদের দিকে পিঠ দিয়ে তাই চাঁদের আলো আমার মুখে পড়ছিল না। সে চাঁদের আলোতে আমাকে দেখবে। আহা আমি তো মুগ্ধ। এ ভদ্রলোক এমন এক মানুষ, জীবনে কখনো আমার সৌন্দর্যের প্রসংশা মুখ ফুটে করেনি। অন্য কোন পুরুষ হলে আমাকে নিয়ে নির্ঘাত দু একটা কবিতা টবিতা লিখে ফেলতো। এহেন মানুষ যখন চাঁদের আলোতে প্রেয়সীর মুখ দেখতে চায় তাতে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় আছে?

আমি লজ্জায় লাল হলাম, চাঁদের আলোতে সে আভা হয়তো বোঝা গেল না, তবু সে অপলক চোখে তাকিয়ে রইল। কোন কথায় মন দিচ্ছিল না। ভাল ও লাগছিল আবার লজ্জাও লাগছিল ......


কিষান - কিষানীর ভালবাসার গল্পের পিডিএফ সঙ্কলনটা তারা পাঠকের হাতে তুলে দিয়েছেন তাদের ভালবাসার বর্ষপুর্তির পোস্টে



পিডিএফটি ডাউনলোড করুন নিচের লিঙ্ক থেকে -

পিডিএফ ফরম্যাট - ১.৬১ মেগাবাইট
জিপ ফরম্যাট - ১.৫২ মেগাবাইট

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১০ রাত ৯:০৩
২৮টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×