স্বাধীনতা দিবস ও শুক্রবার আজ।ছুটির দিন।পেশাগত কারনে কিছু কিছু মানুষের ছুটির দিনেও ছুটি থাকতে নেই।আমি তাদেরই একজন।ঘুম থেকে উঠেই দৌড়।ডিরেক্টর সাহেব প্রতিবেশী কিনা , সময় মতো না গেলেই সালাম দিবেন।তেমন কেউ নেই,হসপিটাল ফাকা।এদিক ওদিক ঘুরছি।জুম্মার নামাজ শেষে বের হবার জন্য রেডি... এমন সময় এক মহিলা হুরমুর করে এসে ঢুকলেন।বলে..বহুত দূর থেইক্যা আইছি স্যার,,,এট্টু দেইখ্যা দেন।উনি প্রেগন্যন্ট।বাচ্চা ভালো আছে কিনা আলট্রাসোনোগ্রাম করে জানতে চান।ভদ্রমহিলা খুব কথা বলতে পচ্ছন্দ করেন।কথায় কথায় বললেন..তার দুই ছেলে..এবার মেয়ে চান।অবাক হলাম।আরো অবাক হলাম শুনে স্বামীও তাই চান।দীর্ঘদিনের অভিঙ্গতায় দেখেছি মেয়ে হবে জানলে অনেকেই মুখ কালো করে ফেলেন।আলট্রাসোনোগ্রাম করা শেষ..উনার আবদার উনার স্বামীও দেখতে চান তাদের মেয়েকে।দেখালাম মনিটরে।জিগ্গেশ করলাম.. মেয়ে চান কেনো??বললেন..মেয়েতো ঘরের লক্ষী।
তাদের সাথে অনেক আত্নীয়স্বজন আর সবাই মেয়ে চান।ভাবলাম এরা গরীব মানুষ,দিন আনে দিন খায়।কিন্তু চিন্তাভাবনা..?আমাদের চেয়ে শতগুনে আধুনিক।
তাদের বাচ্চা ভালোই আছে।কিন্তু আলট্রাসাউন্ড করার সময় দেখলাম এবারও তাদের ছেলেই হবে।মিষ্টি স্বপ্নটা আর ভাঙতে ইচ্ছে করলোনা....থাকনা....আরও কিছুদিন থাক।পরিশেষে সুখী দম্পতির একটি সুখী ছবি...