কৈশোর থেকে যৌবনের প্রথম প্রহরে,
বাক্স বন্দি করে বহুবার চাঁদ পাঠিয়েছি তোমার দ্বারে।
তারপর হুট করে অমাবস্যা এলো,
ভিজিয়ে বালিশ ডুবে গেল চাঁদ!
আমার যৌবন গেলো ভেজা বালিশে
জমতে থাকা সন্ধ্যা মালতির নালিশে-নালিশে।
এরপর--বহু রমনীর বুক ছুঁয়েছি, ঠোঁট ছুঁয়েছি,
রক্তাক্ত করেছি মধু পূর্ণিমায়!
তবুও কাউকে কৈশোরের মতো বাক্স বন্দি করে চাঁদ দেওয়া হয়নি,
কারো কোলে মাথা রাখার সাধ জাগেনি।
ভালোবাসার লিপ্সা টানেনি!
আজকাল বড্ড একা লাগে, জানো?
বিছানার পাশে কোন রমনীর দেহের উপর চাঁদের আলো বড্ড বিভৎস লাগে।
আমার যন্ত্রনা হয়,
শরীর পুড়তে থাকে,
দহন হয় বুকের ভেতর!
ইচ্ছে হয় পাশে শুয়ে থাকা রমণীটি একবার বলুক-
আজকের চাঁদ আমায় দেবে প্রিয়তম?
আমিও পরক্ষণে তার চোখে তাকিয়ে হেসে বলবো-
"মধ্যবিত্ত প্রেমিকের আর কিবা দেয়ার আছে বলো, তার প্রেমিকাকে?
অনন্ত আকাশের রূপালি চাঁদ ছাড়া!"
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩