somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেষচিঠি

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রিয় মাধরী....!
আজ হতে শত সহস্র বছর আগের কথা; তোমার মনে আছে কি..?
মনে পড়ে সে দিন গুলো...?

জানো আমিও ভুলিনি না কিছুই....!
ভাল ভাল কোটি খানেক স্মৃতি আছে তোমার-আমার, আরে হ্যাঁ আমাদেরই।
আচ্ছা সেদিনের কথা মনে আছে...?
তুমি ভাবছো কোনদিন....!!

আরে বলছি আমি; চিনতে পারছো না ..?
তখনো বেলা পড়েনি, সকাল ১০ টা কি ১১.১৫ দিকে হবে।
তোমার সাথে সামান্য কথা কাটাকাটিতে রাগ করে নেমে বের হয়ে গেছেলাম আমাদের আড্ডা হতে।
একরাশ ঘৃনা আর সামান্য দাম্ভিকতা নিয়ে বের হয়ে গিছিলে তুমিও,
আর আমি বিকেল ৩টা অবধি বসে বসে কেঁদেছিলাম।
খুব কাছের বন্ধুটির ফোন পেয়ে দৌঁড়ে ছুটেে আসে আমার কাছে।

কয়েকদিন আগে
অহংকারে বলে দিলাম আমাদের মতো প্রেম পৃথিবীতে আর থাকতে পারেনা।
জিতে গেলো অহংকার, হেরে গেলো ভালবাসা।

আকাশ ভেঙ্গে কাচের টুকরার মতো হৃদয়ে বিঁধেছিল সেদিন,
সেই টুকরো হৃদয় থেকে কুঁড়িয়ে নেওয়ার কেউ ছিলনা।
কোনদিন জানো?
যেদিন তুমি আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলে অজানা কোনো কারনে।

বিলুপ্ত ভালবাসার শপথ করে বলছি, আমি আজো জানতে পারিনি কি ছিল প্রত্যাখ্যানের অজানা কারন।

দেখো কতো পচা আমি?
শুধু নিজেই বকবক করে যাচ্ছি,তুমি জানো এটা আমার পুরনো স্বভাব।
হাসছো?
এই শুনো....হাসবা না একদম।
আমি যে আবার প্রেমে পড়তে চাই না আর, শেষে যদি তুমি আমার প্রিয় ভুল হয়ে বসো।

একটু বেশি আবেগি হয়ে যাচ্ছি। আসলে আমি বেশিই পচা।
এই বললে নাতো কেমন আছো তুমি?
বলবেইবা কেমনে, জিজ্ঞেস ই'তো করলাম না।


আচ্ছা এখন জীবনে যে এসেছে বা জীবনে যাকে এনেছো সে কেমন ভালবাসে তোমায়?
আমার চেয়ে বেশি না হলে কিন্তু খুব রাগ করবো।
আচ্ছা তুমি ঘেমে যাওয়ার পরে কি ফু দিয়ে কপালে ঠান্ডা আভা সৃষ্টি করে সে।
নাকি তোমাকে ঘামতেই দেয় না?

নুডলস কি এখনো বেশি পছন্দের? নাকি ফাস্টফুড খেতে খেতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা অন্য কিছু প্রিয় হয়ে বসেছে।
চিংড়ি মাছ বেশি পছন্দের ছিল তোমার, আর এখন? নাকি মাছ খাওয়া ছেড়েই দিছো?

সেদিন দেখলাম মাথার উপড় কি জানি অর্কিড ফুল মনে হয় ওই যে যেটা তুমি স্কাফের উপড় পড়েছিলে।
১লা বৈশাখ ছিল সেদিন....
আমি কিভাবে দেখেছি ভাবছো,আরে দেখেছি দেখেছি।
আচ্ছা সেটা কি ফুল ছিল?
তোমার প্রিয় ফুলতো ছিল গোলাপ।
তবেকি ফুলের পছন্দ পালটে গেলো?

পালটে যাওয়াটা স্বাভাবিক; যেখানে তোমার তুমিটা পালটে গেলো,সেখানে পছন্দ বৈকি।

আচ্ছা....
মাইগ্রেনের ব্যথা এখন উঠে?
আমার এখনো মনে পড়ে...
ব্যথা উঠলে বলতাম ফোন অফ করে দশ হাত দূরে রাখো; আর ঘুমাও।
তুমি বলতে, না চ্যাট করবো, না হয় ফোন দাও।
কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাই; আমি ঠিক তাই করতাম।

আচ্ছা এখনো কি মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে তোমার এখনের প্রিয় মানুষটি বকাসকা করে ঘুমানোর জন্যে?
তার সাথেও কি ফোনে কথা বলতে বলতে ঘুমাও?
নাকি ব্যস্ততার রোষানলে পড়ে গেলে?
এভাবে প্রেম হয়, হ্যাঁ এভাবেই প্রেম হয়!

উফফ দেখো রাগ করে বসতেছি তোমার সাথে।
তোমার সাথে রাগ করার সে অধিকার আর আছে বলো?

তুমিতো একটা অধিকার দিয়েছো,
তা শুধু ঘৃণা করার, কিন্তু ব্যস্ততার চাপে সেই ঘৃণাটাও করতে পারছিনা,
তুমিতো জানো কাউকে ঘৃণা করার জন্যেও নিজেকে সময় দিতে হয়।
সেই ঘৃণিত মানুষের মিথ্যে আশ্বাস ভাবতে হয়, দেখানো স্বপ্নের অন্ধত্ব বুঝতে হয়,
সে সময় কই আমার বলো?

এই; চুপ কেন?
আমি কেমন আছি জানতে চাইবে না?
আচ্ছা নিজ থেকে বলি, ভাল নেই আমি!
তুমি হয়তো ভাল আছো তোমার পৃথিবীতে।

আচ্ছা থাক....
আর কথা বাড়িয়ে কি হবে? কি হবে স্মৃতির স্মৃতিচারণে?
তুমিতো আমার বৃত্তের মাঝে রয়েও অন্য কারো আকাশ।
যে আকাশে স্বপ্ন বুনে অন্য কোনো প্রেমিক, যে আকাশে স্বপ্ন দেখাও অন্য কোনো প্রেমিকে!
আচ্ছা সে আকাশের রং কি হলুদ? ঘুমিয়ে গেলে?
আমি সেই লিখেই গেলাম; এবার তবে থামি, আর লিখছিনা।

চিঠির ইতি আঁকার আগে শেষ একটি কথা বলবো,

“আমি তোমায় হাসতে শিখিয়েছি, আর তুমি আমায় কাঁদতে”
আমি কৃতজ্ঞ তোমর কাছে, ভাল থেকো, ভাল রেখো।
আমি কৃতজ্ঞ।

ইতি...
ডান চোঁখের জল মুছে ফিরে আসা সেদিনের সেই প্রেমিক।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×