somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেন্সট্রুয়েশন, ইসলাম কম্পেটিবলিটি সম্পর্কিত আরিফুর রহমানের কাছে রাগইমনের প্রশ্ন ও আমার বক্তব্য: পর্ব-১

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনিগিরির একটা পোষ্টে এই লিঙ্কে রাগইমন আরিফুর রহমান কে দুটো প্রশ্ন করেছেন।সেই সুবাদেই এই পোষ্ট।পোষ্টটি দুই পর্বে বিভক্ত।

প্রশ্ন-১: মিন্স্ট্রুয়েশনের সময় মহিলাদের নামাজ, রোযা না করার কথা কোথায় বলা আছে, কেন?

প্রশ্ন-২: ইসলাম এজ 'মোহাম্মেদানিজম' রাষ্ট্রনীতিতে কতটুকু কম্পেটিবল?


@রাগ ইমন: বহুদিন পর কঠিন ফর্মে….. :D :D :D :D


ঐ লিঙ্কে পারভেজের করা মন্তব্যটার সাথে আম্ওি একমত।জ্ঞানের উৎস কি সেটার থেকে জ্ঞানটা কি সেটাই বিচার্য হওয়া উচিত।সেই আলোকে আরিফুরকে করা আপনার প্রশ্নগুলোর ভিত্তিতে কিছু বলার চেষ্টা করছি।

প্রথমতো: মিনষ্ট্রুয়েশন নিয়ে আপনার প্রশ্নটা:

মিন্সট্রুয়েশনের সময় মহিলাদের নামাজ, রোযা করা বারন, কোথায় বলা, কেন বলা হইলো?

সুরা আল বাকারাহ এর ২২১ নম্বর আয়াতে আছে: “And they ask you about menstruation. Say, “It is harm, so keep away from wives during menstruation. And do not approach them until they are pure. And when they have purified themselves, then come to them from where Allah has ordained for you. Indeed, Allah loves those who are constantly repentant and loves those who constantly purify themselves”(2.221). এটা সহী ইংরেজী অনুবাদ।এখানে বলা হচ্ছে ‘এটা ক্ষতিকর’ সুতরাং এই সময়ে তাদের থেকে দূরে থাকো।মেডিক্যাল সাইন্সেও দ্বিমতের ভিত্তিতে পিরিওডের সময় সঙ্গমের কিছু ক্ষতিকর দিকের কথা ইদানীং কালে শোনা যাচ্ছে।এখানে কিন্তু নাপাক বা এরকম কিছু বলা হয়নি।কিন্তু তার পরবর্তীতেই বলা হচ্ছে পিউরিফিকেশনের কথা, অর্থ্যাৎ এই সময়টাতে তারা এমন একটা অবস্থানে থাকে যেটা ‘পিওর’ নয়।অত:পর বলা হচ্ছে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা ক্রমাগত অনুতপ্ত এবং ক্রমাগতভাবে নিজেদের ‘পিউরিফাই’ করে।এখন এই ‘ইমপিউরিটি’ টাকে বুঝতে হলে পরবর্তী আয়াতটা বোঝা জরুরী।২২২ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে, “Your wives are a place of sowing of seed for you, so come to your place of cultivation however you wish” (2.222). (লাইনটা যখনই পড়ি আমার কেন জানি কোদাল, জমি, কোপাকুপি, শস্য ইত্যাদির চিত্র চোখে ভাইসা উঠে, বিষম যন্ত্রণা) =p~ =p~ =p~ =p~ ।এই আয়াতে বোধ হয় ইমপিউরিটির কন্সেপ্টটা ধরা যায়।পিরিওডের সময়কার সঙ্গমে সন্তান হয়না, এই ধারণা থেকেও তাদেরকে ইমপিউর’ বলা হয়ে থাকতে পারে।মূল কথা সময়টাতে স্ত্রী জাতিকে পিউরিটি দেয়া হয়নাই।

এখন এই আয়াত কেন নাযিল হলো (আপনার পরবর্ত প্রশ্ন) সেই শানে নুযুল আমি অনেক খুজেঁও পাই নাই।আপনার যদি জানা থাকে আমি জানতে আগ্রহী।তবে শানে নুযুল হিসেবে আমার একটা এপিষ্টেমোলজিক্যাল পজিশন আছে, দেখেন পছন্দ হয় কি না।আমার ব্যখ্যায় যাবার আগে আমার এজাম্পশন ধরে নিতে হবে যে কোরআন নিতান্তই ‘মোহামেদানিজম’।তার আগে একটু কোরানের সুরার প্রেক্ষাপট বাতলে মূল প্রসঙ্গে আসবো।

কোরআন এর দুই অংশ মাদানী এবং মাক্কী সূরা গুলো আপনি যদি দেখেন, দুটো ভাগকে পরিষ্কার ভাবে আলাদা করা যায়।মাদানী সূরা গুলোতে মূলত: রাষ্ট্র পরিচালনা, নেতৃত্ব, বিজয়, জীবন বিধান, বিবাহ, বিগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে।মাথায় রাখতে হবে মোহাম্মদ তখন মদীনার সিটিজেনশীপ পেয়েছেন এবং মদীনার বিভন্ন (১২টি) গোত্রের মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে তাকে বিভিন্ন নিয়ম নীতি তৈরী করতে হয় যেগুলোই সূরা।অপরদিকে মাক্কী সূরাগুলো সেই পুরোনো মদ নতুন বোতলে।বাইবেল বা ওল্ড টেষ্টামেন্টে যে গল্পগুলো ছিলো, সেগুলোই ঘুরে ফিরে একটু ভিন্নভাবে বলা।মুহাম্মদ যখন বিভিন্ন কাফেলার সঙ্গে ভ্রমন করতেন তার সফর সঙ্গী ছিলো মূলত ইহুদী ও খ্রীস্টিয়ান মঙ্ক (Ali Dashti, 23 Years)।তাদের কাছ থেকেই ওল্ড টেষ্টামেন্ট আর বাইবেলের গল্পগুলো তার জানা হয়ে যায়।যেমন করে ইসলামের অনেক গল্প না পড়েও আমরা জেনে যাই পরিবার পরিজনদের থেকে।মিন্সট্রুয়েশনের নাপাকত্বের এই ব্যাপারটাতে স্ত্রী জাতি কে ওল্ড টেষ্টামেন্ট এবং বাইবেল দুই জায়গাতেই রীতিমতো অচ্ছুৎ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।শুধু তাইনা ওল্ড টেষ্টামেন্টে হ্যান্ডিক্যাপড চাইল্ড এর জন্মের কারন হিসেবে মিন্সট্রুয়েশেনের সময় এর সঙ্গমকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেটা রিফিউটেড সাইন্টিফিক্যালী অনেক আগেই।আব্রাহামীক গ্রন্থগুলোর সেই অচ্ছুৎ’ এর সূত্র ধরেই কোরআনে মোহম্মদের এরকম বানীর আগমন ঘটে থাকতে পারে।

এবার আসি আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন, কম্পেরাটিভলী রাষ্ট্র নীতি হিসেবে কোরআন কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেই প্রসঙ্গে।


ডেমক্রেসী, হিউম্যানরাইটস বনাম শরীয়াহ (মোহাম্মেদানিজম)

রাষ্ট্রনীতি হিসেবে কোরআনকে আনতে হলে প্রথমেই আনতে হবে শরীয়াহ।শরীয়াহ এর মূল ভিত্তি কোরআন, হাদিস/সুন্নাহ।কোরআন যেখানে দূর্বোধ্য সেখানে ইজমা এবং কিয়াস।এই ইজমা এবং কিয়াস এর অথরিটি কারা? মুসলিম স্কলাররা।এখানে আমি আপনার সাথে একমত।মোহাম্মেদানিজম অবসোলেট না, এটা আপগ্রেড হচ্ছে, যুগের চাহিদার সাথে সাথে।পুরোনো কুরআনের অনুবাদ আর নতুন কোরআনের অনুবাদে অনেক পার্থক্য, কেন বুঝতেই পারছেন, যুগের চাহিদা মেটাতে হয় স্কলারদের। এই ব্যখ্যায়ও আবার ভাগ আছে।শিয়ারা ইজমা এবং কিয়াস মানেনা।শিয়াদের জন্য ফিক্হ (চারটি ফিক্হ স্কুল এর দুটি)।সেই ফিক্হ প্রদানকারী হচ্ছেন মোহাম্মদের পরবর্তী নেতৃত্ব যেটা সুন্নীরা মানেনা কারন মুহাম্মদের পর কোন নেতৃত্ব সুন্নীরা মানেনা। মোহম্মেদ এর ‘ইজম’ এর নিরঙ্কুশ একত্ববাদীতা খারিজ হয়ে গেলো মুসলমানদের মধ্যে দুই ভাগে।দুটি ভিন্ন পক্ষ ভিন্ন ব্যখ্যায় কুরআনকে হাজির করছে।তো সেটা যাক, মার্ক্সবাদেরও নানান ব্যখ্যায় নানান রূপ দেখা যায়।এখন রাষ্ট্রতন্ত্রে যে মোহাম্মোদানিজম সে মোহাম্মদানিজম হলো এই শরীয়াহ।Democracy is the rule of people while Sharia is the rule of Islam. এই শরীয়াহকে স্বীকার করতে হলে প্রথমেই গণতন্ত্রকে অস্বীকার করতে হয়।আমি নিশ্চিত আওয়ামীলীগের এর গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের চিরতার শরবতের চেয়েও শরীয়াহ আর গণতন্ত্রের মিশেলটা বেশী তিতা হবে।শরীয়াতে রাইটস বলতে শুধু পুরুষের।মহিলাদের রাইট হারিকেন দিয়ে খুঁজতে হয়, নতুবা যুগোপযোগী করার জন্য স্কলারের প্রয়োজন হয়।রাইটের ক্ষেত্রে আমি তাই গণতন্ত্রকে মোহাম্মদবাদ এর অনেক উপরে রাখবো।উপরে বলা কোরআনের আয়াত দু’টোতেই স্পষ্ট, কোরআনে মহিলাদের কিভাবে দেখা হচ্ছে, এরকম বহুত আছে চালুনীর ফুটার মতো।আর পুরুষদের জন্য চাইলে মহিলাদের প্রহার করাও জায়েজ আছে, ''Men are in charge of women by [right of] what Allah has given one over the other and what they spend [for maintenance] from their wealth. So righteous women are devoutly obedient, guarding in [the husband's] absence what Allah would have them guard. But those [wives] from whom you fear arrogance - [first] advise them; [then if they persist], forsake them in bed; and [finally], strike them.''
(সুরা:৪:৩৪)। আর এডাল্টারী করলে পাথর নিক্ষেপে, মস্তকছেদের আদেশ দেয়া আছে।এই শরীয়াহ এর আবার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন রুপ।পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৯৭৯ সালে হুদুদ অর্ডিন্যান্স নামে শরীয়াহ ভিত্তিক এক অর্ডিন্যান্স জারী করেন, যার ভিত্তিতে একজন রেপ ভিক্টিমকে চারজন পুরুষ সাক্ষী হাজীর করতে বলা হয়েছে, নতুবা প্রসিকিউটেড ফর এডাল্টারী!!!।এখন এই শরীয়াহ কোন ইজমা আর কিয়াস দ্বারা কোন স্কলার বাহির করেছে সে তথ্য আমার জানা নাই।প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ এই ২০০৬ সালে ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক দলগুলোর প্রবল প্রতিবাদের মুখে এই নিয়মে এমেন্ডমেন্ড আনে।আর ইরানের অবস্থাতো দেখছেনই। এই যখন শরীয়াহর অবস্থা, এখন বলেন এই রীতিতে জাইনা শুইনা আমি কেমনে ভোট দেই? ভোটের ব্যাপারটা আসাতে আবার গণতন্ত্রের আলাপে ফিরে যাই। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর খলিফা হলো আবু বকর, কিসের ভিত্তিতে?গণতন্ত্রে যেখানে প্রতিটা নাগরিকের ভোটে একজন নেতার নির্বাচিত হওয়ার কথা, কোরআনে কিন্তু কোথাও সেরকম করে নেতা নির্বাচনের কথা বলা নাই।‘শূরা’র কথা বলা আছে, সেই ‘শূরা’ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতির কথা কোথাও বলা নাই।আপনার ইসলামিক নেতা কিভাবে নির্বাচিত হবে বলবেন কি? সেই আল্লাহ প্রদত্ত শাসনে অধিকার যাদের দেয়া হয়েছে তাদের গভনেন্সে?এইখানে নারী নেতৃত্বের কোন অবকাশ নাই।ইসলাম এন্ড ডেমক্র্যাসী? ইউ মাস্ট বী কিডিং!!!!।আর এক নায়কতন্ত্রের কথা বললে সমস্যা নাই, কারন ইসলাম ইজ এনাদার নেইম অফ দ্যা টোটালিটারিয়ান গড।

চলবে..দ্বিতীয় পর্ব পর্যন্ত।(এইখানে দ্বিতীয় পর্ব)



সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২১
৩৫টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×