মানুষের পক্ষে কতকটা নিঃসংকোচ হওয়া সম্ভব। যে যুক্তিবোধ আশা আকাঙ্খা মননশীলতায় আমরা উদ্বেলিত হই, তা আমাদের কতকটা সংকোচহীনভাবে বাস্তবকে স্পর্শ করতে পারে। ভাবাবেগ ভাবলেশহীনতার যে জগত তা নিশ্চয় সংকোচহীনতার সাথে এক নয়? এটা কি ঠিক নয় যে, পথই পথিক তৈরী করে। আমরা একে আরো মহত্তম বলে মেনে নিলে- পথিকই পথ তৈরী করে। দ্ব্যর্থকতার যে অভ্যাস তা চিরকাল দৌদুল্যমান থাকতে পারে না। তাতে কেউ না কেউ জয়ী হয়। হয়তো আকস্মাৎ কেউ পিছুটান দেয়।
এতটা বৈচিত্র্যের মাঝে মুগ্ধতা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। এই বেলায় ঝিঁঝিঁ ডাক যখন মনোহর হয়ে উঠেছে, তখন কি ঘর ছাড়তে ইচ্ছে করছে না!
আমাদের সংকোচহীনতার মূলে হয়তো বা কোন মহত্তম ইচ্ছে থাকে। যা সহসা বুঝা হয়ে উঠে না। শেষ পয্যন্ত কোন অর্থহীনতায় নিরর্থক থাকে না। আমাদের এই অনর্থক বেঁচে থাকাটাও একটা কীর্তি বটে। এটা কোন সান্ত্বনা নয়, সৃষ্টির আনন্দে মুগ্ধ হয়ে বলছি। এই সত্য যেন মুছে না যায়।
আমিন!!