আজ এমব্যাসিতে বৈশাখ অনুস্থান খুব আনন্দ মুখর ছিল, প্রবাসি ছাত্র ও কর্মজীবীদের আনন্দ উল্লাসে কায়রস্ত মিসর এমব্যাসি রুপ নিয়ে ছিল আশ্চর্য এক মিলন মেলায়, মিসরস্থ ছাত্র সংগঠন (Bangladesh Student Organigation) এই কৃতিত্বের পরিপূর্ণ দাবীদার, বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের ছাত্রদের গাওয়া জাতীয় ও দেশীয় সঙ্গীতের মূর্ছনায় সবাই কিছুক্ষনের জন্য হলেও হারিয়ে গিয়েছিল বাংলার বুকে ও বাংলার ভালবাসায়। দেশীয় হরেক রকমের পিঠার স্বাদ ও চেনা মানুষ গুলোর সান্নিধ্য এনেছে নতুন এক আমেজ, তবে একটি বিষয় দেখে আমরা সবাই ভড়কে গিয়েছিলাম তাহলো বহু দিন আগ থেকেই কায়রস্থ সব অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের ছাত্রদের পরিচালনা হয়ে আসছে, তবে কিছু দিন ধরে বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের ছাত্ররা পারফর্ম করা সত্তেও কথিত শিবিরে কর্মী সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ইয়ুথ ফোরাম নামের সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের ছাত্রদের করা সব অনুস্থান নিজের নামে চালিয়ে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনকে হেয় করে যাচ্ছে, অথচ বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী নতুন করে কোন সংগঠন হতে পারবে না কিংবা বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে কোন অবস্থানে আসতে পারবে না। সর্বোচ্চ ছয় জনের এই গ্রুপটি এই আইন লঙ্ঘন, ছাত্রদের মাঝে অন্ত কোন্দল, সাধারন ছাত্রদের হুমকি ধামকি, বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের ছাত্রদের করা অনুষ্ঠান শেষে বলা হচ্ছে যে সব অনুষ্ঠান ইয়ুথ ফোরামের আয়োজনে করা হল, অথচ এই সব অনুস্থানের খরচ ও দায়ভার এমব্যাসি ও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন বহন করে থাকে এবং বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের সংস্কৃতি বিভাগের সদস্যদের দারা পরিচালিত হয়ে থাকে। কায়রোর এই হলুদ সাংবাদিক চ্যানেল আই এর লগো চুরির ঘটনায় নিজেকে রক্ষা করতে না পেরে ও কায়রো ছাত্র সমাজ তার ব্যাপারে অতিষ্ঠ হওয়ায় সে তার পক্ষে কাউকে না পেয়ে তার পক্ষ নেয়ার জন্য এই ইয়ুথ ফোরাম নামে এই সংঘটনটি শুরু করে, আর এভাবেই জন্ম নেয় নিয়ম বহির্ভূত এই জামাতী সংঘটনটির। ইদানীং এর সভাপতি নতুন করে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবী করে অন্যায় ভাবে কায়রো ইউনিভার্সিটির স্কলারশীপ বগল দাবা করেছেন। বর্তমানে আওয়ামীলীগ এর ক্ষমতায় থাকার কারনে বেশ কিছুদিন আগে এদের কয়েকজন কট্টর শিবির হওয়া সত্তেও এমব্যাসিতে গিয়ে শেখ মুজিব এর মৃত্যুবার্ষিকীতে মুজিব কোর্ট পরে নিজেদের স্থান পাকা করতে দরাজ কণ্ঠে গেয়ে আসলো দেশের গান অথচ একাত্তরের সময় এদের পূর্ব পুরুষেরাই পাকিস্থানের পক্ষে আর বাংলাদেশ হওয়ার বিপক্ষে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। মাটিতে মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল দেশ ও মাতৃকার সম্মান। এখন কথা হল আমরা সাধারন ছাত্ররা আর কত এমন তামাশা সইবো? দেশের মাটিতে এমনকি বিদেশের মাটিতেও সইতে হচ্ছে একাত্তুরের পাকিস্থানী সেনাবাহিনির রেখে যাওয়া রূহানী সন্তানদের অত্যাচার। এভাবেই হয়তো দিন কেটে যাবে, বর্তমান প্রজন্ম জানবে না কিছু, তারা রয়ে যাবে ঘুমের ঘরে,রাজাকারের সন্তানদের মাধ্যমে দেশে বিদেশে হতে থাকবে বাংলাদেশের মান সম্মান ভূলুণ্ঠন, দেশের প্রকৃত সন্তানরা হবে হেনেস্ত আর এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আর কোন দিন জেগে উঠবে না বাংলার কবি ফররুখের একুশ শতকের পাঞ্জেরীরা।