
“এয়ারপোর্টে আগুন নয়, জ্বলে উঠেছে দেশের লজ্জা”
এয়ারপোর্ট আগুনের ইন্টারভিউ
কেউ বলছেন শর্ট সার্কিট, কেউ বলছেন কেমিক্যাল, কেউ বলছেন ঈশ্বরের ইচ্ছা—
কিন্তু দেখুন, এ দেশে কিছু ঘটলে তারও একটা সরকারি পলিসি থাকে।
ঢাকা বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনেও তাই হয়েছে—
আগুন লাগার আগে নাকি সেখানে পর্যাপ্ত ফোম ছিল, কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ভাইয়েরা নাকি নাটক দেখাচ্ছিলেন!
আগুন লেগেছে দুপুরে, কিন্তু বাঁচানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে বিকেলে!
মনে হচ্ছে “আগুন নেভানো” নয়, “আগুন বাড়ানো” ছিলো মিশনের অংশ।
এখন প্রশ্ন উঠছে—এই আগুনের আসল কাজ কী?
বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি, আন্তর্জাতিক কুরিয়ার এরিয়া পুড়ে ছাই,
আর তারপর যদি কেউ এসে বলে,
“আমরা তো সক্ষম না, তাই বিমানবন্দরটা আমেরিকাকে দিয়ে দিলাম”—
তাহলে আশ্চর্যের কিছু থাকবে?
বঙ্গোপসাগর গেছে, সেন্টমার্টিন যাচ্ছে,
চট্টগ্রাম বন্দরও হাতছাড়া হচ্ছে—
তাহলে ঢাকার বিমানবন্দরটা দিয়ে দিলে আমরা কি রাস্তায় নামতাম?
না ভাই, আমরা এত ছোটলোক না।
শুধু একটু জানিয়ে দিলেই হতো—
“দেশ চালাতে পারছি না, তাই হস্তান্তর করে দিচ্ছি।”
আমরা বলতাম, “ঠিক আছে স্যার, যেভাবে চান সেভাবেই দিন।”
কিন্তু না—
এখন তো নিয়ম হচ্ছে আগে জ্বালাও, তারপর বিক্রি করো।
আগুনই নতুন টেন্ডার ডাক!
এভাবে যদি চলে, তাহলে কাল হয়তো ঘোষণা আসবে—
“ফায়ার সার্ভিসও এখন বিদেশি কনসালট্যান্টের হাতে।”
কারণ আগুন নেভানোও এখন বিদেশ নির্ভর ব্যাপার।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




