আপনি নিশ্চয় বিশ্বকাপের জন্য দিন গুনেছেন; এখন খেলা চলছে, আপনার কাছে কেমন লাগছে! নিশ্চয় একটা ভালো অনুভুতি কাজ করছে, এক ধরণের ঝোঁকের মাঝে আছেন। ইহা হতে পারতো আরো গভীর, আরো উদ্দীপনার যদি বাংলাদেশ খেলতো। আমেরিকায় স্পেনিশদের আয়োজন দেখলে বুঝা যায়, বিশ্বকাপের এই সময়টুকুকে তারা গভীরভাবে অনুভব করে, পুরো পরিবারসহ বসে খেলা দেখে, স্পেশাল খাবার ইত্যাদি নিয়ে বসে।
জাপানী ও সৌদীদের জয় প্রমাণ করেছে বাংগালীরা খেললেও ভালো করতো; ভালো খেলার জন্য অগ্রিম প্রস্তুতি ও দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানের দরকার, একটা বাজেট থাকার দরকার। জাতির মানসিক ও শারীরিক স্বাস্হ্যের জন্য জাতির পছন্দের খেলাকে জনপ্রিয় করা উচিত।
বাংগালীরা ১২ বছর থেকে ৩৫ বছর বয়স অবধি গড়ে ভালো স্বাস্হ্যের অধিকারী; ফুটবলের জন্য ভালো স্বাস্হ্যের দরকার ও কঠিন মনোভাবের দরকার। যারা খেলেন তাদের স্বাস্হ্য সব সময়ই ভালো থাকে; একই সাথে তাদের ব্যক্তিত্ব ও আচরণ ভালোর দিকে যায়।
বাংলাদেশে বেসরকারীভাবেও ভালো টিম গড়া সম্ভব। দরকার কয়েকজন ভালো সংগঠক, যারা সময় দিতে পারবেন ও যারা এই খেলাকে ভালোবাসেন।
আগে, স্কুলগুলোতে খেলার ব্যবস্হা ছিলো, এখন উহা নেই বললেই চলে; প্রায় স্কুলে ২/১ শিক্ষক থাকে, যাঁরা খেলাধুলায় উৎসাহী। আমাদের স্কুলের হেমামাষ্টার ও অংকের শিক্ষক ছিলেন ফুটবল খেলায় খুবই উৎসাহী। অংকের শিক্ষক ছেলেদের সাথে খেলতেন ও কিছুটা ট্রেনিং দিতেন। হেডমাষ্টার সাহেব ফুটবলারদের বেতন ইত্যাদি নিতেন না, প্রেকটিস করলে খাওয়ার ব্যবস্হা করতেন; অন্য কোথায় খেলতে গেলে সব খরচ বহন করতেন ও সামান্য পকেট খরচও দিতেন।
এখন দেশের যেই অবস্হা, কয়েকটা ভালো টিম গঠন খুবই সম্ভব। দেখা যাক, এবারের খেলা দেখে ২/৪ জন বেরিয়ে আসে কিনা!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৪