জাপান, সুইডেন, কানাডার মানুষজন ভালো আছেন, নাকি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইয়েমেনের মানুষজন ভালো আছেন? আপনার উত্তর কি হবে আমি জানি না; তবে, একজন হুজুরকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করলে, উনি যেসব উত্তর দেবেন, সেটা সঠিক না'হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৯৯ ভাগ।
জাপান, সুইডেন, কানাডা বা ইসরেয়েলের মানুষদের সুখের ব্যাপারে হুজুরদের একটা উত্তর হলো, আল্লাহ ওদেরকে এই পৃথিবীতে ভালো থাকতে দিচ্ছেন, কারণ তাদের পরকাল নেই, তারা পরকালে কিছু পাবে না। একজন হুজুর কি একজন জাপানীর পরকাল জানার কথা? উনার এই ধরণের কথায় ও ভাবনায় কোন লজিক নেই।
শিশুদের মাদ্রাষায় ভর্তির পর, তারা যেই পরিবেশে, যেসব শিক্ষকদের কাছে পড়ালেখা করে, সেখানে আজকের বিশ্ব সম্পর্কে কোন সঠিক ধারণা গড়ে উঠে না; তাদেরকে এমন সব বিষয় পড়ায়, সেখানে ভাবারও কিছু থাকে না; তাদেরকে এমন পরিবেশের মাঝে রাখে, যেখানে আধুনিক জগত ও আধুনিক সভ্যতাকে পাপাচার হিসেবেই দেখানো হয়।
ওদের পাঠ্যসুচীতে যা থাকুক, তারা আধুনিক মানুষের জীবনকে বেঠিক জীবন হিসেবেই নেয়। মানুষের জীবন সম্পর্কেও তাদের অনেক ভুল লজিক শেখানো হয়: মানুষ যখন অপরাধ করে, বেশীরভাগই মানুষের আচরণকে দোষারোপ না করে, সবকিছু কল্পিত শয়তানের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। শিশুরা যাতে এই শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পায়, তাদেরকে ২/১ লাইন আরবী কবিতাও শেখানো হয়; ফলে, ওদের মাঝে কেহ অপরাধ করলে, নিজকে দায়ী না করে, কল্পিত শয়তানের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়।
মাদ্রাসার শিশুদের ধারনা দেয়া হয় যে, মুসলমানেরা অতীতে ভালো ছিলো, কারণ তাদের ইমানের জোর ছিলো; আসলে, সামন্তবাদের সময়, আরবেরা ও তুর্কীরা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের একাংশ দখল করে নিজেরা ভালো থেকেছে; কারণ তারা সামন্তবাদী সময়ে অন্যদের চেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা ছিলো। কিন্তু তারা সময়ের সাথে নিজেদের শিক্ষিত করেনি, এক সময় সামন্তনাদের পতন হয়েছে; এখন তারা সমস্যায়।
মাদ্রাসায় সায়েন্স ও অংক পড়ালেও, তারা এগুলো পড়ছে চাকুরী ইত্যাদিতে স্হান পাবার জন্য; কিন্তু তারা এগুলো বিশ্বাস করে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৭