খান ইউনিসে গণহত্যা চলমান রেখে, ইহুদী বাহিনী গাজার সর্বশেষ দক্ষিণ এলাকার ৫ * ৪ বর্গ কিলোমিটারের ( ২০ বর্গ কি: ) ১৪ লাখ মানুষকে টার্গেট করেছে। এখানকার ১৪ লাখের মাঝে সাড়ে ১৩ লাখ হচ্ছে যুদ্ধ থেকে পলায়ণরত মানুষ। এদের মাঝে ২০ হাজারের কাছাকাছি হামাস লুকিয়ে আছে সম্ভবত:। মনে হচ্ছে, ইসরাহচ্ছে য়েলী জল্লাদ বাহিনী কয়েকজন ইহুদী বন্দীকে উদ্ধার করেছে খান ইউনিসে; তারা ইসরায়েলীদের খুশী করার জন্য জানিয়েছে যে, তারা ২ জন বন্দীকে রাফা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে; ইহা দ্বারা বুঝাতে চাচ্ছে যে, বাকী বন্দীরা রাফায় আছে, ওখানে যুদ্ধ করতেই হবে।
আজকের হিসেব মতে, এখন গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩১ হাজারের কাছাকাছি। রাফায় তারা আরো ১০/১২ হাজারকে হত্যা করতে প্রস্তুত। রাফা আক্রমণ করার আগে নেতানিয়াহুকে ভাবতে বলেছ আমেরিকা; কিন্তু "না" করেনি। নেতানিয়াহু ইহুদীদের উদ্দেশ্যে বলেছে, রাফা আক্রমণ না করলে, হামাস বিজয়ী হয়ে যাচ্ছে; ইসরায়েল কোন অবস্হায় হামাসকে এই সুযোগ দেবে না। অবশ্য এটা ঠিক যে, জীবিত হামাসদের বড় অংশ এখন রাফাতে; তারা তাদের টানেলে ডিম পাড়ছে।
বন্দীদের সম্পর্কে ইসরায়েলী মিডিয়া বিশ্বকে যা বলছে, এর বাহিরে নেতানিয়াহু ও পুরো ইসরায়েল এমন কিছু জানে, যা বিশ্ব কোনদিন জানবে না। নেতানিয়াহু এখন কোন রকমের যুদ্ধ-বিরতিতে যেতে চাচ্ছে না; মনে হয়, নেতানিয়াহু বন্দীদের পরিবারের সাথে কোন ধরণের সমঝোতায় পৌঁচেছে, যাতে তারা দেশের স্বার্থে সব ধরণের পরিস্হিতির জন্য প্রস্তুত থাকে।
আজ রাতে রাফায় বিপুল পরিমাণ বোমা ফেলা হয়েছে; তারা লোক দেখানোর জন্য ২/১ দিন অপেক্ষা করে, গ্রাউন্ড অপরোশন শুরু করবে।