১। ইদানীং দেখছি কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা্র বিজ্ঞপ্তির সময় উল্লেখ থাকে SSC এবং HSC দুটি মিলে ৭.৫০ হলে ভর্তি হওয়া যাবে। আবার উল্লেখ থাকে মোট এত জনকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
এই থেকে কি প্রমানিত হয়? তারা কি ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করছে না। যদি বলতো যারা অংশ গ্রহণ করেত পারবে না। তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।তাহলে অন্যা কথা।
২। শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লিখা থাকে SSC এবং HSC উভয়েই ৪.৫০। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা সময় আপনারা ৪.০০ বা ৩.৫০ হলে নিতে পারেন। তার মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্যতা আছে কিন্ত শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই। তা খুব অমানবিক। আর তা কি বাণিজ্য নয়?।
একবার ভাবুনতো একটা ছেলে এক অজ পাড়া গায়ে থাকার জন্য ভাল শিক্ষকের/শিক্ষা অভাবে ভাল রেজাল্ট করতে পারেনি কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার সময় যারা GPA 5.00 বা Golden Plus পেয়েছে তাদের সাথে এক প্রকার যুদ্ধ করে ভর্তি হয়। এর থেকে কি প্রমানিত হয় না তাঁরা মেধাবী?
ও আরেকটা বিষয় বলা হয়নি যারা দরিদ্র শিক্ষার্থী, টাকার অভাবে ভাল করে প্রাইভেট পড়তে পারেনি।তাঁরাও ভাল রেজাল্ট করতে পারে না। আর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এই শর্ত এর কারণে তারা বঞ্চিত হচ্ছে, অনার্স, মাস্টার এমকি বাইরের ভাল ভাল বিশ্ববিদালয়ের থেকে পিএইচডি করার পরও।
ইদানীং একটা বিষয় লক্ষ্য বিশ্ববিদযালয় গুলো যেন কোম্পানির মত হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে আমি অনেক বয়ে পড়েছি যে বাংলা পড়েও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হয়েছে বা বাইরে থেকে উচ্চ ডিগ্রী নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছে। আজ শিক্ষকতা টাকে জাস্ট একটা পেশা বানানো হচ্ছে। এর জন্য তারা আজ তাদের সমান হারাছে এবং দেশ দিন দিন বিশৃঙ্খলা বাড়ছে এই কারণে ছাত্ররা শিক্ষকদের মাঝে কোন আদর্শ খুজে পায় না। শুধু দেখতে পারে ভাল একটা পোষ্ট পাওয়ার জন্য রাজনীতিবিদের .....................।।
বি. দ্র. এখানে যেই শিক্ষকদের কথা বলা হয়েছে তারা শিক্ষিত কাগজে কলমে, সুশিক্ষিত নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




