তারা এমন সব কথা অন্তরে পোষণ করে যা তোমার কাছে প্রকাশ করেনা।
"তারা বলেঃ, যদি মতামত প্রদানের অধিকার আমাদের কিছুমাত্রও থাকত তাহলে আমরা এ স্হলে নিহত হতামনা।" বলে দাও, "যদি তোমরা তোমাদের ঘরেও থাকতে তথাপি যাদের ভাগ্যে মৃত্যু লেখা ছিল তারা তাদের এ মৃত্যুশয্যার পানে বের হয়ে পড়ত।
এবং এ জন্যও যে আল্লাহ তোমাদের অন্তরের বিষয়গুলো পরীক্ষা করেন এবং তোমাদের অন্তরস্হ বিষয়গুলোকে পরিস্কার করেন বস্তুতঃ আল্লাহ সকলের অন্তরের কথা সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত।"
(সুরা আলে ইমরান-১৫৪)
::
যারা বসে থেকে নিজেদের ভাইদের সম্বন্ধে বলতে লাগল আমাদের কথামত চললে তারা নিহত হতো না।
"বল তোমরা সত্যবাদী হলে, তোমাদের নিজেদের উপর থেকে মরণকে হটিয়ে দাও।"
(সুরা আলে ইমরান-১৬৮)
::
আবু হুরাইরা রাঃ হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"যে বস্তু তোমার জন্য উপকারী উহা হাসিল করার নিমিত্তে পূর্ণভাবে আগ্রহ দেখাও আল্লাহর নিকট সাহায্য চাও কস্মিনকালেও তুমি বলনা যে যদি আমি এরূপ করতাম তাহলে এরূপ হতো। বরং তুমি বলঃ আল্লাহ যা স্হির করেছেন এবং যা ইচ্ছা করেছেন তাই কাজে রূপায়িত করেছেন। কেননা যদি কথাটি শাইতানের আমলের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়।"
একঃ
যদি শব্দের নিন্দনীয় ব্যবহার হচ্ছে কোন বান্দার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে তার অপছন্দনীয় কোন কিছু ঘটলে সে বলে আমি যদি এরকম করতাম তাহলে এমন হতো। এ রকম বলা নিন্দনীয় এবং শাইতানের কাজ। কারণ এর দুটি ক্ষতিকর দিক আছে। একটি হচ্ছে এ রকম কথা বান্দার অনুতাপ রাগ এবং দুশ্চিন্তার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয় যা বন্ধ করে দেয়া উচিত। অপরটি হচ্ছে এতে আল্লাহর প্রতি এবং তার নির্ধারিত তাকদীরের প্রতি অনাস্হা মূলক আচরণ প্রমাণিত হয়। কেননা ছোট বড় যাবতীয় ঘটনাবলী আল্লাহর ফাইসালা ও তাকদীরের ইঙ্গিতেই সংঘটিত হয়। যা সংঘটিত হয়েছে তা সংঘটিত হওয়ারই বিষয় ছিল তা রোধ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই যদি এরকম হতো অথবা এ রকম করতাম তাহলে এমন হতো বান্দার এ ধরনের কথা আল্লাহর বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ এবং তার ফাইসালা ও তাকদীরের প্রতি ঈমানের দুর্বলতা । এতে কোন সন্দেহ নেই যে দোষণীয় উক্ত বিষয় দুটি পরিত্যাগ করা ব্যতীত বান্দার ঈমান ও তাওহীদ পরিপূর্ণ হবেনা।
::
দুইঃ
প্রশংসনীয় ব্যবহার হচ্ছেঃ বান্দা যদি শব্দকে মঙ্গল কামনার্থে ব্যবহার করবে। যেমন, কোন ব্যক্তির কল্যান কামনার্থে এ কথা বলা আমার যদি অমুকের মত এত সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুকের মত ভাল কাজ করতাম। আমার ভাই মূসা যদি ধৈর্য ধারণ করত তাহলে আল্লাহ তা আলা আমাদেরকে তাঁদের ঘটনা সম্পর্কে আরও বর্ণনা দিতেন।(অর্থাত্ মুসা আঃ এর সাথে খিযির আঃ এর ঘটনার কথা আরও বর্ণনা করতেন।)
অতএব যদি শব্দের ব্যবহার যখন কল্যাণ অর্থে হবে তখন এর ব্যবহার প্রশংসনীয় বলে গণ্য হবে। আর যদি খারাপ অর্থে ব্যবহার হয় তাহলে এর ব্যবহার নিন্দনীয় বলে গণ্য হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২