…. এই ছবিটাকে আমরা প্রায় সকলেই আমাদের (বাংলাদেশের) কাছে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পনের ছবি হিসেবেই জানি। কিন্তু যেটা জানিনা সেটা হচ্ছে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পনের সেই ছবিতে আসলে কে কে উপস্থিত ছিলেন। তাই যারা জানেন না তাদের জন্যে বলে দিচ্ছিঃ
.
….লেফটান্যান্ট জেনারেল নিয়াজি (পাকিস্তান) আত্মসমর্পনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন। তার পাশেই বসে নিয়াজির সাক্ষর অবলোকন করছেন লেফটান্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা (ভারতীয়) । তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে, বাঁদিক থেকে ভাইস এডমিরাল কৃষ্ণন (ভারতীয়), এয়ার মার্শাল হরি চাঁদ দেওয়ান(ভারতীয়),লেফটেনান্ট জেনারেল সগত সিং (ভারতীয়), জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব (ভারতীয়), তাঁর কাঁধের ওপর ফ্লাইট লেফটেনান্ট কৃষ্ণমূর্তি (ভারতীয়) তাকিয়ে আছেন। অল ইন্ডিয়া রেডিওর সাংবাদিক সুরজিৎ সেন (ভারতীয়) ডান দিকে মাইক্রোফোন ধরে আছেন।
.
…..জানা যায়, এয়ার কমান্ডার এ কে খোন্দকার (বাংলাদেশ), ডেপুটি কমাণ্ডার ইন চিফ-বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস, সাক্ষী হিসাবে হাজির ছিলেন। কিন্তু উইকিপেডিয়ার এই ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না।
.
.....এই ছবি দেখে এবার কি মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে না যে, আসলে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ কি পাকিস্তান-বাংলাদেশের মধ্যে হয়েছিল নাকি পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে হয়েছিলো?? যদি আসে তাহলে কি আমি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম যুদ্ধাপরাধী হয়ে যাবো??
.
.....আসলে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা নয় মাস প্রাণপণ যুদ্ধ করে কিন্তু শেষ দিকে এসে ভারতীয় দখলদার বাহিনী সেই যুদ্ধের ফলাফল অর্থাৎ বিজয় চুরি করে নিয়ে যায় যার জলজ্যান্ত প্রমাণ নিচের এই ছবি। সেই যে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের হাত থেকে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা চুরি করে নিয়ে গেলো আজও সেই স্বাধীনতা ফেরত পেলো না বাংলাদেশ!! আদৌ পাবে কিনা তাও জানে না বাংলাদেশ!!
::
সংগৃহিত Arjel Vaier Facebook Thaka
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩