এই যে তোমার চোখের দিকে তাকিয়েছি,
এই যে তোমার হাতের মুঠোর হাতে বৃষ্টি বিলাসের ঘোর!
এই যে বিকেলের কনে দেখা আলোয় তুমি এলে কতদূর থেকে গোধূলীর রং মেখে!
কি করে বলি, ভালোবাসি রাতভর গোলাপের সুরভীত সুষমা!
কি করে বুকের ভিতর নির্বাসনে ডাকি তোমায়,
বলি, এই হলো তোমার আন্দামান নিকোবরের ঘর!
তুমি এলে এখানেই অজস্র সকাল তোমাকে নিয়ে ধেয়ে যাবে বিকালের খোঁজে!
বিকাল যখন সন্ধ্যার সাথে মিলবে,
তোমার নীল শাড়িতে জ্যোছনা মাখতে আকাশে উঠবে চাঁদ!
আমি তিরিশটা প্রজাপতি কৌটায় ভরে তোমাকে উপহার দেবো !
তুমি বাদশাহর মেয়ে জুলেখার মত অহংকারী হবে না!
পাহাড়র ঢালে বসে তুমি প্রজাপতিদের উড়িয়ে দেবে!
ওরা আমার মত তোমাকে ভালোবাসবে তাই তোমার নীল শাড়িতে বসতেই সব ছবি হয়ে যাবে!
আমি তোমাকে দেখবো! দেখবো প্রজাপতি ছুঁয়ে কি করে তুমি রঙিন হয়ে ওঠো!
আমি তোমার ঠোঁট ছোঁব না,
আমি তোমার কানের লতির নীচে খুঁজবো আফ্রিকা!
বলবো কত মহাদেশ, কত জলপ্রপাত , কত আকাশ আছে তোমাতে?
তুমি ইললি বিললি করে কিসব প্রজাপতি ভাষা বলবে!
চোখের নাচনে বলে দেবে, দেখা হবে,
বিষ্যুদবার রাতের অভিসারে!
একটা কনেদেখা গোধূলী রঙ বিকেল এভাবেই স্বপ্নচারী করবে আমাকে!
আমি তোমাকে ছুঁবো বলে তিনশো বছরের ঋষি জীবন ছেড়ে আসবো…..
তিতলী, শুধু তোমাকেই চাইবো আমি এই পৃথিবীবাসে!
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৫