শহরে ঢুকছে বুনো শীতপাল। বদলে দিচ্ছে শহুরে ঘর-মানুষ-মন। পাল্টে গেছে শহরের জামা, শহরের প্রান্তর। জামার উপর জমছে লাল সুরকি আর বালি। শহরের কোন এক বুড়ো বেঞ্চের উপর আছড়ে পড়ছে হলুদ রঙ। শহরের বেকার রেল স্টেশনটায় জমছে খোশ গল্প। শহরটা এখন খুলে বসেছে কবিতার খাতা। কবিতার দু’টো লাইনও চলছে সমান্তরাল। এই শহরের নিরাশ প্রেমিকের পকেটে এখন থাকে, ‘খুনআলুদা’ দু’টো ছেঁড়া কবিতাপত্র। সন্ধ্যে নামার লগ্নে শাদা শালের আদুরে ঝাপটায় বদলেও যাবে শহুরে শশিকরের গান। এইভাবে বেজেই চলছে শহরের বদলে যাওয়ার গান।
শহুরে জামার গল্পটা একটা হলুদ খামে ভরে তোমায় দিলাম। যত্নে রেখো। যদি কখনও এসো এইখানে। এই শহরের দিগন্তে আমায় খুঁজো। আর কিছু পাও আর না পাও, পাবে আমার গায়ের গন্ধ লেপ্টে থাকা একটা ছেঁড়া জামা।
শহুরে জামার গল্প
২০১২১৪
----
আমি একটা মুখোশ চাই। একটা মুখোশ কিনতে সব বড় বড় শপিংমলে ঘুরলাম। কেউ আমাকে একটা মুখোশ দিল না। এমন না যে আমার পকেট ফুটো। আমার পকেট ভর্তি সারাজীবনের জমানো বেশকিছু কয়েন। তবুও তারা আমার কাছে একটা মুখোশ বিক্রি করলো না। আমার না-কি মুখোশ কেনার যোগ্যতার সনদপত্র নেই!
মুখোশ না পরলে এই পৃথিবীটা আমার দিকে তাকাবে অবহেলার ডোরে। পৃথিবীটা এখন মুখোশওয়ালাদের দখলে। পৃথিবীর প্রেমের দেয়াল বিজ্ঞাপণের নীচেও এখন ঝুলে থাকে "শর্ত সাপেক্ষ"। শর্তও এই - একটা মুখোশ।
একটা মুখোশ চাই
১৪১২১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


